Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ২৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মঙ্গল গ্রহে তরল পানির হ্রদ

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০১৮, ১২:০২ এএম

মঙ্গল গ্রহে তরল পানির হ্রদের সন্ধান পাওয়া গেছে। হ্রদটি পাওয়া গেছে মঙ্গলগ্রহের দক্ষিণ মেরুতে। বরফে আচ্ছাদিত এই হ্রদের আয়তন হবে ২০ কিলোমিটারের (১২ মাইল) মতো। এর আগের বিভিন্ন গবেষণায় মঙ্গল গ্রহের তরল পানির প্রবাহের ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও এই প্রথম সেখানে স্থায়ী হ্রদের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। বাতাসের ঘনত্ব কম হওয়ার কারণে ঠাÐায় হ্রদটি বরফের নীচে আটকা পড়েছে। মার্শ এক্সপ্রেস নামে একটি নভোযান মঙ্গলের কক্ষপথ পরিদর্শন করছে। ওই নভোযানের ভেতরে মারসিস নামে একটি রাডার এই হ্রদের সন্ধান পেয়েছে। মঙ্গল নিয়ে এই গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন ইতালির ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের অধ্যাপক রবার্তো ওরোসেই। তিনি বলেন, হ্রদটি আকারে তেমন বড় নয় তবে এটি একটি সত্যিকারের পানিআধার। এটি এমন নয় যে পাথর বা বরফের খাঁজে কিছু পানি আটকে আছে। এটি সত্যিই একটা হ্রদ। গবেষক দলটি জানায়, এই কমপক্ষে এক মিটার গভীর। বিজ্ঞানীরা বলেন, পৃথিবীর বাইরে অন্য কোথাও জীবনের অস্তিত্ব নির্ভর করে সেখানে পানি রয়েছে কিনা তার ওপর। মঙ্গলে সেই পানি থাকার সম্ভাব্য প্রমাণ এখন পাওয়া গেল। তবে শুধু পানি থাকলেই হবে না, সেই পানির তাপমাত্রা কত এবং তার ভেতরে কি ধরণের রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে, সেটাও প্রাণের অস্তিত্বের জন্য জরুরি। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, মঙ্গলের এই পানিআধারে পানির তাপমাত্রা ১০ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই ঠাÐাতেও যে হ্রদটি তরল রয়েছে তার অর্থ এটিতে প্রচুর লবণ রয়েছে। খবরে বলা হয়, মঙ্গলে হ্রদের সন্ধান পাওয়ার খবরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে বোদ্ধামহলে। বিশ্বের অনেক গণমাধ্যমই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ করেছে। খবরে বলা হয়, এর আগের গবেষণায় মঙ্গলের ভূপৃষ্ঠে বহমান পানিধারা থাকার সম্ভাব্য লক্ষণ দেখেছিলেন গবেষকরা। তবে এবারই প্রথম এই গ্রহে স্থির পানি থাকার প্রমাণ দেখতে পেয়েছেন তারা। এর আগে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার কিউরোসিটি রোবটের অনুসন্ধানে জানা গেছে, মঙ্গলের ভূপৃষ্ঠে অতীতে পানি ছিল। তবে পরবর্তীতে তাপমাত্রা হ্রাসের কারণে এখানকার আবহাওয়া বরফশীতল হয়ে পড়ে। ফলে পানি বরফে পরিণত হয়ে যায়। এত আরো বলা হয়, এই খবর গুরুত্বপূর্ণ কারণ বিজ্ঞানীরা মঙ্গলগ্রহে পানি উপস্থিত থাকার প্রমাণ খুঁজছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। তবে এতদিন ধরে সুস্পষ্ট প্রমাণ তারা পাননি। বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ