Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফণি আর রোজার প্রভাব সবজির বাজারে আগুন

চট্টগ্রাম ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০১৯, ১২:৩২ এএম

রমজান সামনে রেখে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, চিনি, ছোলার দাম ঊর্ধ্বমুখী। আর এরমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় ফণির প্রভাবে মাছের বাজারে উত্তাপ বাড়ছে। সাগরে মাছ ধরা বন্ধ, কাপ্তাই লেকেও বন্ধ রয়েছে মৎস্য আহরণ। ফলে বাজারে মাছের সংকট। গোশতের দামও এখন চড়া।
গতকাল শুক্রবার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শাকবসজির সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে রমজানের নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যেরও। প্রশাসনের বাজার মনিটরিংয়ের মধ্যেও ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ছে। বাজারভেদে মূল্যের তারতাম্যও রয়েছে।
সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ থাকায় বাজারে সামুদ্রিক মাছ তেমন নেই। তবে পুকুর ও খামারের মাছের সরবরাহ বাড়ছে। জীবিত রুই, কাতলা, কৈ, মাগুর, শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে, দামও খুব চড়া। রুই মাছ ২৮০-৩০০ টাকা, কাতল ৩০০-৩২০, কালিবাউশ ৩০০-৩৫০, ব্রিগেট ২৫০-৩০০, তেলাপিয়া ১৮০-২০০, মৃগেল ১৯০-২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে শিং ৬০০-৬৫০ টাকা, মাগুর ৫০০-৬০০, পাবদা ৫০০-৬০০, ছোট চিংড়ি ৫০০-৫৫০, মাঝারি ৬০০-৬৫০ এবং বড় চিংড়ি ৭০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পোয়া ৩৫০-৪০০, কোরাল আকারভেদে ৫০০-৭০০, রূপচাঁদা ৭৫০-৮০০, মাঝারি সাইজের ইলিশ ৭০০-৮০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
গোশতের দামের উত্তাপ এখনও কমেনি। ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ১৬০-১৭০ টাকা, সোনালিকা ২৭০-২৯০, টার্কি ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি ৩৮০ থেকে ৪২০ টাকা। প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকায়। হাড়ছাড়া গরুর গোশত ৭০০ টাকা, হাড়সহ ৬০০ টাকা, খাসি ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে। কাকরোল ৬০-৭০ টাকা, পটল ৪০-৫০, বরবটি ৫০-৫৫, লাউ ৪০, ঢেঁড়স ৬০, তিতা করলা ৫৫-৬০, ঝিঙ্গে ৪৫-৫০, চিচিঙ্গা ৫০-৫৫, মিষ্টি কুমড়া ৩০-৩৫, বড় শসা ৬০, পেঁপে ২০, চাল কুমড়া ২০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলু ১৫-২০, দেশি আলু ৩৫-৪০, টমেটো ৪০-৫০, কাঁচামরিচ ৫০-৬০, কচুর লতি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫-৭ টাকা বেড়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজ মানভেদে ২২-২৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজের কেজি ৩৫-৪০ টাকা, রসুনের দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ১০০-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আদার দামও বেড়েছে। প্রতিকেজি আদা ১১০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিনির দাম কেজিতে ৩-৫ টাকা বেড়েছে। বাড়ছে ছোলার দামও। ভালমানের ছোলা ৮০-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভোজ্যতেলের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ৯০ থেকে ৯৫ টাকা।
চালের দাম কেজিতে ১-৩ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। প্রতি কেজি পাইজার চাল ৫৪ থেকে ৫৬ টাকা, মিনিকেট চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, উৎসব চাল ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা, চিনিগুঁড়া ৯০ থেকে ১০৫ টাকা, কাটারিভোগ ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যাবসায়ীরা বলছেন সরকারিভাবে চাল কেনার ঘোষণা আসার পর থেকে চালের দাম বিশেষ করে মোটা চালের দাম বেড়ে যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফণি আর রোজার প্রভাব
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ