মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সহজ পথে কাজটা খুব কঠিন, অনিশ্চিতও। তাই মঙ্গলগ্রহের প্রাণ-রহস্যের সমাধানে যে পদ্ধতির কথা ভাবছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা, তা শুনে প্রাথমিক ভাবে এমনটাই মনে হতে পারে সাধারণ মানুষের। আপাতত যে নকশা ভাবা হয়েছে, তাতে লাল গ্রহ থেকে পাথর খুঁজে পৃথিবীর মাটিতে নিয়ে এসে তার উপরেই চালানো হবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। শুনতে সহজ, কিন্তু কাজটা করতে গিয়ে কালঘাম ছুটছে বিজ্ঞানীদের। এ কাজে নাসার সঙ্গে জোট বাঁধার সম্ভাবনা রয়েছে ইউরোপিও মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘এসা’-র।
এই মিশনের নাম দেয়া হয়েছে ‘মার্স স্যাম্পল রিটার্ন’। অভিযানটিতে সবার আগে কাজে লাগবে নাসার তৈরি নতুন মার্স ২০২০ রোভার। ২০২১ সালের শুরুর দিকে মঙ্গলগ্রহের জেজেরো গহ্বরে নামার কথা ওই রোভারের। এই রোভার মাটির নমুনা সংগ্রহ করবে, সেটিকে একটি ধাতব টিউবে ভরবে ও তার পর শক্ত করে সেটিকে সিল করে দেবে। এ পর্যায়ের কাজ এখানেই শেষ। মঙ্গলপৃষ্ঠের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ওই টিউবটিকে রেখে দেওয়া হবে। এর পরের পর্যায়ের কাজ এসা-র। তারা একটি যান পাঠাবে যার নাম ‘ফেচ রোভার।’ সেটির কাজ ওই টিউবটিকে ক্যানিস্টার বন্দি করা। পরের ধাপে ভেবে রাখা হয়েছে একটি বিস্ফোরণের কথা। মার্কিন একটি রকেট সে কাজে সাহায্য করবে। বিস্ফোরণের জেরে মহাকাশে ছিটকে পড়ার কথা ওই ক্যানিস্টারের।
এর পরের ধাপের কাজ মঙ্গলকে প্রদক্ষিণ করে ঘুরতে থাকা একটি মহাকাশযানের। সেটি ওই ক্যানিস্টারটিকে সংগ্রহ করে পৃথিবীতে পাঠাবে যা প্যারাশুটে করে উটাহের মরুভূমিতে নেমে আসবে। মাটি-সহ পাথরের সেই নমুনা ছড়িয়ে দেওয়া হবে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। তবে সবটাই অত্যন্ত কঠিন ও জটিল সমন্বয়ের উপর দাঁড়িয়ে। খরচও বিপুল। বিষয়টিতে আদৌ অংশ নেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চলতি সপ্তাহে সেভাইলে বৈঠক রয়েছে এসা-র সদস্য দেশগুলির। তার পরেই বোঝা যাবে মঙ্গল অভিযানের ভবিষ্যৎ। সূত্র: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।