মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সম্প্রতি টুইটারের মালিক ইলন মাস্ক তার শিবা ইনু জাতের কুকুর ফ্লোকির একটি ছবি শেয়ার করেছেন, সেখানে দেখা যাচ্ছে সিইওর চেয়ারে বসে রয়েছে ফ্লোকি। ছবিতে ফ্লোকিকে টুইটার ব্র্যান্ডের কালো টি-শার্ট পরা দেখা যাচ্ছে। যার উপরে সিইও লেখা রয়েছে। তার সামনে টেবিলে তার পায়ের ছাপ-সহ কয়েকটি নথি পড়ে আছে। ফ্লোকির সামনে একটি টুইটার লোগো সহ একটি ছোট ল্যাপটপ রাখা হয়েছে।
ছবিটি শেয়ার করে মাস্ক লিখেছেন, ‘টুইটারের নতুন সিইও আশ্চর্যজনক’। অন্য একটি টুইটে তিনি যোগ করেছেন যে টুইটারের নতুন সিইও ‘অন্য’ লোকের চেয়ে অনেক ভালো। অর্থাৎ তিনি প্রাক্তন টুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়ালের কথা উল্লেখ করছেন। টুইটার কেনার আগে কয়েক মাস পানি ঘোলা করেছেন মাস্ক। গত এপ্রিলে তিনি জানান, টুইটারের ৯ শতাংশের বেশি শেয়ার তিনি কিনে নিয়েছেন। এত শেয়ার কিনলে সাধারণত যেকোনও প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। নিয়ম অনুসারে, তাকেও টুইটারের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হতে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু এতে সাড়া দেননি তিনি। বরং তিনি টুইটার পুরোপুরি কিনে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। প্রতিষ্ঠানটি ৪ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলারে কিনে নেয়ার ঘোষণা দেন আলোচিত ধনকুবের।
তবে এধরণের রসিকতা নতুন নয় মাস্কের। টুইটার কেনার আগেও বেশ মজা করেছেন ইলন মাস্ক। যেমন, প্রতিষ্ঠানটি কিনে নেয়ার আগের দিন টুইটার কার্যালয়ে যান তিনি। সেখানে যাওয়ার একটি ভিডিও টুইটারে পোস্ট করেন। এতে দেখা যায়, হাতে একটি সিংক নিয়ে সদর দপ্তরে ঢুকছেন তিনি। এর ক্যাপশনে মজা করেই লিখেছেন, ‘আসুন, ডোবা যাক!’ কিন্তু কেনার পরই ইলন মাস্ক অন্য রূপে হাজির হন। ২৭ অক্টোবর প্রতিষ্ঠানটি কেনার পরপরই টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পরাগ আগরওয়ালকে চাকরিচ্যুত করেন তিনি। একই সঙ্গে টুইটারের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা নেড সেগাল এবং আইন ও নীতিবিষয়ক প্রধান বিজয়া গাড্ডেকেও চাকরিচ্যুত করেন। এই তিন কর্মকর্তা তাকে বিভ্রান্ত করেছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন ইলন মাস্ক।
খামখেয়ালি আচরণ, নিজের মতো করে প্রতিষ্ঠান চালানো, যখন-তখন কর্মী ছাঁটাইয়ের ক্ষেত্রে ইলন মাস্কের পরিচিতি রয়েছে। তার বৈদ্যুতিক গাড়িনির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা তখন তাদের মডেল-থ্রি গাড়ির উৎপাদন বাড়ানো নিয়ে হিমশিম খাচ্ছিল। টেসলার প্রধান ইলন মাস্ক তখন কাজের চাপ সামলাতে প্রতিষ্ঠানটির কারখানার কনফারেন্স রুমে ঘুমাতে শুরু করেন। তিনি তখন বিনা নোটিশে কোম্পানির কর্মী এবং নির্বাহীদের বরখাস্ত করেছিলেন। সূত্র: বিজনেস টুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।