পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতিসংঘ সনদের আলোকে বাংলাদেশ পুলিশ বিশ্বের বিভিন্ন সংঘাতপুর্ণ দেশ সমুহে শান্তি রক্ষার কাজে অত্যন্ত সুনামের সাথে দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছরের অধিক সময় ধরে কাজ করে যাচ্ছে। শান্তিরক্ষার এই মহতি যাত্রায় বাংলাদেশ পুলিশ আন্তর্জাতিক আইন ও বিধি মেনে, সংঘাত পূর্ণ দেশসমুহের স্বাধীনতার প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল থেকে, নিরপেক্ষ ভাবে আন্তর্জাতিকভাবে বিবদমান বিষয়সমুহের শান্তি পুর্ন সমাধানের পথকে সহজতর করতে সহায়তা করেছে। গতকাল জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস পালিত হয়।
শুক্রবার জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৯৮৯ সালে নামিবিয়া শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের এই যাত্রা শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে দীর্ঘসময়ে বাংলাদেশ পুলিশ বহুমাত্রিক উপায়ে জাতিসংঘের পাশে থেকেছে। ২০০৫ সালে স্বয়ংসম্পূর্ণ বিশেষায়িত ফর্মড পুলিশ ইউনিট শুরু করে। ২০১০ সালে পূর্ণাঙ্গ নারী পুলিশ ইউনিট প্রেরণ করে, যা শান্তি রক্ষার ইতিহাসে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। ২০১৩ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশ পুলিশ জরুরি ভিত্তিতে ইন্টারমিশন কো-অপারেশনের আওতায় ২৪ ঘণ্টায় বিশেষায়িত কন্টিনজেন্ট সাউথ সুদানে প্রেরণ করে, যা শান্তিরক্ষার ইতিহাসে বিরল ঘটনা। বাংলাদেশ পুলিশের এ পর্যন্ত ২২টি শান্তিরক্ষা মিশনে প্রায় ২০ হাজার পুলিশ সদস্য কাজ করেছে। হাইতি, পূর্ব তিমুর, কসোভো, বসনিয়া, সুদানসহ ইত্যাদি দেশে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা যেমন প্রতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে, তেমনি ইন্টারনালি ডিসপ্লেজড, রিফিউজিদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় সহায়তা ও নিরাপত্তা প্রদানে সহায়তা করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ পুলিশের শান্তিরক্ষী সদস্যরা কাজের পরিধি এখানেই সীমিত রাখেনি বরং বিদেশের মাটিতেও মানবিকতার দৃষ্টান্ত আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে প্রশংসিত হয়েছে। অসহায় মানুষদের খাদ্য বিতরণ, চিকিৎসা সেবা প্রদান যেন বাংলাদেশ পুলিশের শান্তিরক্ষীদের নিয়মিত কাজে পরিণত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে ৪টি ফর্মড পুলিশ ইউনিট, ইন্ডিভিজুয়াল পুলিশ অফিসারসহ ৬৫৭ জন পুলিশ সদস্য বিভিন্ন দেশে কর্মরত রয়েছেন। এদের মধ্যে ১৫৭ জন নারী পুলিশ সদস্য রয়েছে। সংঘাতপূর্ণ দেশসমূহে শান্তি রক্ষার এই যাত্রায় বাংলাদেশ পুলিশের রয়েছে ত্যাগের ইতিহাস। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ পুলিশের এডিশনাল ইন্সপেক্টর জেনারেল রওশন আরা সহ প্রায় ২২ জন পুলিশ পরিবারের সদস্য শহীদ হয়েছেন। শান্তিরক্ষা করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় আহত হয়েছেন অনেক পুলিশ সদস্য। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে দীর্ঘদিন ধরে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ পুলিশ শুধু দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রাই বয়ে আনেনি, নিয়ে এসেছে দেশ মাতৃকার জন্য অনন্য সম্মান। বাংলাদেশ পুলিশ বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে জাতিসংঘ সনদের আলোকে শান্তিরক্ষার কাজে ঐতিহাসিক এই ধারা ও অভিজ্ঞতাকে সমুন্নত রাখতে বদ্ধ পরিকর বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।