Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রাজনৈতিক উদ্দেশে মিথ্যা অপবাদ রটানো হচ্ছে

ইনকিলাবকে ড. রেজা বিকরিয়া

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৮ এএম

গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক এবং আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এম এস কিবরিয়ার পুত্র ড. রেজা কিবরিয়া বলেছেন, বর্তমান সরকার দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তাদের পতন খুবই সন্নিকটে। আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি, লুটপাট, খুন, গুম এসব অপকর্ম এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এবং দেশের সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে। তাদের সামনে ঘোর অন্ধকার। এ অবস্থায় নিজেদের অপরাধ ঢাকতে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে সরকার নানা অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে। আমার বিরুদ্ধেও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মিথ্যা অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে। গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, এনবিআরের কোনো নোটিশ এখন পর্যন্ত আমি পাইনি। তবে মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি আমার বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ করা হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি তাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব। প্রথমত তারা যে অভিযোগ করেছেন তা মিথ্যা। এরপর আমাকে নোটিশ না দিয়ে মিডিয়াতে দেয়া এটা আরও অন্যায়। তাই আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক বলেন, এর আগেও আমাকে একটি ক্রেডিট কার্ডের লেনদেনের কথা বলে ঋণখেলাপি বানিয়েছিল। যেটা পরে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এবারও আমাকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে সরকার এসব করাচ্ছে। যে দুটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের কথা বলা হয়েছে তা আরো ৫ বছর আগে বন্ধ হয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, ড. রেজা কিবরিয়ার আয়কর নথিতে গরমিল এবং কর ফাঁকির ব্যাখ্যা চেয়ে আয়কর বিধির ৯৩ ধারা মোতাবেক জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নোটিশ দিয়েছে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি এ এনবিআরের বরাতে মিডিয়াতে এটি প্রকাশ পেয়েছে।
এনবিআরের সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নিয়মিত বৈদেশিক লেনদেন, বিভিন্ন ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ আর্থিক লেনদেন এবং অর্ধ কোটি টাকার শেয়ার থাকলেও তিনি আয়কর নথিতে তা গোপন করেছেন। এছাড়া বিদেশি অনুদান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ধানমন্ডি ও গুলশানের নিজ মালিকানাধীন সম্পত্তি থেকে প্রাপ্ত বিপুল আয় গোপন রেখে রেজা বরাবরই সর্বনিম্ন কর দেন। সম্পদ গোপন, মানি লন্ডারিং ও আয়কর ফাঁকির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ নোটিশ জারি করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাজনৈতিক উদ্দেশে মিথ্যা অপবাদ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ