মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রোববার চীনের রাজ্য কাউন্সিলর ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওয়ে ফেংহে কাঠমান্ডুতে এক দিনব্যাপী ঝটিকা সফরে আসেন। আনুষ্ঠানিকভাবে এসফরটি নেপাল এবং চীন সেনাবাহিনীর মধ্যে মতবিনিময়ের একটি ধারাবাহিকতা হলেও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ওয়ে’র এই সফরটি গত সপ্তাহে চীন থেকে আগত একটি বার্তার পুনরায় নিশ্চিতকরণ। সে সময় প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কে পি শর্মা অলি, রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারী এবং নেপাল সেনাপ্রধান পূর্ণ চন্দ্র থাপের সাথে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে তিনি সন্ধ্যায় পাকিস্তানের উদ্দেশে নেপাল ত্যাগ করেন।-কাঠমান্ডু পোস্ট
নেপালী কর্মকর্তাদের মতে, ওয়েইয়ের সফরের প্রধান কারণ হলো, নেপালে বিভিন্ন অ-প্রাণঘাতী সামরিক সহায়তার চীনা সরবরাহ পুনরায় চালু করার নিশ্চিতকরণ, যা কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। নেপাল সেনাবাহিনী বলেছে, ওয়েই তাঁর সরকারের বার্তাও বহন করেছেন যে মহামারী সংঘটিত হওয়ার পরে যে প্রভাব ফেলেছে তাদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার্থীদের মতবিনিময় কর্মসূচি পুনরায় চালু করবেন এবং প্রতিরক্ষা সহায়তার ক্ষেত্রে এটি ইতিবাচক। সেখানে সাক্ষাতের চেয়ে আরও বেশি কিছু আছে।
দুটি উচ্চ পর্যায়ের সূত্র জানায়, চীনা পিপলস লিভারেশন আর্মির একজন জেনারেলের মতে, ওয়ে’র এই সফরের লক্ষ্য ছিল নেপালি নেতৃত্বের কাছে ইতিমধ্যে যা বলা হয়েছিল, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী অলি ও ক্ষমতাসীন নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতির কাছে যা বলা হয়েছিল তা নিশ্চিতকরণে পুনরায় যাচাই করা। সূত্রগুলো জানিয়েছে, যে ওয়েইর কাঠমান্ডু সফরের আগে, তিন সদস্যের উচ্চস্তরের চীনা প্রতিনিধিদল গত ২৪ নভেম্বর কাঠমান্ডু সফর করেছিল এবং বেইজিংয়ের উদ্বেগ নেপালের ক্ষমতাসীন এবং বিরোধী দলগুলোর শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্বকে জানিয়েছিল।
হুমলা অঞ্চলে জমি দখল ও নেপাল কম্যুনিস্ট পার্টি (এনসিপি) এবং নেপালি কংগ্রেসের নতুন বিস্তৃতি নিয়ে বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ সত্ত্বেও, প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অলির সাথে বৈঠককালে কোনও রাজনৈতিক বিষয় আলাপ করেননি ওয়ে।এর সাথে সংশ্লিষ্ট এক সূত্র বলেছে, যেহেতু বেইজিংয়ের বার্তা ইতিমধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তাই তার আগমন মানেই এই দাবী চলে আসে। বিষয়টির সংবেদনশীলতার কথা উল্লেখ করে নাম প্রকাশ করতে না চাইলেও কূটনীতিতে এটি অনেক তাৎপর্যপূর্ণ, না বললেও বুঝা যায়।
সূত্রমতে,পূর্বে সফরকারী চীনা প্রতিনিধিদলে ছিলেন চীনা সামরিক কমিশনের দুজন এবং চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের একজন। তারা অলি, ক্ষমতাসীন দলের অন্য চেয়ারম্যান পুষ্প কামাল দহাল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাম বাহাদুর থাপার সাথে সাক্ষাত করেছিলেন। প্রধান বিরোধী দলের নেতা শের বাহাদুর দেউবা এবং বিভিন্ন সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।দলটি চীনের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সুরক্ষা সংক্রান্ত উদ্বেগ জানিয়েছিল।
দুই দিনের সফরে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা কাঠমান্ডুতে পৌঁছানোর মাত্র দুদিন আগে চীনা দল পৌঁছেছিল। দেউবার সাথে তাদের বৈঠককালে, সূত্রগুলো জানিয়েছে, হুমলাতে সীমানা দখল বিষয় নিয়ে চীনা দল তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, যা নেপালি কংগ্রেস কঠোরভাবে উত্থাপন করছে। যা মূলত কর্ণালিতে পার্টির প্রাদেশিক সংসদ সদস্য জীবন বাহাদুর শাহির একটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তুলে ধরা হয়।
কীভাবে এই বিষয়টি উত্থাপিত হচ্ছে তা নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে কাঠমান্ডুতে অবস্থিত চীনা দূতাবাস ১৩ নভেম্বর নেপালি কংগ্রেসকেও চিঠি দিয়েছিল। কিছু দিন আগে, চীন সরকারের মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসও কংগ্রেস দলকে চীনের বিরুদ্ধে “মনগড়া রিপোর্ট” দেওয়ার পিছনে মূল প্রতিষ্ঠান হিসাবে জড়িত করেছিল। চাইনিজ অগ্রিম দলের সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করে একটি ক্ষমতাসীন দলের নেতা কাঠমান্ডু পোস্টকে বলেছিলেন, ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সাথে তাদের বৈঠককালে তারা জানিয়েছিলেন যে, চীন নেপালে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পক্ষে এবং তারা এর ধারাবাহিকতা দেখতে চায় কাঠমান্ডুতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।