পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
মসজিদে আকসাকে বলা হয়, মহানবী (সা.) এর মেরাজে গমনের প্রথম সিঁড়ি বা পথ। বায়তুল মোকাদ্দাসে অবস্থিত মসজিদে আকসায় সে সময় আম্বিায়ায়ে কেরাম রসূলুল্লাহ (সা.) এর ইমামতিতে নামাজ আদায় করেন বলে বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। বায়তুল মোকাদ্দাস বহু নবীর স্মতিধন্য স্থান। সেখানে রয়েছে হজরত ইবরাহীম (আ.), হজরত ইসহাক (আ.) এবং হজরত ইয়াকুব (আ.) প্রমুখের কবর। ফেরেশতাগণের আগমনও ছিল অধিক।
আল্লাহ তাআলা বায়তুল মোকাদ্দাসকে মর্যাদাবান করেছেন এবং এ পবিত্র স্থান হতেই রসূলুল্লাহ (সা.)কে তাঁর সান্নিধ্যে নিয়েছেন। বায়তুল মোকাদ্দাসের ইতিহাস সুদীর্ঘ। দীর্ঘকাল এটি খ্রিস্টানদের দখলে ছিল। দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর (রা.) কর্তৃক বায়তুল মোকাদ্দাস বিজিত হওয়ার পর এক সময় এটি খ্রিস্টানেরা দখল করে নেয়। ৯১/৯২ বছর তাদের অধিকারে থাকার পর আল্লাহর সাহায্য আসে। সুলতান সালাহউদ্দীন আইউবী জেহাদি প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বায়তুল মোকাদ্দাস উদ্ধারে বেচাইন হয়ে পড়েন এবং ইউরোপের খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে রণ প্রস্তুতি আরম্ভ করেন। ইতিহাসের বর্ণনা অনুযায়ী, সুলতান সালাহউদ্দীন সর্ব প্রথম মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ করতে নানা স্থানে সৈন্য প্রেরণ করেন এবং বেশ কিছু এলাকা জয় করেন। তার সেই বিজয় অভিযানে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে খ্রিস্টানরা যে কোনো ছোট খাটো সংঘর্ষের পরও চুক্তি করত। কিন্তু চুক্তি ভঙ্গ করতেও তাদের বিলম্ব হতো না, এমনকি তারা মক্কা ও মদীনা আক্রমণেরও প্রস্তুতি গ্রহণ করে। এক পর্যায়ে সাগর পথে হাজীদের কাফেলা লুট করে, বহু হাজীকে হত্যা করে এবং অনেক হাজীকে বন্দি করে। সুলতান সালাহউদ্দীন খ্রিস্টানদের এসব চক্রান্ত ও বিশ^াসঘাতকতার খবর জানতে পারেন এবং প্রতিশোধ গ্রহণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হন। যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হন।
অতঃপর সুলতান সালাহউদ্দীন একটার পর একটা বিজয় লাভ করতে থাকেন। তিনি চতুর্দিকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অভিযান প্রেরণ করেন। এ সম্পর্কে একজন ঐতিহাসিকের ভাষ্য অনুযায়ী, কার্ক এর শাসনকর্তা বলেছিল, ‘ক‚লো লি মোহাম্মাদ ইউখলিছুকুম’। অর্থাৎ- মোহাম্মদ (সা.)কে বল, তোমাদের মুক্ত করতে। সালাহউদ্দীন ধৃষ্টতাপূর্ণ এ উক্তি শুনে শপথ করেছিলেন যে, আল্লাহ যদি তাকে শক্তি ও সামর্থ দান করেন এ গোস্থাখকে স্বহস্তে জবাই করবেন। খ্রিস্টান ক্রুসেডাররা হিজরি ৪৯২-১০৯৯ সাল পর্যন্ত যেসব ধর্মীয় পবিত্রস্থান অধিকার করেছিল, সেগুলোর জন্যও মুসলমানদের দারুণ অনুতাপ অনুশোচনা ছিল। বিশেষত ক্রুসেডাররা বায়তুল মোকাদ্দাস অধিকার করে বধ্যভ‚মিতে পরিণত করেছিল এবং মসজিদে আকসায় যে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল, সে মর্মান্তিক স্মৃতি মুসলমানগণ ভুলতে পারেনি। আল আকসার শহিদানের মধ্যে ছিলেন মুসলিম ইমামদের এক বিরাট দল এবং বহু মাশায়েখ-সাধক, যারা নিজেদের ঘর-বাড়ি এবং আপন স্বজনকে ত্যাগ করে এ পবিত্র স্থানের প্রতিবেশী হয়েছিলেন। ক্রুসেডারেরা সম্পাদিত চুক্তিগুলো ভঙ্গ করে বহু মুসলমানকে বন্দি করে রেখেছিল। সুলতান সালাহউদ্দীন খ্রিস্টানদের কাছে তাদের মুক্তির দাবি জানালে তাদের নেতা ‘আর্নাথ’ তা প্রত্যাখ্যান করে ঐদ্ধত্যপূর্ণ উক্তি করে, যা পূর্বেই উল্লখ করা হয়েছে।
আর্নাথের ঐদ্ধত্য ও দাম্ভিকতায় সুলতান সালাহউদ্দীনের ক্ষোভ ও ঘৃণার অন্ত রইল না। তিনি ভীষণ রাগান্বিত হয়ে মানত করলেন, তাকে তিনি জবাই করবেন, যা পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি জেহাদ ঘোষণা করলেন। ইসলামী সৈন্য দলগুলো তার বিশাল সা¤্রাজ্যের সকল স্থান হতে সমবেত হতে থাকে। মিসর, দামেস্ক, হলব, আল জাজিরা, মোসেল এবং দিয়ারে বকর প্রভৃতি নানা স্থান হতে সৈন্যরা দামেস্কে সমবেত হতে থাকে।
কোনো কোনো বর্ণনা অনুযায়ী, সৈন্যদের উদ্দেশ্যে সুলতান সালাহউদ্দীন এক গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেন, তাতে তিনি বলেন, ‘যদি আল্লাহ তাআলার সাহায্যে আমরা দুশমনদের বায়তুল মোকাদ্দাস হতে বহিষ্কার করে দিতে পারি তা হলে আমরা কতইনা সৌভাগ্যবান হব। আর তিনি যখন আমাদেরকে তওফিক দেবেন তখন আমরা কতই না বিশাল নেয়ামতের মালিক হয়ে যাব।’ আল্লাহর মদদ (সাহায্য) এর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ^াসের কথা উল্লেখ করে তিনি সৈন্যদেরকে জেহাদের জন্য উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করেন।
বায়তুল মোকাদ্দাস ৯১/৯১ বছর পর্যন্ত কাফেরদের অধিকারে, এ গোটা সময়কালের মধ্যে এ পবিত্র স্থানে কুফরি কর্ম ও শিরক চালু ছিল এবং একদিন এমনকি এক মুহূর্তের জন্যও সেখানে খোদায়ে ওয়াহেদের এবাদত হয়নি। এ সুদীর্ঘ কাল পর্যন্ত মুসলমান বাদশাহগণের সাহস তা জয় করতে অক্ষম ছিল এবং এ দীর্ঘ যুগ তার ওপর খ্রিস্টানদের দখল বহাল থাকে।
হিজরি ৫৮৩ সালের মোহাররম মোতাবেক ১১৮৭ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে সুলতান সালাহউদ্দীন দামেস্ক হতে যাত্রা করে এবং তার নেতৃত্বে সম্মিলিত মুসলিম বাহিনী যুদ্ধ অভিযানে অবতীর্ণ হয় এবং ‘তবরিয়া’, ‘ছাফুরিয়া’ ইত্যাদি জয় করে যাতে অসংখ্য ক্রুসেডার নিহত হয় এবং সকল স্থানে তাদের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিয়ে পরাজিত করা হয়।
বায়তুল মোকাদ্দাস বিজয়ের খবরে বিপুল আনন্দে মুসলমানগণ চতুর্দিক থেকে দলে দলে সোওয়ারিতে ও পদব্রজে শহরে আসতে থাকে। সুলতান সালাহউদ্দীন নির্দেশ প্রদান করেন, ক্রুসেডারেরা মসজিদে আকসাকে যেভাবে অপবিত্র ও নোংরা, দুর্গন্ধময় করে রেখেছে তা অপসারণ ও ধুয়ে-মুছে পবিত্র পরিষ্কার করতে এবং ইসলামী খুৎবা পাঠের জন্য মিম্বর প্রস্তুত করতে। নির্দেশ অনুাযায়ী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর জামে মসজিদের মেঝেতে উত্তম বিছানা (কার্পেট) বিছানো হয় এবং আলোক সজ্জা করা হয়। অতঃপর ‘কুববাতুস সাখরা’ কে গোলাবের পানিতে গোসল দেওয়া হয়। সুলতান সালাহউদ্দীনকে তখন অত্যন্ত আনন্দিত ও উৎফুল্ল দেখায়। হিজরি ৫৮৩ সালের ৪ শাবান মোতাবেক ১১৮৭ সালের ৯ অক্টোবার, জুমায় সুলতান সালাহউদ্দীন বিজয়ী বেশে মসজিদে আকসায় প্রবেশ করেন। সে সময়কার দৃশ্য ঐতিহাসিক জামাল উদ্দীন ইবনে ওয়াছেল এইভাবে বর্ণনা করেন, ‘হেরম শরীফ মুসলমানদের দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যায়। এমনকি ভীড় লেগে যায় এবং কাজী মুহিউদ্দীন ইবনে জকিউদ্দীন বিজয়ের পর প্রথম খুৎবা পাঠ করেন। খুৎবায় তিনি বলেন, বায়তুল মোকাদ্দাস মুসলমানদের প্রথম কেবলা, দ্বিতীয় মসজিদ এবং তৃতীয় হেরম শরীফ। তাছাড়া দুই মসজিদের পর এ মসজিদের দিকে সফর করার কথা বলা হয়েছে।’ অতঃপর তিনি বায়তুল মোকাদ্দাসের যুগে যুগে ঐতিহাসিক তাৎপর্য ও বৈশিষ্ট্যের কথা তুলে ধরেন এবং আল্লাহর শোকরিয়া আদায় করেন।’
অতঃপর বায়তুল মোকাদ্দাস বিজেতা সুলতান সালাহউদ্দীন আইউবী (রহ.) এক ঐতিহাসিক খুৎবা প্রদান করেন এবং সূচনাতেই সূরা বনি ইসরাইলের প্রথম আয়াতটি পাঠ করেন যাতে বলা হয়েছে, ‘পবিত্র ও মহিমাময় তিনি, যিনি তাঁর বান্দাকে রজনী যোগে ভ্রমণ করিয়েছিলেন আল মসজিদুল হারাম হতে আল মসজিদুল আকসা পর্যন্ত।’
সুলতান সালাহউদ্দীন জেরুজালেম জয় করে সেখানকার খ্রিস্টান অধিবাসীদের ক্ষমা করে দেন এবং তাদের সাথে উত্তম আচরণ করেন। এ সময় জেরুজালেমে এক লক্ষ ক্রুসেডার যোদ্ধা ছিল। তাদের মধ্যে নারী ও শিশুরা ব্যতীত ৬০ হাজার অশ^ারোহী ও পদাতিক বাহিনীর সৈন্য বর্তমান ছিল। সুলতান সালাহউদ্দীন তাদের সকলকে ক্ষমা করে দেন এবং তাদের সাথে এমন উত্তম আচরণ করেন, যার দৃষ্টান্ত অতি বিরল। অথচ ফকীহ আলেমগণ তার ওপর জোর দিতে থাকেন যে, জেরুজালেমে ক্রুসেডারদের অধিকারে আসার পর তাদের পূর্বসূরী খ্রিস্টানরা মুসলমানদের সাথে যে নৃশংস, বর্বর আচরণ করেছিল, তাদের সাথেও অনুরূপ আচরণ করা হোক। কিন্তু গাজী সুলতান সালাহউদ্দীন তা প্রত্যাখ্যান করেন।
বায়তুল মোকাদ্দাস (জেরুজালেম) বিজয়ের মধ্য দিয়ে তৃতীয় ক্রুসেড যুদ্ধের অবসান ঘটেছিল। এই যুদ্ধ সংঘটিত হয় ২৭ রজব, হিজরি ৫৮৮ সালের মেরাজ রজনীতে (১১৯২ সাল)। ৯১/৯২ বছর জেরুজালেম খ্রিস্টানদের অধিকারে থাকার পর পুনরায় মুসলিম অধিকারে আসে। সুলতান সালাহউদ্দীন মসজিদে আকসায় প্রবেশ করেন এবং সেখানে জুমার নামাজ আদায় করেন যা পূর্বে বর্ণিত হয়েছে।
পরিশেষে ইংল্যান্ডের রাজা রিচার্ড ও সুলতান সালাহউদ্দীন আইউবীর পত্র বিনিময়ের একটি দুর্লভ ঘটনা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। রিচার্ড সালাহউদ্দীনকে লিখেছিলেন, ‘এই যুদ্ধে বহু মুসলমান ও ফিরিঙ্গী নিহত হয়েছে, দেশ ধ্বংস হয়েছে এবং জানমাল তবাহ (ধ্বংস) হয়েছে, এখন বিষয়টি চরম আকার ধারণ করেছে, শুধু বায়তুল মোকাদ্দাস, পবিত্র ক্রুসেড এবং দেশের সামান্য অংশ নিয়ে সকল বিবাদ বিদ্যমান। বায়তুল মোকাদ্দাস আমাদের এবাদতগাহ। সুতরাং চাই আমাদের এক ব্যক্তিও বেঁচে না থাক। আমরা কোনো অবস্থাতেই তা ছাড়তে পারি না। আমরা শুধু এতটুকু দেশ চাই যে, জর্দান দুইটি দেশের সীমান্ত হবে। ক্রুসেড আপনাদের নিকট কেবল সাধারণ একটি কাঠ খন্ড, যার কোনো মূল্য নেই কিন্তু আমাদের নিকট তা অতি পবিত্র। তাই আমাদের দাবিটা সুলতানের মেনে নেওয়া উচিত, যাতে এই স্থায়ী বিপদ হতে নাজাত পাওয়া যায়।’
সুলতান জবাবে বলেন, ‘বায়তুল মোকাদ্দাস আপনাদের জন্য যেমন পবিত্র, অনুরূপ আমাদের জন্যও পবিত্র এবং আপনাদের চেয়ে আমাদের নিকট তার মর্যাদা আরও অধিক, তা আমাদের নবী (সা.) এর মেরাজের পথ এবং ফেরেশতাদের মিলন কেন্দ্র। তাই তা হতে আমাদের দাবি প্রত্যাহারের কথা চিন্তাও করা যায় না। আর যা আমরা কোনো মুসলমানদের সামনে নিজের জবানে প্রকাশও করতে পারি না। প্রকৃতপক্ষে দেশটি আমাদের। মুসলমানদের দুর্বলতার কারণে আপনারা তা কব্জা করেছেন। ক্রুসেডের ব্যাপারে আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, তা ধ্বংস করা আমাদের নিকট সর্বাধিক বড় এবাদত এবং এ সম্পর্কে আমরা ইসলামের কল্যাণ ও স্বার্থ ব্যতীত আর কোনো নীতি অসুরণ করতে পারি না, যা আমাদের জন্য ক্রুসেড অপেক্ষা অধিক জরুরি।’
মেরাজ রজনীতে (২৭ রজব) বায়তুল মোকাদ্দাস জয় করে গাজী সুলতান সালাহউদ্দীন আইউবী শহরে প্রবেশ করেন এবং ইসলামী পতাকা উড্ডীন করেন। দিনটি ছিল শুক্রবার। তিনি ঘোষণা করেন, পরবর্তী শুক্রবার ৪ শাবান মসজিদে আকসা উদ্বোধন করা হবে। দিনটি শোকরিয়া দিবস হিসেবে উদযাপিত হবে এবং এরই মধ্যে যাবতীয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে মসজিদে আকসাকে নামাজ আদায় করার উপযোগী এবং সজ্জিত করার নির্দেশ দেন। সুতরাং ব্যবস্থা অনুযায়ী পরবর্তী জুমা বার সেখানে হাজার হাজার মুসলমানদের উপস্থিতিতে সুলতান সালাহউদ্দীন ঐতিহাসিক খুৎবা পাঠ করেন, যা পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে।
জেরুজালেকে তেল আবিবের পরিবর্তে সম্প্রতি ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা করা হয়েছে। সারাবিশে^ এর বিরুদ্ধে মুসলমানদের তীব্র প্রতিবাদ, নিন্দা অব্যাহত রয়েছে। মুসলমানদের প্রথম কেবলা মহানবী (সা.) এর মেরাজের সিঁড়ি- মসজিদে আকসাও এখন ইহুদী কবলিত। গাজী সুলতান সালাহউদ্দীন আইউবী মেরাজ রজনীতে বায়তুল মোকাদ্দাস হতে খ্রিস্টানদের বিতাড়িত করে ইসলামের বিজয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন এবং বিজয়ের পর যেখান থেকে প্রথম খুৎবা পাঠ করেছিলেন, তা এখন ইহুদীদের দখলে। গোটা মুসলিম বিশ্ব এখন একজন গাজী সুলতান সালাহউদ্দীনকে ডাকছে, যিনি বায়তুল মোকাদ্দাসকে ইহুদীদের আগ্রাসী থাবা হতে মুক্ত করবেন। আজ সেই প্রতীক্ষায় রয়েছে সমগ্র মুসলিম উম্মাহ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।