পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভারত-অধিকৃত কাশ্মীর ও ভারতে মুসলমানদের উপর অত্যাচার নিয়ে বিশ্ব স¤প্রদায়ের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। প্রধানমন্ত্রী কাশ্মীরি জনগণের দুর্দশার কথা তুলে ধরার জন্য টুইটারের আশ্রয় নিয়েছেন, যা তিনি ৫ আগস্ট একতরফাভাবে কাশ্মীরকে ভারতের অঙ্গীভ‚ত করার দিন থেকেই করে আসছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার টুইটারে তিনি বলেন, ‘মোদি সরকারের ভারতীয় দখলদার বাহিনীর হাতে অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের অবরোধের ৩২তম দিন আজ’, অবরোধের আড়ালে ভারতীয় বাহিনী হত্যা, পেলেট গানে আহত এবং কাশ্মীরি পুরুষ, মহিলা এবং শিশুদের নির্যাতন করছে। পুরুষদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং ভারতের বিভিন্ন কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছে।’
কারফিউ ও যোগাযোগ বন্ধের প্রভাব তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘হাসপাতালগুলোর চিকিৎসা সরবরাহ শেষ হয়ে গেছে; নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে কাশ্মীরিদের বাইরের বিশ্ব এবং তাদের পরিবারগুলির কাছ থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। তবুও, এই গল্পগুলির ভয়াবহতা আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় তাদের পথ সন্ধান করছে।’
প্রধানমন্ত্রী এক কথায় বলেছিলেন, ‘মানবতাবাদী আইনসহ সকল আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বিশ্ববাসীরই দেখার বিষয়। কিন্তু বিশ্ব কেন নিরব? মুসলমানরা যখন নিপীড়িত হচ্ছে তখন আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের মানবতা কি মরে গেছে? বিশ্বের ১৩০ কোটি মুসলমানের কাছে কী বার্তা পাঠানো হচ্ছে?’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ১৯৩৮ সালে মিউনিখের মতো অজ্ঞতা বিশ্ব দেখাতে পারে না।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের সিদ্ধান্ত ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরের প্রায় সম্পূর্ণ মানুষকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। উপত্যকার বাইরের অনেক কাশ্মীরিও বলেছেন যে, তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে তাদের সমস্যা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার পিটিআই জানিয়েছে, উপত্যকায় দিনের বেলা চলাচলে কোনো বিধিনিষেধ নেই। তবে নিরাপত্তা চৌকিগুলো যথাস্থানে রয়ে গেছে।
এর আগে বুধবার পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ (আইএসপিআর) এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আসিফ গফুর অধিকৃত কাশ্মীরের জনগণকে বলেছিলেন, পাকিস্তানী সশস্ত্র বাহিনী তাদের পাশে আছে এবং তাদের ভ‚মি রক্ষায় যে কোনো হদ পর্যন্ত যাবে।
অধিকৃত কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে জেনারেল সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র আরো বলেন, ভারতের যে কোনো ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশনের ‘উপযুক্ত জবাব’ দেয়া হবে।
তিনি বলেন, ‘আমি কাশ্মীরিদের এই বার্তা দিতে চাই যে, আমরা আপনাদের পাশে আছি এবং তা অব্যাহত রাখব। দুঃখের বিষয় যে, আপনাদের স্বাধীনতা সংগ্রামকে সন্ত্রাসবাদ হিসাবে উপস্থাপন করা হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘কাশ্মীর আমাদের যুগল শিরা এবং আমরা এটি রক্ষার জন্য যে কোনো পর্যায় পর্যন্ত যাব।’ সূত্র : ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।