Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘বিশ্বাসেই মেলে আত্মবিশ্বাস’

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ জুলাই, ২০১৯, ১২:০০ এএম

বিপুল প্রত্যাশা নিয়ে বিশ্বকাপে গিয়ে হয়েছেন ব্যর্থ। অধিনায়কের ভার নিয়ে গিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কায়। তামিম ইকবাল সেই ভারে যেন আরও ন্যুহ্য। রান পাচ্ছে না, আউট হওয়ার ধরণও প্রশ্নের মুখে ফেলছে তার ব্যাটিং। গত ছয় ম্যাচেই টানা বোল্ড হয়েছে। আত্মবিশ্বাস তলানীতে যাওয়া ফুটে বেরুচ্ছে তার ব্যাটিং দেখে। এই সংকট থেকে বেরুতে পারবেন, এমন জোর বিশ্বাসের কথাই শোনালেন সব সংস্করণেই বাংলাদেশের সেরা রান সংগ্রাহক।

প্রথম দুই ওয়ানডে হেরে এরমধ্যেই সিরিজ খুইয়ে বসেছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আজ শেষ ম্যাচটা কেবলই আনুষ্ঠানিকতার। দলের খুব বেশি কিছু পাওয়ার না থাকলেও ব্যক্তিগতভাবে তামিমের পাওয়ার যে আছে অনেক সেই তাড়না অনুভব করছেন তিনি, ‘আমি প্রতিদিনই অনুভব করার চেষ্টা করি। প্রতিদিনই আমার মনে হয় যে আজকে হয়ে যাবে, আজকে হয়ে যাবে। আমি আউট হওয়ার ধরণও বুঝতে পারছি। শেষ ৬ ম্যাচে একইরকম ডিসমিসাল হয়েছে।’

ভুল হচ্ছে, ভুলের চক্কর থেকে বেরুতে চান। সেজন্য আর কোন কিছু না নিজের বিশ্বাসটাই সঙ্গী তামিমের, ক্যারিয়ারে এর আগেও এমন পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন, সেখান থেকেই উত্তরণের পথ খুঁজছেন দেশসেরা ওপেনার, ‘একজন ক্রিকেটার হিসেবে এসব থেকে বেরুনোর বিশ্বাস রাখতে হবে। ইতিবাচক ব্যাপার হচ্ছে, এই রকম পরিস্থিতিতে আমি প্রথমই পড়লাম না। অভিজ্ঞতা আগেও হয়েছে। নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে যে এর থেকে বেরুতে পারব। বিশ্বাস না রাখলে এটা আরও কঠিন হয়ে যাবে।’

বিশ্বকাপ শেষ হতেই স্টিভ রোডসকে বিদায় দিয়ে দেওয়া হয়েছে। শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য দলের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে খালেদ মাহমুদ সুজনকে। প্রথম দুই ম্যাচের ব্যর্থতার পর সে সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন ওঠাটাই স্বাভাবিক। নিয়মিত কোচের বদলে আপৎকালীন কোচ দিয়ে এ সিরিজ খেলতে আসা ভুল হয়নি তো? প্রশ্নটা নতুন করে উঠেছে তাঁর ক্যাসিনোতে যাওয়া নিয়ে। সেটির ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি। নিজের ফর্ম নিয়ে এমনিতেই সমালোচনার মধ্যে আছেন তামিম। এমন অবস্থাতেও দলের ব্যর্থতার কারণ হিসেবে কোচ মাহমুদকে লক্ষ্যবস্তু বানাতে আপত্তি দেখা গেল তাঁর মাঝে, ‘এমন কিছু নয়। আমাদের বর্তমান যে কোচ আছেন তিনি আসলেই তাঁর সেরা চেষ্টা করেছেন। তিনি গতানুগতিকের বাইরেও অনেক কিছু করার চেষ্টা করেছেন। সাফল্য পেতে যা যা সম্ভব সবই করেছেন।’

এমনিতেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কোচকে নিয়ে সরগরম। গত রোববার সিরিজ হেরে যাওয়ার পর এক ক্যাসিনোতে দেখা গিয়েছিল সুজনকে। দলের এমন অবস্থায় তাঁর এ আচরণের ব্যাখ্যা দিয়েছেন কোচ। বলেছেন তিনি রাতের খাবার খেতে গিয়েছিলেন ক্যাসিনোতে। এর আগে ২০১৫ বিশ্বকাপের আসরেও তার বিরুদ্ধে এসেছিল একই অভিযোগ। সেবার ম্যানেজার হিসেবে দলের সঙ্গে ছিলেন মাহমুদ। এবার যে তিনি দলের কোচ। ফলে তাঁর আচরণ দলের খেলার ওপর প্রভাব ফেলতেই পারে। তামিম অবশ্য দলের বাজে পারফরম্যান্সে কোচের ভূমিকা খুঁজে পাচ্ছেন না, ‘যখন আমরা ভালো খেলছি না তখন তার দায় কোচের ওপর দেওয়া ঠিক না। আমরা যখন ভালো করছি না তখন কোচকে দায় দেওয়ার মানে হয় না। আমার ধারণা কোচ তার সেরাটাই দিয়েছেন, আমাদের জন্য সেরা ফ্যাসিলিটিজের ব্যবস্থা করেছেন। সব খেলোয়াড়কে প্রস্তুত হওয়ার সবটুকু সুযোগই তিনি দিয়েছেন। সর্বোচ্চই দিয়েছেন, সম্ভাব্য সেরাটুকুই।’ এ কারণেই ‘লঙ্কাওয়াশ’ এড়ানোর ম্যাচে সবটুকু দায়িত্ব নিজেদের কাঁধেই নিয়ে নিয়েছেন তামিম, ‘তাঁকে দায় দেওয়া ঠিক হবে না। বরং যে এগারোজন আমরা মাঠে ছিলাম তারা নিজেদের কাজটা করতে পারিনি বলেই হেরেছি।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আত্মবিশ্বাস


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ