নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আগের দিন দুপুরেই জানা গিয়েছিল, নিলামে ২০১৩ সালে গল টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দেশের হয়ে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করা মুশফিকুর রহিমের ব্যাটের দাম উঠেছে ৪০ লাখ টাকা! অবিশ্বাস্য এই দামের খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়তেই বন্ধ হয়ে গেছে নিলামপ্রক্রিয়া। কিন্তু কেন?
খোঁজ নিয়ে জানা গেল, নিলামে মুশফিকের ব্যাটের অনেক ভুয়া ডাক উঠছে। প্রথম রাতেই দাম ৩২ লাখ ওঠার পর জানা গিয়েছিল সেটি ভুয়া। গতকালের ৪০ লাখ টাকার ডাকও ভুয়া বলে নিশ্চিত করেছেন আয়োজকেরা। শনিবার থেকে শুরু হওয়া পাঁচ দিনব্যাপী এই নিলামে শুরু থেকেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আয়োজকদের। বাধ্য হয়ে মাঝপথে নিয়ম-কানুন বদলাতে হয়েছে তাঁদের। এতে আয়োজকদের যেমন বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে, বিব্রত হচ্ছেন মুশফিকও।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়ানোর উদ্দেশে মুশফিক তার প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির স্মৃতি বিজড়িত ব্যাটটি নিলামে বিক্রি করতে অনলাইনভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘পিকাবো’কে দায়িত্ব দিয়েছেন। অনলাইনে তিন দিন ধরে নিলাম চলছে। কিন্তু ক্ষণে ক্ষণে তা বন্ধ করতে হচ্ছে কেন, সেটির ব্যাখ্যায় পিকাবোর প্রধান নির্বাহী মরিন তালুকদার বলেন, ‘আমাদের প্ল্যাটফর্মে যেটা দেখছি, অনেকে ভুয়া বিডিং করছে। নিলাম জিনিসটা বাংলাদেশে নতুন। অনেকে এটাকে মজা হিসেবে নিচ্ছে। কিনবে না, শুধু শুধু দাম বাড়িয়ে চলে যাচ্ছে। আমরা নিলামে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে এটাকে মানসম্মত প্রক্রিয়ায় আনার চেষ্টা করছি। এ কারণে সাময়িক বন্ধ করেছি।’
এর আগে করোনাভাইরাসে অসহায় হয়ে পড়া মানুষের সাহায্যার্থে ২০১৯ বিশ্বকাপে ব্যবহৃত নিজের ব্যাটটি ২০ লাখ টাকায় নিলামে বিক্রি করেছেন সাকিব আল হাসান। সাকিবের ব্যাট ‘অকশন ফর অ্যাকশন’- এর ফেসবুকে পেজে এক ঘণ্টায় বিক্রি হয়ে গেছে। তবে নিলামপ্রক্রিয়া সংক্ষিপ্ত করলেই যে ভুয়া বিডিং হবে না, সেটির নিশ্চয়তা নেই বলে মনে করেন ‘অকশন ফর অ্যাকশন’- এর উদ্যোক্তা প্রীত রেজা, ‘আমাদের এক ঘণ্টার লাইভেও অনেক ভুয়া বিডিং হয়। আমাদের ঝুঁকিটা আরও বেশি, যেহেতু দ্রæত কাজটা শেষ করতে হয়। দ্রæত ফোন নাম্বার, জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করা লাগে। সেজন্য আগে থেকে ঘোষণা দেওয়া হয় যেন প্রকৃত অংশগ্রহণকারীরা আগে থেকে যোগাযোগ করতে পারেন।’
নিলাম বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত মোট ৫৩ বার উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মুশফিকের ব্যাটের দর হাঁকা হয়েছিল। সেখানে ছয় লাখ টাকা ভিত্তিম‚ল্যের ব্যাটের দাম ছাড়িয়ে যায় ৪১ লাখ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু বেশিরভাগই ভুয়া দর হাঁকানোয় প্রকৃত ম‚ল্য সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারছেন না আয়োজকরা।
মুশফিকের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা নিবকোর একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যাচাই-বাছাই শেষে দ্রæতই আবার শুরু করা হবে নিলাম প্রক্রিয়া, ‘আমরা আশা করছি যে, এটি যে কোনো সময়ে ফের শুরু করা হবে। এটি অস্বাভাবিক। আমরা দেখেছি যে, ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে কৃত্রিমভাবে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে প্রক্রিয়াটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে। আমরা একবারে দাম ১০ হাজার টাকা বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছি। তবে কিছু লোক একবারে তার চেয়ে দশগুণ বেশি দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা আশঙ্কা করছি যে, এটা প্রকৃত দরদাতাদেরকে নিরুৎসাহিত করবে।’
মুুশফিকের নিলামের অন্যতম উদ্যোক্তা মরিন জানালেন, গতকাল রাতেই আবার চালু করা হয়েছে তাঁদের নিলাম প্রক্রিয়া। তাঁদের আহবান, যেহেতু মানবিক উদ্দেশে নিলামটা আয়োজন করা হচ্ছে, সবাই যেন বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে অংশ নেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।