পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আজ ২৪ অক্টোবর জাতিসংঘ দিবস। চলতি বছর জাতিসংঘের ৭৫ বছরপূর্তি হচ্ছে। ১৯৪৫ সালের এই দিনে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে জাতিসংঘ। জাতিসংঘ দিবসের পাশাপাশি একই দিনে বিশ্ব উন্নয়ন তথ্য দিবস পালন করা হয়। জাতিসংঘের উদ্যোগে ১৯৭২ সাল থেকে প্রতি বছরের ২৪ অক্টোবর এ দিনটি বৈশ্বিকভাবে পালিত হয়।
বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে যথাযোগ্য মর্যাদা ও নানা আয়োজনে দিবসটি পালিত হচ্ছে। এ দিনটি আরও বর্ণিল করতে বিশেষ কনসার্টের আয়োজন করেছে জাতিসংঘ বাংলাদেশ। আর এতে প্রধান আকর্ষণ হিসেবে অংশ নেবেন ইন্ডালো ব্যান্ডের গায়ক জন কবির। এছাড়াও গাইবেন আর্নিক, মুত্তাকি হাসিব, সামিরা, অন্তরা ও নাইম। আজ সন্ধ্যা ৭টায় জাতিসংঘ বাংলাদেশের ফেসবুক পেজ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে ‘অনলাইন কনসার্ট’। এতে শিল্পীরা নিজেদের ও দেশের জনপ্রিয় গানগুলো গাইবেন। প্রতিষ্ঠানটি তাদের অফিসিয়াল পেজ থেকে জানায়, জাতিসংঘের ৭৫ বছরপূর্তি উপলক্ষে কনসার্টটি আয়োজন করতে যাচ্ছে তারা। করোনা মহামারির কথা মাথায় রেখে, অনলাইনেই হবে পুরো আয়োজন। সেই সঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আয়োজিত ‘কেমন ভবিষ্যৎ দেখতে চান’, তা তাদের ফরমের মাধ্যমে জানানো যাবে। চলতি বছরের শুরুতে গুতেরেস এই বিশ্বব্যাপী কথোপকথন শুরু করেছিলেন যাতে সবাই তাদের ভবিষ্যত নিয়ে আশা এবং আশঙ্কা উভয়ই জানাতে পারেন। এর ওপর ভিত্তি করে বিশ্ব নেতারা উত্তর দেবেন। এ বিশাল ক্রিয়াকলাপটি জাতিসংঘের একটি উচ্চ-স্তরের বৈঠকের ‘রাজনৈতিক ঘোষণা’ ছিল। এর ওপর ভিত্তি করে জাতিসংঘ দিবসে এবারের থিম: আমরা যেমন ভবিষ্যত চাই, যে জাতিসংঘ আমাদের প্রয়োজন, সকলের প্রতি আমাদের সম্মিলিত প্রতিশ্রæতি পুনর্বিবেচনা। এছাড়া বিশ্বজুড়ে জাতিসংঘের বিভিন্ন কার্যালয়ে, বিশেষত নিউ ইয়র্ক (যুক্তরাষ্ট্র), হেগ (নেদারল্যান্ডস), জেনেভা (সুইজারল্যান্ড), ভিয়েনা (অস্ট্রিয়া) এবং নাইরোবি (কেনিয়া) এর প্রধান কার্যালয়গুলিতে বিভিন্ন কার্যক্রম সংগঠিত হবে। এর মধ্যে রয়েছে: কনসার্ট, গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলিতে জাতিসংঘের পতাকা ওড়ানো, বর্তমান প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের কাজের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে বিতর্ক এবং রাষ্ট্রপ্রধান এবং অন্যান্য নেতাদের ঘোষণাপত্র।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে বিশ্বের শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশগুলোর প্রায় চার বছরের চেষ্টা ও ধারাবাহিক আলোচনার পর ১৯৪৫ সালের এই দিনে প্রাথমিকভাবে ৪৬টি সদস্য দেশ জাতিসংঘ সনদকে অনুসমর্থন দেয়। ১৯৪৭ সালের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ২৪ অক্টোবরকে জাতিসংঘ দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুসারে জাতিসংঘ সনদ অনুমোদনের দিনে ১৯৪৮ সালে এ দিবস পালনের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়। সে থেকে জাতিসংঘ দিবস ২৪ অক্টোবর বিশ্বের সকল স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রে উদযাপিত হয়। দিবসটিতে জাতিসংঘের বৈশ্বিক অর্জন ও উদ্দেশ্যকে জনসমক্ষে তুলে ধরা হয়। ১৯৭১ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সদস্য দেশসমূহে দিবসটিকে ছুটির দিন হিসেবে পালনের জন্য সুপারিশ করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।