প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
পশ্চিমবঙ্গের মসনদ দখলের লড়াইয়ে ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে তারকা সৈনিকরা আদা-জল খেয়ে ময়দানে নেমে পড়ছেন। বিজেপিকে ‘বহিরাগত’ কটাক্ষ করে ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’ স্লোগানে ঝড় তুলেছেন তারা। এবার ভোটপ্রচারের ময়দানে নেমেই প্রতিপক্ষ শিবিরের উদ্দেশে কড়া হুঁশিয়ারি দাগলেন মিমি চক্রবর্তী । তৃণমূলের তারকা সাংসদের মন্তব্য, “ভোটে জিতেই মুখ্যমন্ত্রীর আঘাতের প্রতিশোধ নেব।”
সোশ্যাল ওয়ালে তো বটেই, এমনকী প্রচারের ময়দানেও বিজেপিকে একহাত নেওয়ার সুযোগ ছাড়তে নারাজ ‘মমতার একনিষ্ঠ সৈনিক’রা। অন্যথা হল না মিমির ক্ষেত্রেও। নিজস্ব সংসদীয় এলাকা বারুইপুরের তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচারে গিয়েও বিঁধলেন বিজেপিকে। প্রকাশ্যেই তোপ দেগে প্রতিশোধ নেওয়ার কথা বললেন। তবে ‘প্রতিশোধ’ মানেই যে ‘হিংসা-রক্তারক্তি’ নয়, সেকথাও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন তিনি। ঘাসফুল শিবিরের সাংসদ-অভিনেত্রীর কথায়, “জনগণের পাশে দাঁড়ানো, তাদের জন্য কাজ করাই হবে আসল উত্তর।” যাদবপুরের ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রেই যে তৃণমূল জিতবে, সে বিষয়েও আশাবাদী সাংসদ মিমি চক্রবর্তী।
পাশাপাশি ‘দলবদলু’দেরও খোঁচা দিতেও পিছপা হলেন না সবুজ শিবিরের সাংসদ-অভিনেত্রী। তার স্পষ্ট কথা, “যারা তৃণমূল ছেড়েছেন তাদের সবাইকে অল দ্য বেস্ট!” দল বদলে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়ে তারা যে বাংলার জন্য খারাপ সময় নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন, সেই অভিযোগও তুললেন মিমি চক্রবর্তী।
মঙ্গলবার বারুইপুর পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বিভাস সর্দারের হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন সাংসদ মিমি। উপস্থিত ছিলেন ব্লক সভাপতি শ্যামসুন্দর চক্রবর্তীও। সেখানেই পদ্ম শিবিরকে কটাক্ষ করে কাজের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে মিমি বলেন, “মানুষের জন্য কাজ না করে নির্বাচনে জেতা যায় না। যারা কাজ করেছেন, তারা এবারও নির্বাচনে জিতবেন।”
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।