পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ভোলকান বোজকির কাশ্মীর ইস্যুতে দীর্ঘদিনের বিরোধ সমাধানে ভ‚মিকা রাখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। সোমবার করাচিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশির সাথে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা জানান।
ইউএনজিএ’র মনোনীত-সভাপতি তুর্কী নাগরিক ভোলকান বোজকির পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোরেশির আমন্ত্রণে দুই দিনের সফরে পাকিস্তান গিয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পাশাপাশি তিনি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সাথেও সাক্ষাত করেছেন। সাক্ষাতে ইমরান খান বিশ্ব সংস্থাটিকে তার ভ‚মিকা পালনের জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। এর প্রেক্ষিতে বোজকির সাংবাদিকদের জানান, বিরোধী পক্ষগুলো সম্মত হলে তার অফিস কাশ্মীর ইস্যুতে ভ‚মিকা রাখতে রাজি আছে। তিনি বলেন, ‘সুতরাং যদি সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট হিসাবে আমার পক্ষ থেকে সহায়তার জন্য অনুরোধ করা হয় তবে, আমি আমার সক্ষমতার মধ্যে অবদান রাখতে প্রস্তুত থাকব।’ তিনি কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলায় পাকিস্তানের অসাধারণ সাফল্যের প্রশংসা করেন এবং উদাহরণ হিসাবে তাদেরকে অনুসরণ করার জন্য অন্যান্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাধারণ পরিষদের ঐতিহাসিক ৭৫ তম অধিবেশনের সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হওয়ায় ইমরান খান বোজকিরকে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন। বৈঠককালে ইমরান খান অবৈধভাবে ভারতের দখলকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের (আইআইওজেকে) গুরুতর পরিস্থিতি সম্পর্কে বোজকিরকে অবহিত করেন। বিষয়টি সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে জাতিসংঘের সুরক্ষা কাউন্সিলের এজেন্ডায় ছিল। প্রধানমন্ত্রী ৫ আগস্ট ২০১৯ সাল থেকে আইআইওজেকে’র ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি ও কাশ্মীরি জনগণের মানবাধিকারের চলমান চরম ও নিয়মতান্ত্রিক লঙ্ঘন এবং দখলকৃত অঞ্চলের জনসংখ্যার কাঠামো পরিবর্তনের প্রয়াসকে তুলে ধরেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, জাতিসংঘের সুরক্ষা কাউন্সিলের দেয়া প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী, সংঘর্ষের পরিস্থিতি মোকাবেলায় এবং কাশ্মিরী জনগণের সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে জাতিসংঘকে অবশ্যই তার যথাযথ ভ‚মিকা পালন করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯ মহামারীর আর্থ-সামাজিক প্রভাব প্রশমিত করতে, জীবন-জীবিকা রক্ষায় এবং অর্থনীতিকে উদ্দীপিত করার দিকে মনোনিবেশ করার জন্য তার সরকারের নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথাও বোজকিকে অবহিত করেন। তিনি জানান যে, তার সরকার দরিদ্র ও অভাবীদের জন্য ৮০০ কোটি ডলারের স্টিমুলাস প্যাকেজ দিয়েছে। এটি পাকিস্তানের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সিকিউরিটি কভারেজ বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা, ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই, এবং উন্নয়নশীল দেশসমূহের অবৈধ আর্থিক প্রবাহ মোকাবিলায় যে গুরুত্ব দিয়েছিলেন তাও তুলে ধরেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, ইউএনজিএ ৭৫ তম অধিবেশন এই বিষয়গুলিকে প্রাধান্য দেবে, যা সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষকে প্রভাবিত করে।
পরে, যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বোজকির স্বীকার করেন যে, কাশ্মীর বিরোধ শান্তি ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ। তিনি বলেন, তুর্কি সরকার এই বিরোধের বিষয়ে একটি নৈতিক অবস্থান নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘তবে, এই অঞ্চলে জাতিসংঘের অবস্থানটি এর সনদ এবং প্রযোজ্য সুরক্ষা কাউন্সিলের রেজোলিউশন দ্বারা পরিচালিত হয়, যেমনটি পূর্বে বিভিন্ন সময়ে ইউএন মহাসচিব জানিয়েছেন।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, ‘কাশ্মীর বিরোধের সমাধানটি দক্ষিণ এশিয়ায় টেকসই শান্তির মূল চাবিকাঠি। রাজনৈতিক ও ক‚টনৈতিক সমাধানের মাধ্যমে আঞ্চলিক সুরক্ষা বজায় রাখতে হবে। অর্থবহ ও পারস্পরিক সম্পর্কে জড়িত থাকার মাধ্যমে কঠিন চ্যালেঞ্জগুলি সমাধান করা যেতে পারে।
ইউএনজিএ’র নির্বাচিত-সভাপতি বলেছেন, ‘তার পাকিস্তান সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল কাশ্মীরের স্থল পরিস্থিতির সত্যিকারের চিত্র দেখা। যাতে বিষয়টি যখন আলোচনায় উঠবে তখন তা তুলে ধরা সম্ভব হয়।’ তিনি মহামারীর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের অভ‚তপূর্ব সাফল্যের প্রশংসা করে বলেন, ‘পাকিস্তান মহামারী সম্পর্কিত নীতি নিয়ে বিশ্বের জন্য এক উত্তম উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিসংখ্যান দেখায় যে পাকিস্তান বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে ভাল করেছে এবং আমি নিজের চোখে তা পালন করতে পেরে আনন্দিত।’ বোজকির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেতৃত্বের প্রশংসা করে তাকে একজন ‘জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব’ হিসাবে অভিহিত করেন। সূত্র : পাকিস্তান ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।