বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দেশের বেসরকারি জনপ্রিয় টেলিভিশন হচ্ছে দীপ্ত টেলিভিশন। প্রতিবারের মতই দীপ্ত টিভিতে আসছে বাংলায় নতুন তুর্কি ধারাবাহিক “এলিফ”। দেশের ছোট পর্দার দর্শকদের দেশের চ্যানেলের অনুষ্ঠানের প্রতি আগ্রহী করার লক্ষ্যে দীপ্ত টিভি একের পর এক তুর্কি ধারাবাহিক বাংলায় প্রচার করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী ১৪জানুয়ারী থেকে এলিফ দীপ্ত টিভিতে প্রচারিত হবে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা ৩০মিনিটে এবং পরদিন দুপুর ১২টা ১০মিনিটে।
নতুন ধারাবাহিকটিতে শিশু এলিফ এক দুঃখী বালিকার অশ্রæঝরা গল্প। নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে নিজ বাড়ীতেই যাকে আশ্রিতার পরিচয় নিয়ে বাঁচতে হয়। একদিকে আশ্রিতা হয়ে এলিফের বেঁচে থাকার লড়াই, অন্যদিকে নিষ্ঠুর সৎ বাবা বেইসেলের সংসারে মা মেলেকের জীবন সংগ্রামই এই ধারাবাহিকের মূল উপজীব্য। গল্পে দেখা যায় মেয়েটি তার মায়ের গর্ভে আসতেই যেন দুর্ভাগ্য নিয়ে এসেছে। পারিবারিক আভিজাত্যের অহমিকা এবং প‚র্ব শত্রæতার জেরেই এলিফের দাদী তার বাবা-মায়ের বিয়ে মেনে নেয় না। শাশুড়ীর হুমকির মুখে অন্তঃস্বত্তা মেলেক স্বামী কেনানকে কিছু না বলেই বাড়ী ছাড়তে বাধ্য হয়। পরে সন্তানের কথা ভেবে মেলেক বেইসেল নামের এক মধ্যবয়সী লোককে বিয়ে করে। কিন্তু অভাগার ভাগ্য ফেরায় কে? নিষ্ঠুর জুয়াড়ী বেইসেলের পাশবিক অত্যাচারে মেলেক শারিরীকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এদিকে বেইসেল জুয়ার টাকার দায় এড়াতে এলিফকে শিশু পাচারকারীদের কাছে বিক্রি করে দেয়। কিন্তু ঘটনাচক্রে মেলেক তা জেনে যায়। জীবনের একমাত্র অবলম্বন মেয়ে এলিফকে বাঁচাতে সে মরিয়া হয়ে ওঠে। তাই এক পর্যায়ে এলিফকে নিজের বাড়ীতেই এক অবহেলিত আশ্রিতা হয়ে দিন কাটাতে হয়। অন্যদিকে এলিফের বাবা কেনান, মা আলিয়ের পছন্দে আরযু নামের এক কুটিল মহিলাকে বিয়ে করে। সেই ঘরে জন্ম নেয় এলিফের সৎ বোন তুইচে। ঘটনাচক্রে তুইচের মা যখন এলিফের আসল পরিচয় জানতে পারে, তখনই শুরু হয় ভাঙ্গা গড়ার জটিল সমীকরণ। সে কিছুতেই রাজত্ব ও রাজপুত্র হাতছাড়া হতে দেবে না। আর এভাবেই নানা নাটকীয় তার মধ্য দিয়ে রোমাঞ্চকর হয়ে ওঠে এই ধারাবাহিকের এক একটি পর্ব।
দীপ্ত টিভির অভিজ্ঞ ডাবিং টিমের আন্তরিক পরিচর্যায়ে গল্পটি হয়ে উঠেছে আরো প্রাণবন্ত ও আকর্ষনীয়। অন‚দিত সংলাপ রচনা ও সম্পাদনায় কাজ করেছেন জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী, ইব্রাহিম খলিল, তানজিনা রহমান বর্ণা, ফরহাদ হোসেন পাভেল, শামীমা সুলতানা ও শামীমা আক্তার। কন্ঠাভিনেতা ও কন্ঠাভিনয় পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন মারিয়াম মিতু। নাহিদ আখতার ইমু (এলিফ), জয়শ্রী মজুমদার লতা (মেলেক শিমশেক), শোভন দাস (কেনান এমিরওলু), তানিয়া পাটোয়ারী (আরজু এমিরওলু), রাফিকুল সেলিম (বেইসেল শিমশেক), নাদিয়া ইকবাল (তুইচে এমিরওলু), ইরা রহমান (আলিয়ে এমিরওলু), শাহরিয়ার রানা (সেলিম এমিরওলু), ইন্দ্রানী ঘটক (যেইনেপ শিমশেক), অভিক সাহা (মুরাত), মেহবুবা মিনহাজ বিপা (আইশে)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।