পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অষ্টম শ্রেণীর জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং পঞ্চম শ্রেনীর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা চলমান রাখার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বলেছেন, এসব পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে সাহায্য করছে।
গতকাল সকালে গণভবনে এক অনুষ্ঠানে অষ্টম শ্রেণীর জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি), জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও এর সমমানের এবতেদায়ী পরীক্ষার ফল প্রধানমন্ত্রীর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেয়া উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফল হস্তান্তর করেন। এ সময় ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং ১টি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানগণ উপস্থিত ছিলেন। একই অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী দেশব্যাপী পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমেরও উদ্বোধন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রাথমিক এ যেহেতু ক্লাস ফাইভে এবং এইটে একটা পরীক্ষা হচ্ছে-জানি অনেকেই এর বিরুদ্ধে কথা বলেন। অনেকের আপত্তি আছে কেন এই পরীক্ষাটা হচ্ছে। কিন্তু এই পরীক্ষাটা হওয়ার ফলে আমাদের ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের মাঝে একটা আত্মবিশ্বাস গড়ে উঠছে। তারা পরীক্ষার পরে হাতে যে একটা সার্টিফিকেট পাচ্ছে সেটা আমি মনে করি তা তাদের সামনের দিকে পড়াশোনায় আরো মনযোগী করবে,এ কথা বলেন তিনি।
কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, সকলেই তো আর উচ্চশিক্ষা নেবে না, অনেকেই কারিগরি শিক্ষা বা অন্য যেসব তাদের দক্ষতা রয়েছে সেসব পেশায় তারা যাবে। এ অবস্থায় একটি সার্টিফিকেট থাকলে তাদের সুবিধা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি দারিদ্র মুক্ত দেশ গড়তে আমাদের শিক্ষিত জনগোষ্ঠী একান্ত প্রয়োজন। তাই, আমরা শিক্ষার প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। যে শিক্ষাটা হতে হবে আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন। আমাদের শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান পড়ার আগ্রহ কমে যাওয়ার বিষয়টি লক্ষ্য করেই আওয়ামী লীগ ’৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে দেশে ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয় এবং ৬টি নির্মাণও করে দেয়।
তিনি এ সময় কম্পিউটারের ট্যাক্স কমিয়ে দিয়ে শিক্ষার্থীদের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসায় আওয়ামী লীগ সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, যার সুফলটা আমরা এখন পাচ্ছি। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম আজকে সেই বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে। আজকে শিক্ষার্থীরা মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমে বসে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে।
তিনি বলেন, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশকে যেমন সুনির্দিষ্ট করেছি তেমনি নদী মাতৃক বাংলাদেশে সুদুর প্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণের অংশ হিসেবে ডেল্টা প্লান-২১০০ প্রণয়ন এবং পর্যায়ক্রমে তা বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিয়েছি। অর্থাৎ একশ বছর পরেও বাংলাদেশ কেমন হবে সে পরিকল্পনাও আমরা জাতিকে দিয়েছি।
সরকার প্রধান বলেন, আজকে পরীক্ষার ফলাফল উন্নতিতে আমরা অনেক প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। ফলাফল যেন সঠিক সময়ে হয় সেটাও আমরা দেখছি। বিনা পয়সায় বই বিতরণের সুবাদে শিক্ষার প্রতি মানুষের উৎসাহ বাড়ছে। পরীক্ষার ফলাফলে প্রায় ৮৫ শতাংশ কৃতকার্য হওয়াকে ভালো উল্লেখ করে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ায় আরো উৎসাহ প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষক এবং অভিভাবকদের প্রতিও প্রধানমন্ত্রী আহবান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।