প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আগে অভিনয় থেকে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার হিড়িক দেখার মতো ছিল। দলে দলে তারকারা বিনোদন জগতের গন্ডি পেরিয়ে পা রেখেছেন সক্রিয় রাজনীতিতে। তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় উঁকি দিলেই চোখে পড়বে রাজনীতি ঘেঁষা পোস্ট। বিরোধী পক্ষকে কটাক্ষ করার কোনো সুযোগই ছাড়ছে না কেউ। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন অভিনেত্রী দেবলীনা কুমারও।
বাবা দেবাশিস কুমার তৃণমূলের হয়ে প্রার্থী হয়েছেন রাসবিহারীতে। মেয়ে রাজনীতিতে না আসলেও বাবার হয়ে প্রচার ঠিকই করছেন। আর সেই প্রচারের ফাঁকেই বিজেপির উদ্দেশে আক্রমণ শানাতে ছাড়েননি দেবলীনা। কিছুদিন আগেই বিলাসবহুল ভ্যানিটি ভ্যান নিয়ে দিলীপ ঘোষকে তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন দেবলীনা। এবার তার নিশানায় স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বজবজের এক জনসভায় বাবার হয়ে প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করার সুযোগ ছাড়েননি অভিনেত্রী।
নরেন্দ্র মোদীকে একহাত নিয়ে দেবলীনার বক্তব্য, লম্বা দাড়ি গোঁফ রেখে নিজেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তিনি ভুলে গিয়েছেন বাঙালি এত বোকা নয় যে, যে কেউ লম্বা দাড়ি গোঁফ রাখলেই তাকে বিশ্বকবি বলে ভুল করবে।
এখানেই শেষ নয়। মোদীর গেরুয়া বসন নিয়ে দেবলীনার খোঁচা, উনি স্বামী বিবেকানন্দ সাজারও চেষ্টা করছেন। তবে সেটা যে কত বড় ভুল সেটা খুব শীঘ্রই বুঝতে পারবেন। দেবলীনার কথায়, “৭ বছর প্রধানমন্ত্রী থেকে তামার ভারতও গড়তে পারেননি উনি। তিনি নাকি সোনার বাংলা গড়বেন।” সোনার বাংলা থেকে সোনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দিল্লি না ফিরে যান এটাই চিন্তা দেবলীনার।
এর আগে বিলাসবহুল ভ্যানিটি ভ্যানে চড়ে প্রচার করা নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে একহাত নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। দিলীপ ঘোষের বিলাসবহুল ভ্যানিটি ভ্যানের ছবি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। এসি, এলইডি টিভি থেকে শুরু করে বিলাসিতার সমস্ত উপকরণই মজুত এই ভ্যানিটিতে। সেই সব ছবি পোস্ট করেই বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে জোর কটাক্ষ করেন দেবলীনা। তিনি লেখেন, ‘বাংলার মেয়ে আগে পায়ে হেঁটে ঘুরতেন। আহত হওয়ার পর হুইল চেয়ারে ঘোরেন। আর এনাদের ভ্যানিটি ছাড়া চলে না। আসলে অনেক অভিনেতা অভিনেত্রীরা সবে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছে তো, তাদের থেকেই বোধহয় ইনস্পায়ার্ড।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।