পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ছে। কোন সরকারের অধীনে আসন্ন নির্বাচন হবে এবং কোন পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ হবে সেটা নিয়েই মূলত এই বিরোধ। এ নিরোধে জড়িয়ে পড়ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, মাঠের বিরোধী দল বিএনপি ছাড়াও বিদেশি দাতা দেশ ও সংস্থা এবং স্বয়ং নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের মাঠে যে ইসির নিরপেক্ষ রেফারির ভূমিকা পালন করার কথা, কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন সে কমিশন খেলার (ভোট) আগেই একটি পক্ষকে খুশি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ক্ষমতাসীন দল আন্দোলন মোকাবিলায় কঠোর হচ্ছে, অন্যদিকে বিএনপিসহ সরকার পতনের এক দফা দাবিতে মাঠে নামার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ফলে সামনের দিনগুলোতে নির্বাচন ইস্যুতে রাজপথে সংঘাত সংঘর্ষ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সিইসি যেন অন্ধ ও বধির হয়ে গেছেন। সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যমসহ অধিকাংশ ব্যক্তি ইভিএমের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও তিনি ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট করার ঘোষণা দিয়েছেন। মনে হচ্ছে আরেকটা ব্যর্থ নির্বাচনের দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। এতে সংঘাত বেড়ে যাবে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন ব্যাপারী বলেন, সংবিধানের জন্য মানুষ নয়, মানুষের জন্য সংবিধান। মানুষের প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন, সংযোজন করা যেতে পারে। এবার যদি নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে ব্যর্থ হই তাহলে দেশের বিদেশি বিনিয়োগ কমে যাবে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন গার্মেন্টস পণ্য ক্রয় বন্ধ করে দিতে পারে। কারণ জো বাইডেন প্রশাসন মানবাধিকার, আইনের শাসন, জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত দেখতে চায়। অথচ নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশিদা সুলতানা বলেছেন, আমাদের ডাকে সাড়া না দিলে আমাদের হতাশারও কিছু নাই, ক্ষোভেরও কিছু নেই। অসন্তুষ্টি-সন্তুষ্টিরও কিছু নেই। আমরা দায়িত্ব নিয়ে তাদের ডেকেছিলাম তাদেরও দায়িত্ব নিয়ে সাড়া দেওয়া উচিত ছিল।
নির্বাচন নিয়ে সক্রিয় চার পক্ষ : দেশে দেড় শতাধিক রাজনৈতিক দল থাকলেও নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি রাজনৈতিক পক্ষ কার্যত দু’টি আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। সংবিধান অনুযায়ী ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচন নিয়ে জনগণের ভোট ইস্যুতে এখন চারটি পক্ষ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। একটি পক্ষ নির্বাচন কমিশন যাদের নির্বাচনের সময় রেফারির দায়িত্ব পালন করার কথা; তারা ক্ষমতাসীন দলকে খুশি রাখতে ইভিএমে ভোট গ্রহণের জন্য ‘গোয়ার্তুমি’ শুরু করে দিয়েছে। একটি পক্ষ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তাদের মিত্ররা নির্বাচনের আগেই ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতোই নিরঙ্ককুশ বিজয় নিশ্চিতের নিশ্চয়তায় সংবিধান থেকে এক চুলও নড়বো না বলে ঘোষণা দিচ্ছে। তারা প্রশাসনের লাটাই নিজেদের হাতে রেখেই ভোটযুদ্ধে নামতে চায়। আরেকটি পক্ষ হচ্ছে ২০১৮ সালে নির্বাচনে গিয়ে প্রতারিত বিএনপি; যারা দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে গিয়ে প্রতারিত হচ্ছে। দলটি বলছে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ছাড়া ভোটে যাবে না এবং দেশে নির্বাচন হতে দেবে না। আর চতুর্থ পক্ষ হচ্ছে বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশ, জাতিসংঘ তথা দাতাদেশ ও সংস্থা। এদের বক্তব্য আইনের শাসন, মানবাধিকার রক্ষা এবং জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার না হলে আগামীতে বাংলাদেশের পণ্য ক্রয়ের ব্যাপারে নতুন চিন্তাভাবনা করবেন এবং বিনিয়োগের ভাটা পড়বে। সে জন্যই যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং গ্রহণ যোগ্য নির্বাচনের জন্য সরকারকে বার বার তাগাদা দিয়ে যাচ্ছেন।
বিএনপির রাজপথে নামার প্রস্তুতি : বিএনপির নির্দলীয় সরকারের অধীনে ছাড়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাবে না এবং নির্বাচন হতে দেবে না। ২০১৮ সালের মতো দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিয়ে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেবে না বিএনপি। আর ২০১৪ সালের মতো নির্বাচন বর্জন করে পরবর্তীতে আন্দোলন স্থগিত করার মতো ভুল সিদ্ধান্ত নেবে না। বিএনপির দায়িত্বশীলরা বলছেন, আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগ যেভাবে আগেভাগেই হামলা ও মামলার পথে হাঁটছে, তাতে মাঠপর্যায়ে শক্ত অবস্থান নেওয়া ছাড়া সমাধান হবে না। সব সমস্যার সমাধান হবে রাজপথের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। সেটা মাথায় রেখেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন দলের নেতা-কর্মীরা। রাজনীতির মাঠে কোণঠাসা বিএনপির নেতা-কর্মীরা সক্রিয় হতে শুরু করেছেন রাজপথে। অঙ্গসংগঠনের সর্বস্তরের কমিটি গঠন-পুনর্গঠনের কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে। পাশাপাশি যুগপথ আন্দোলন গড়ে তুলতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করছে। সমমনা এবং ভোটের অধিকারের দাবিতে সোচ্চার দলগুলোর সঙ্গে রাজপথে সরকার পতনের যুগপথ আন্দোলনের নামাতে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। দলটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা ডাকসুর সাবেক ভিপি আমানউল্লাহ আমান ঘোষণা দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন ‘আগামী ১০ ডিসেম্বরের পর খালেদা জিয়ার কথায় বাংলাদেশ চলবে। এর বাইরে কারো কথায় চলবে না’।
কঠোর অবস্থানে আওয়ামী লীগ : ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবারও ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতোই নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের লক্ষ্যে নতুন ছক এঁকে আগ্রসর হচ্ছে। এ জন্য কাজী রকিবউদ্দিন, কে এম নুরুল হুদার মতোই আজ্ঞাবহ কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। আওয়ামী লীগ ইভিএমে ভোট করার প্রস্তাব করায় বেশির ভাগ দল ও সুশীলদের বিরোধিতার মুখে নির্বাচন কমিশন ইভিএমের ভোট করার লক্ষ্যে অগ্রসর হচ্ছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা প্রতিদিনই সংবিধানের দোহাই দিয়ে বলছেন, সংবিধানের মধ্যে থেকেই আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হবে। সরকার সংবিধানের বাইরে একচুলও নড়বে না। এর আগে ভারত সফর করে এসে গত ১৪ সেপ্টেম্বর গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক সেটাই আমরা চাই। আর যদি কেউ না করে সেটা যার যার দলের সিদ্ধান্ত। সেজন্য আমাদের সংবিধান তো আমরা বন্ধ করে রাখতে পারি না। দীর্ঘ ১৮দিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর করে এসে গণভবনে আয়োজিত আরেক সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা নির্বাচন ইস্যুতে পুরনো কথার প্রতিধ্বনি করেছেন। তিনি সংবিধানের বাইরে যাবেন না এবং নির্বাচনে অংশ নেয়া না নেয়া রাজনৈতিক দলগুলোর নিজস্ব সিদ্ধান্তের ব্যপার বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বিদেশিদের তৎপরতা : বাংলাদেশে মানবাধিকার ও সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যপারে আন্তর্জাতিক মহল সোচ্চার। ২০১৪ সাল ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর ভারতের মোদী সরকার আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের সরকারকে টিকিয়ে রাখতে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে সফল হলেও বর্তমান পরিস্থিতি আগের মতো নেই। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়া দেখভালের ‘চৌকিতারি চাকরি’ হারিয়ে ফেলেছে ভারত। আফগানিস্তান থেকে চলে যাওয়ার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র বার্তা দিয়েছে তারা আগের মতো আর মুসলিম কট্টোরপন্থীদের দেখছেন না। এখন বাংলাদেশে আইনের শাসন, মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা দেখতে চায়। এ লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপী ইউনিয়ন, জাপানসহ অনেক দেশের রাষ্ট্রদূতরা নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য তাগাদা দিয়ে যাচ্ছেন। ইসির সঙ্গে দেখা করা ছাড়াও তারা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে নিজেদের বার্তা দিয়েই যাচ্ছেন। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র দেখতে চায় বাংলাদেশে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার। গত ২৭ সেপ্টেম্বর ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশের (আইবিএফবি) বার্ষিক সাধারণ সভায় ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অনেক কোম্পানি বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলে ব্যবসা প্রসারিত করতে চায়। কিন্তু তারা বিনিয়োগের আগে দেশে শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল পরিবেশ আছে কি-না, তা জানতে চায়। পাশাপাশি শ্রমের মানোন্নয়ন, পরিবেশ, গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা, সহনশীলতা, সুশাসন ও মানবাধিকারের মতো বিষয়গুলো নিয়েও এই বিনিয়োগকারীরা চিন্তিত। তাই দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হলে নীতিনির্ধারকদের এসব বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগকারী। পাশাপাশি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রফতানি গন্তব্যও যুক্তরাষ্ট্র। তাই দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বাড়ানোর মাধ্যমে দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। আরো অধিক বিনিয়োগের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথমত একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায়; দ্বিতীয়ত, এমন একটি বাংলাদেশ যা গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা, বহুত্ববাদ, সহনশীলতা, সুশাসন ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল; তৃতীয়ত, সামাজিক ও পরিবেশগতভাবে সহনশীলতা; চতুর্থত, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। আমরা বাংলাদেশকে এমন একটি ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরিতে সাহায্য করতে চাই, যা বিদেশি বিনিয়োগকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত হবে। এ জন্যই বাংলাদেশের নিরপেক্ষ নির্বাচনে সব ধরণের সহযোগিতা করার প্রস্তাবও দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতামত : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন ব্যাপারী বলেন, সংবিধানের জন্য মানুষ নয়, মানুষের জন্য সংবিধান। মানুষের প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন, সংযোজন হয়েছে। সংবিধানের সঙ্গে রাজনীতির কোনো সংঘাত নেই। প্রধানমন্ত্রী ১৮ দিন যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফর করে এসে সংবাদ সম্মেলনে জানালেন, ২০২৩ সালে দুর্ভিক্ষ হতে পারে। তার বার্তা যথার্থই। কারণ তার এই দীর্ঘ সফরে কোনো অর্জন নেই। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্তদেশগুলো ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন কেমন হয়েছে তা জানতো। তারপরও তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে এবং বাংলাদেশের গার্মেন্টস পণ্য ক্রয় করেছে। এখন বৈশ্বিক রাজনৈতিক পট পরিবর্তন এবয় ভূরাজনৈতিক কারণে তারা বাংলাদেশকে পাশে চায়। এ জন্য মানবাধিকার, আইনের শাসন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার চায়। মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বক্তব্যে সে চিত্র উঠে এসেছে। এখন যদি বাংলাদেশে গণতন্ত্র, জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেয়া না হয় এবং মানবাধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত না হয় তাহলে তারা বিনিয়োগ দূরের কথা গার্মেস্টস পণ্য ক্রয় বন্ধ করে দেবে। এতে বাংলাদেশ চরম অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে পড়ে যাবে। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র আগে যে দৃষ্টিভঙ্গিতে মুসলমান মৌলবাদ বা জঙ্গীবাদ দেখতো এখন সে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়েছে। এ জন্যই পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক গাঢ় করছে। নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও সউদী আরবসহ মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ছে। আর দিল্লির আজ্ঞাবহ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের মধ্যেমে বাংলাদেশে মানবাধিকার ও আইনের শাসন কার্যকর করা সম্ভব নয় এটা তারা বুঝে গেছে। ফলে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ যেন বিপরীতমুখী অবস্থানে গেছে তা সঙ্কটকে আরো ঘনিভুত করবে দেশের অর্থনীতিতে ভঙ্গুর করে দেবে। এছাড়া বিএনপি থেকে যে ঘোষণা দেয়া হয়েছে আগামী ১০ ডিসেম্বরের পর দেশ চলবে বেগম খালেদা জিয়ার আদেশ নির্দেশে। বাস্তবে হয়তো সেটা হবে না তবে আওয়ামী লীগ সরকারের কর্তৃত্ব কমে যাবে এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আগের মতো তাদের অনৈতিক আদশে নির্দেশ মানবে না। সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘সংঘাত নয় ঐক্যের বাংলাদেশ চাই’ শ্লোগান বাস্তবায়নে সুজন কাজ করছে। দেশে শান্তি-সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে। যেভাবে আমরা চলছি সেটি মুক্তির পথ না, সম্প্রীতির পথ না। দেশের উন্নয়ন হচ্ছে কিন্তু আমাদের উন্নতি হচ্ছে না। জনগণ ভোট দিতে পারে এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে। নির্বাচন কমিশন যে রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে আমার মনে হয়, আমরা ফের একটি ব্যর্থ নির্বাচনের দিকে যাচ্ছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।