নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
গতকাল মিরপুরে যখন আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন হচ্ছে বাংলাদেশ দলের, টি-২০ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ব্যাস্ত আইপিএলের ফাইনালের রণকৌশল নিয়ে। তবে না থেকেও ছিলেন তিনি এবং তার দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের আকে সতীর্থ যার ঘূর্ণিপাকে দিশেহারা হালের বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানরা, রশিদ খান। স্বভাবতই সাংবাদিকদের কৌতুহল মেটানোর জন্য সাকিবের কাছে করা প্রশ্নগুলোই উড়ে এলো সহ-অধিনাকয় মাহমদুউল্লাহ রিয়াদের দিকে। তবে ঢাল হিসেবে এদিনও তার সঙ্গী সদ্যই আফগানিস্তান সিরিজেও কোচের দায়িত্ব পাওয়া কোর্টনি ওয়ালশ।
আফগানিস্তানের দুই স্পিনার নিয়ে হাওয়া গরম থাকলেও প্রশ্নটা যখন ব্যাটিং আর পেস বোলিং নিয়ে, তখন অভিজ্ঞতা গভীরতার দিক থেকে নিজেদেরই এগিয়ে রাখছেন মাহমুদউল্লাহ। তবে সংস্করণটা টি-টোয়েন্টি বলেই জমজমাট লড়াইয়ের আভাসও তার।
আফগানিস্তান সিরিজ সামনে রেখে দেশের মাঠে অনুশীলন শেষ করেছে বাংলাদেশ। গতকাল ও আজ বিশ্রাম নিয়ে আগামীকাল দেরাদুনে রওয়ানা হবে টাইগাররা। তার আগে গতকাল দুপুরে মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে দলের হালচাল তুলে ধরেন বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত কোচ ও সহ-অধিনায়ক।
আফগানদের বিপক্ষে নিজেদের সেরা দল নিয়েই যাচ্ছে বাংলাদেশ। ফর্ম আর ফিটনেসে নিজেদের সেরা সময়ে আছেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর সাকিব আল হাসানরা। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে স্পিন বোলিং দিয়ে বাজিমাত করলেও ব্যাটিং নিয়ে খুব ভুগেছে আফগানরা। কয়েকজন আগ্রাসী ব্যাটসম্যান থাকলেও কারোরই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো নামডাক নেই। এই জায়গায় নিজেদের এগিয়ে রাখছেন কিনা এমন প্রশ্নে সায় দিলেন মাহমুদউল্লাহ, ‘এটা বলা খুব কঠিন। আমাদের ব্যাটিং শক্তি একরকম। অবশ্যই আমাদের ব্যাটিং গভীরতা এবং অভিজ্ঞতা ওদের চেয়ে এগিয়ে। ওদেরও টি-টোয়েন্টি পারফরম্যান্স খুব ভালো। বোলিং খুবই ভালো। তারকা ক্রিকেটারও আছে। দুইটা টিমের শক্তির জায়গা দুইরকম। যেটা আগে বললাম, খুব ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। এর বাইরে সহজ কোন অপশন নেই।’
আফগান তিন স্পিনার রশিদ খান, মুজিবুর রহমান আর মোহাম্মদ নবীর সামর্থ্য আছে যেকোনো দলের বিপক্ষেই ভালো করার। বাংলাদেশে স্পিন আক্রমণের ভরসা সাকিবই। টি-টোয়েন্টি অভিজ্ঞতা ও সামর্থ্যের এখনো প্রমাণ দেওয়া বাকি নাজমুল ইসলাম অপু, মেহেদী হাসান মিরাজদের। তবে পেস বোলিং বিভাগে নিজেদেরই সমৃদ্ধ ভাবছেন মাহমুদউল্লাহ, ‘দুইটা দলের শক্তির জায়গা দুইরকম। যদি পেস আক্রমণ দেখেন, ‘ওদের চেয়ে আমাদের পেস আক্রমণ বেশি সমৃদ্ধ। রুবেল,মোস্তাফিজ অনেক দিন ধরে ক্রিকেট খেলছে। তারা জানে কিভাবে চাপ নিতে হয়। এছাড়া তরুণদের মধ্যে রনি (আবু হায়দার), রাহী (আবু জায়েদ) খুব ভালো বোলার।’
ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজেদের পোক্ত অবস্থা বেশ কিছুদিন থেকেই তৈরি করেছে বাংলাদেশে। উন্নতি করেছে টেস্টেও। তবে ভোগাচ্ছিল টি-টোয়েন্টি। কোনভাবেই যেন এই ফরম্যাটের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছিল না বাংলাদেশ। সর্বশেষ নিদহাস কাপে ফাইনালে উঠে সেই বদনাম কিছুটা চাপা দিয়েছে সাকিব আল হাসানের দল। এবার র্যাঙ্কিংয়ে দুই ধাপ এগিয়ে থাকা আফগানিস্তানকে হারিয়ে সেই ধারায় ধরে রাখার প্রত্যয় শোনালেন মাহমুদউল্লাহ, ‘কিছুদিন আগেও আমাদের সামনে প্রশ্নবোধক একটা চিহ্ন ছিল। এখন ওটা আমাদের সামনে থেকে সরে গেছে। দিনে দিনে আমরা উন্নতি করছি। এই সিরিজটি আরও একটা সুযোগ, প্রতিটি ম্যাচ জেতার। এই সিরিজটা জিততে পারলে, পরবর্তী সব সিরিজের জন্য দারুণ সুযোগ তৈরি হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।