Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সীতাকুণ্ড দুর্ঘটনার পর বন্দরে পড়ে থাকা ‘হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড’ নিলামে উঠছে বিকেলে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ জুন, ২০২২, ৯:৫৭ এএম

সীতাকুণ্ডে নজিরবিহীন বিস্ফোরণের ঘটনার পর চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা ৬০৯ ড্রাম হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড দ্রুত নিলামে তোলা হচ্ছে। সোমবার বিকেল চারটায় বিপুল পরিমাণ এই রাসায়নিক দ্রব্য প্রকাশ্য নিলামে তুলে বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (০৪ জুন) রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে রাসায়নইক দ্রব্যের কন্টেইনার থেকে ভয়াবহ বিস্ফোরণ আর আগুনের ঘটনায় ৪৯ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি দুই শতাধিক মানুষ আহত আর আগুনে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার পরই রোববার (০৫ জুন) চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বিপজ্জনক পণ্য নিলামে তোলার জন্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়। চিঠি পাওয়ার পরপরই তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বিপুল পরিমাণ এই রাসায়নিক দ্রব্য নিলামে তুলে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়।
টেক্সটাইল, ডাইংসহ নানা শিল্পে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড ব্যবহার করা হয়ে থাকে। একসময় বিপদজনক এই রাসায়নিক দ্রব্য় আমদানি হলেও বর্তমানে রপ্তানি করাও সম্ভব হচ্ছে।
কাস্টমসের উপকমিশনার আলী রেজা হায়দার গণমাধ্যমকে জানান, গাজীপুরের কেয়া নিট কম্পোজিট লিমিটেড তুরস্ক থেকে প্রায় চার বছর আগে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের একটি চালান নিয়ে আসে। পরে আর সেগুলি খালাস করেনি প্রতিষ্ঠানটি। সেই দুই কনটেইনারের চালানটি বন্দরের চত্বরেই পড়ে আছে। চালানটিতে থাকা ৩০ হাজার ৪৫০ কেজি হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের দাম ধরা হয়েছে ২৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
এই দুই কনটেইনারের চালানটি সোমবারই প্রকাশ্য নিলামে তোলা হবে। সংরক্ষিত দামের ১০ শতাংশ পে-অর্ডার বা নগদ টাকা দিয়ে আগ্রহীরা নিলামে অংশ নিতে পারবেন বলেও জানান কাস্টমসের এই কর্মকর্তা।
তিনি আরও জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের পি শেডে যেসকল বিপজ্জনক পণ্য ছিল, সেগুলো ইতোমধ্যেই ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া আগেও ধারাবাহিকভাবে রাসায়নিক পণ্য নিলামে তুলে বিক্রি করা হয়েছে। সোমবার নিলামে তোলার অপেক্ষায় থাকা এই দুই কন্টেইনার চালান ছাড়া বন্দরে হাইড্রোজেন পার-অক্সাইডের নিলামযোগ্য আর কোনো কনটেইনার নেই।
এদিকে এখনো জ্বলছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর আগুন। ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পরও কনটেইনারের আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। মূলত কনটেইনারে ক্যামিকেল থাকার কারণে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসছে না আগুন- এমনটাই বলছে ফায়ার সার্ভিস। শনিবার রাতের ভয়াবহ বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক মানুষ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নিলাম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ