Inqilab Logo

রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

মধ্যরাতে খুলনা অঞ্চল অতিক্রম : ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশের প্রভাব শুরু : মংলা ও পায়রায় ৭, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সঙ্কেত বহাল : ৫ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসের পূর্বাভাস

ভারত পেরিয়ে আসছে দুর্বল ‘ফণি’

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩ মে, ২০১৯, ৫:০৬ পিএম | আপডেট : ৫:২০ পিএম, ৩ মে, ২০১৯

দক্ষিণ ভারতের ওডিশা উপকূলে তীব্রবেগে আঘাতের পর ক্রমেই পশ্চিমবঙ্গের দিকে এগিয়ে দুর্বল হয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে ‘ফণি’র গতিবেগ ঘণ্টায় ১৪০ কি.মি., যা দমকা ও ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৬০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ দুপুর পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’র কেন্দ্রের ভেতরের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮০ থেকে ২শ’ কিলোমিটার বলেই জানায়।
‘ফণি’ বর্তমানে মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। আজ শুক্রবার দুপুর থেকে বৃহত্তর খুলনার উপকূলীয় অঞ্চলে ‘ফণি’র অগ্রবর্তী অংশের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। সাগরের পানি উপকূলভাগের অনেক জায়গায় ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। ‘ফণি’ এগিয়ে আসছে ধীর গতিতে। বিভিন্ন স্থানে আকাশ মেঘলাসহ থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আবার চট্টগ্রামসহ অনেক জায়গায় ‘ফণি’র এখনও কোনো প্রভাব পড়েনি। দিনভর কড়া রোদের দহনের মধ্যেই অসহ্য ভ্যাপসা গা-জ্বলা গরম অব্যাহত রয়েছে।
‘ফণি’র কারণে মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সঙ্কেত বহাল রাখা হয়েছে। অমাবস্যা থাকায় ‘ফণি’র প্রভাবে দেশের চর উপকূল ও দ্বীপাঞ্চলে ৪ থেকে ৫ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। প্রত্যন্ত উপকূলে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসরত লোকদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
আজ বিকেলে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়াবিদ মোঃ আবদুর রহমান খান জানান, ভারতের ওডিশা উপকূল ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ আরও উত্তর, উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও কিছুটা দুর্বল হয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আকারে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
ঘূর্ণিঝড়টি আজ বিকাল ৩ টায় মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৪৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৯৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৬০ কি.মি. পশ্চিমে এবং চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৬০ কি.মি. পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর, উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ মধ্যরাত নাগাদ খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় পৌঁছাতে পারে। খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’র অগ্রবর্তী অংশের প্রভাব শুরু হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফণি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ