প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
গত এক মাস ধরেই শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের বিচ্ছেদের খবরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে টালিগঞ্জে। এর মধ্যেই প্রকাশ্যে শুরু নতুন গুঞ্জন। টলিউডের তারকা-দম্পতি নিখিল-নুসরাতের সংসারে নাকি চিড় ধরেছে। জোর গুঞ্জন টলিপাড়ায়। পরিস্থিতি নাকি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, নুসরাত জাহান ও নিখিল জৈন বর্তমানে আলাদা বাড়িতে থাকছেন। দুজনের দেখা-সাক্ষাৎও প্রায় বন্ধ। এমনকী শুক্রবার নুসরাতের জন্মদিনের পার্টিতেও গরহাজির ছিলেন স্বামী নিখিল। উপরন্তু, এবার এক ভাইরাল স্ক্রিনশটে সেই জল্পনা আরও জোরালো হল। ইনস্টাগ্রামে ইতিমধ্যেই নিখিল ও নুসরাত দুজন দুজনকে আনফলো করেছেন। হঠাৎ করে কী এমন হল সুখী সংসারে? প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
কানাঘুষা শোনা যাচ্ছে, নিখিল-নুসরাতের দাম্পত্যজীবনে নাকি চিড় ধরার অন্যতম কারণ যশ। সম্প্রতি সাংসদ-অভিনেত্রী গিয়েছিলেন রাজস্থানে ছুটি কাটাতে। যশের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল বলছে, সেই সময়ে তিনিও উপস্থিত ছিলেন রাজস্থানে। আর সেই থেকেই জল্পনা আরও জোরালো হয়েছে যে, নিখিলের সঙ্গে নুসরাতের দূরত্ব বেড়ে নাকি যশের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে। এটা অবশ্য মানতে নারাজ অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, বিয়ের আগেই তিনি যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে ‘ওয়ান’ ফিল্মে অভিনয় করেছেন। সম্পর্ক তৈরি হওয়ার থাকলে তখনই হত। এখন কেন? অন্যদিকে, কী কারণে নিখিল আর তিনি আলাদা থাকছেন, সেই সম্পর্কেও মুখ খুলতে নারাজ নুসরাত। তাঁর কথায়, এটা একান্ত আমার ব্যক্তিগত বিষয়। পাবলিক ফিগার হিসেবে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার হোক কিংবা ফিল্মে, এসব নিয়ে তিনি কথা বলতে রাজি আছেন। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কোনও কথাই তিনি মিডিয়ার সামনে বলবেন না।
দুর্গাপুজোর সময়ও তো একসঙ্গে গেছে দম্পতিকে। এমনকী, এযাবৎকাল যে কোনও অনুষ্ঠানেই স্ত্রীর পাশে থেকেছেন নিখিল। সেই তিনিই কিনা স্ত্রী জন্মদিনে শুভেচ্ছা অবধি জানাননি! জল্পনা তো হবেই। অন্যদিকে নভেম্বর মাসের ১৬ তারিখ শেষ নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে নুসরাতের সঙ্গে ছবি আপলোড করেছিলেন নিখিল। পারিবারিক ছবি শেয়ার করে জানিয়েছিলেন দিওয়ালির শুভেচ্ছা। তবে নুসরাতের প্রোফাইলে কিন্তু নিখিলের সঙ্গে ছবি অনেকদিন আগে আপলোড হয়েছিল।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নুসরাত বলেছিলেন, “বাইরে থেকে সবসময় মেয়েদেরই ভুল দেখা হয়, কিন্তু সবসময় মেয়েদের ভুল হয় না।”। তাঁদের সংসারে ভাঙন আদৌ ধরেছে কিনা, এই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যই কি যথেষ্ট নয়, তা প্রমাণ করার জন্য!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।