Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মঙ্গল শোভাযাত্রা সর্বজনীন নয়

বিবৃতিতে মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ১২ এপ্রিল, ২০১৯, ২:০১ এএম

ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী এক বিবৃতিতে বলেছেন, মঙ্গল শোভাযাত্রা সার্বজনীন নয়, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার উৎসবও নয়। মঙ্গল শোভাযাত্রা শিরক বা মহান আল্লাহর সাখে অংশীদারিত্বের ধারণা জড়িত । অমুসলিমদের প্রতীক ও উপমা ব্যবহার করে কল্যাণ কামনা করা মুসলিম সমাজে প্রচলিত নয় । মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে কল্যাণ চাওয়া মুসলিম সংস্কৃতির অংশ নয়। মঙ্গল শোভাযাত্রা একটি সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ধর্ম ও সংস্কৃতির অংশ।
মূলতঃ দেব-দেবীকে উদ্দেশ্য করে এসব আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটি সংখ্যালঘু গোষ্ঠী কল্যাণ কামনা করে থাকে। পশু-পাখিকে সমৃদ্ধি ও কল্যাণের প্রতীক মনে করা একজন তৌহিদবাদী মুসলমানের পক্ষে কোনক্রমেই সম্ভব নয়। মুসলমানরা বিশ্বাস করে সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কেবলমাত্র আল্লাহর কাছ থেকেই আসতে পারে। মুসলমানের সংস্কৃতির উৎস ইসলামী জীবন দর্শন ভিত্তিক মূল্যবোধ। তিনি আরো বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রায় থাকে বিচিত্র রকম পশুপাখীর মুখোশ পরিহিত নর-নারী। যেসব পশু-পাখী নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা করা হয়, তা ও এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাস ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্যের পরিপন্থী।
তিনি বলেন, এই মঙ্গল শোভাযাত্রায় থাকে বিচিত্র রকম পশুপাখীর মুখোশ পরিহিত নর-নারী। এরা বাঘ বিড়ালের মূখে চিংড়ি, মা মাছ, সন্তানতুল ছোট মাছ, হাঁস, পাখা মেলা ময়ূর,লক্ষী পেঁচা, হরিণ শাবকের মাধ্যমে বাঙ্গালীর আবহমান ঐতিহ্যকে তুলে ধরার দাবি করে। যেসব পশু-পাখী নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা করা হয়, তা ও এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাস ও সাংস্কৃতিক স্বাত্বন্ত্রের পরিপন্থী।
এদেশে একটি সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর ধর্ম হচ্ছে প্রতীকবাদী। প্রতীকের মাধ্যমে তারা পূজা-প্রার্থনা করেন। ইসলামে এটা সম্ভব নয়। তাই মঙ্গল শোভাযাত্রায় যেসব প্রতীক উপস্থিত করা হয়, মুসলমানদের কাছে তা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। কারণ দুই সম্প্রদায়ের জীবন-দৃষ্টির মধ্যে বিরাট পার্থক্য রয়েছে ।
তিনি বলেন, বাংগালী সংস্কৃতির নামে ঋতু ও নববর্ষবরণ বা অন্য যেকোন উৎসব উদ্্যাপনে বিধর্মীয় সংস্কৃতি সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণকে ধারণ, চর্চা ও অনুশীলন করাতে দেখা যায়। বিধর্মীয় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ওপর চাপিয়ে দেয়ার প্রবনতা লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে নববর্ষ উৎসবে বিধর্মীয় সংস্কৃতির প্রভাব এমনভাবে প্রবেশ করানো হচ্ছে যে, এতে আমাদের স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক সত্ত¡াই চরম হুমকীর সম্মূখীন হওয়ার উপক্রম হচ্ছে। মুসলিম জনগণকে বৈশিষ্টহীন করার লক্ষ্যে এ অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে। জাতীয় আদর্শ, ঐতিহ্য রীতি-নীতি ও স্বকীয়তা বিরোধী পশ্চিমা প্রতীক সম্বলিত অপসংস্কৃতি লালন, র্চ্চা ও অনুশীলন থেকে বিরত থাকার ক্ষেত্রে স্বচেস্ট হওয়া উচিৎ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মঙ্গল শোভাযাত্রা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ