বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বান্দরবানে এবার পাহাড়িদের প্রধান সামাজিক ও ধর্মীয় উৎসব সাংগ্রাই ও বৈশাবি উৎসব পালন না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পার্বত্য জেলা পরিষদের আহবানে পাহাড়ি সম্প্রদায়গুলো সাড়া দিয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা।
তিনি শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় জেলা পরিষদের হল রুমে এবিষয়ে এক জরুরী সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়েছেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদ সদস্য ক্য সা প্রু ও কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যা।
এসময় চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা জানান, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষ বান্দরবান ৭ উপজেলার উৎসব কমিটি ও ক্যয়াং বা জাদির ধর্মীয় গুরু (ভান্তে)দের এবার সাংগ্রাই ও বৈশাবি উৎসব কোন অনুষ্ঠান আয়োজন না’করার জন্য আহবান জানানো হয়েছে। তিনি জেলা পরিষদের আহবান সকলেই দেশ ও জাতির চিন্তার করে মেনে নিয়েছে। এসময় তিনি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের লোকজনকেও সাংগ্রাই ও বৈশাবি সকল ধরণের অনুষ্ঠান থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়েছে। তবে তিনি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের সম্মিলিতিভাবে কোথাও জমায়েত বা জড়ো হয়ে কোন ধরণের অনুষ্ঠান বা আনন্দ-উল্লাস না’করে ঘরে বসে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে দিনগুলোকে পালন করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
এসময় চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা আরো জানান, বান্দরবানে ৩৬০টি ক্যয়াং (জাদি) রয়েছে। পার্বত্য জেলা পরিষদ এই প্রতিটি ক্যয়াং (জাদি)তে ধর্মীয়গুরু (ভান্তে)দের জন্য জাদি প্রতি প্রতিটি প্যাকেট ২৫কেজি চাউল, ৫কেজি আলু, ১কেজি ডাল, ১লিটার তেল, ১কেজি চিনি, ২৫০গ্রাম দুধ, ২০০গ্রাম চা-পাতা প্রদান করা হবে। তবে জেলা সদরসহ উপজেলার যেসব বড় বড় জাদি রযেছে তাদের ক্ষেত্রে এসব খাদ্যসামগ্রীর পরিমান দ্বিগুন দেয়া হবে বলেও জানিয়েছে।
উল্লেখ্য-বান্দরবানে মারমা, চাকমা, ত্রিপুরা, ম্রো, বম, তঞ্চঙ্গ্যা, খুমি, লুসাইসহ ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পৃথক পৃথক ভাবে সাংগ্রাই ও বৈশাবি উৎসব পালন করে আসছে যুগ যুগ ধরে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।