পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের জন্য দায়ী কে? ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিভক্তির জন্য দায়ী কে? আজ এধরনের প্রশ্ন তোলা অনাবশ্যক এবং ছেলেখেলার শামিল। ইংরেজিতে একটি শব্দ আছে, সেটি হলো ঋধরঃ ধপপড়সঢ়ষর, যা ঘটবার তা ঘটে গেছে। এখন যারা বলেন যে, আবার ভারত ’৪৭ পূর্ব অবস্থানে ফিরে যাবেন তারা দিবা স্বপ্ন দেখেন। তেমনি আওয়ামী লীগ নেতারা যখন বলেন যে, বিএনপি বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তান বানাতে চায় তখন তারাও হয় নিজেরা অলিক স্বপ্ন দেখেন অথবা তারা নিজেরাই জানেন না যে, কী বলছেন। বাংলাদেশের পক্ষে কোনো দিন পাকিস্তানে ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। অভিন্ন ধর্ম অথবা কাছাকাছি সংস্কৃতি হলেও মধ্যে দেড় হাজার মাইলের যে বিরাট ভৌগোলিক ব্যবধান রয়েছে, তার কারণে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের একত্রিকরণ কোনো দিন সম্ভব নয়।
ইতিহাসের বিবর্তনে অনেক কিছুই ঘটে। বিশ্বের অনেকগুলো রাষ্ট্রের দিকে তাকিয়ে বুঝা যায়, তারা কী অবস্থায় ছিল এবং আজ কী অবস্থায় আছে। ভারতবর্ষ আজ যে অবস্থায় আছে ২০০ বছর আগে কি সেই অবস্থায় ছিল? আমার কাছে অনেক তথ্য ও উপাত্ত থাকা সত্ত্বেও ভারত বিভাগ এবং পাকিস্তান বিভাগের ওপর আমি সাধারণত লিখি না। কারণ এগুলো লিখে কী লাভ? তারপরেও আজ এই বিষয়ে লিখতে বসেছি এ কারণে যে, মাঝে মাঝে অনেকে এমন সব কথা বলেন, যেগুলো উদ্ভট এবং সত্য ও ইতিহাসবিবর্জিত। ভারতে তো এক শ্রেণির তথাকথিত ইতিহাসবিদ এবং চিন্তাবিদ রয়েছেন, যারা অষ্টপ্রহর ভারত বিভক্তির জন্য মুসলিম লীগ এবং মি. জিন্নাহকে দায়ী করেন। অনুরূপভাবে বাংলাদেশেও ঐ ধরনের এক শ্রেণির তথাকথিত সুধী রয়েছেন, যারা ভারত বিভক্তির জন্য শুধু মুসলিম লীগকেই দায়ী করেন না, তারা ভারত বিভক্তিকে বৃটিশের উবারফব ধহফ ৎঁষব পলিসির ফসল বলে মনে করেন। এই লাইনের প্রপাগান্ডা খুব জোরদার। বিজেপির প্যারেন্ট সংগঠন আরএসএস, এমনকি আসামের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত শর্মা ভারতকে আবার ’৪৭-এর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার স্বপ্নে বিভোর। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমার মনে হচ্ছে যে, ইতিহাসকে তার সঠিক অবস্থানে স্থাপন করা জরুরি হয়ে পড়েছে। তাই আমি আজ এই বিষয়টি নিয়ে লিখতে বসেছি।
ভারত বিভাগ আর বাংলাদেশের স্বাধীনতা যাই বলা হোক, এসবের নির্মোহ ইতিহাস রচনা করতে গেলে এখনো অনেক গ্যাপ বা হাইফেন পাওয়া যায়। এগুলো সত্যাশ্রয়ী ইতিহাসবিদরা পূরণ করার চেষ্টা করেন না। আজ আমি মাত্র একজন ব্যক্তির রেফারেন্সে বিষয়টি আলোচনা করবো। তিনি হলেন মওলানা আবুল কালাম আজাদ। সারাজীবন তিনি কংগ্রেস করেছেন। শুধু করেছেন না, তিনি এক নাগাড়ে ৮ বছর অল ইন্ডিয়া কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। তিনি স্বেচ্ছায় কংগ্রেসের সভাপতির পদ ত্যাগ করেন এবং নিজেই সভাপতি হিসেবে পন্ডিত জওহরলাল নেহরুর নাম প্রস্তাব করেন। ভারতে তিনিই একমাত্র কংগ্রেস নেতা যিনি শেষ পর্যন্ত ভারত বিভক্তি অর্থাৎ পাকিস্তান কায়েম মেনে নিতে পারেননি। সকলেই ধারণা করেছিলেন যে, এহেন কট্টর একজন কংগ্রেসী এবং অখন্ড ভারতের আপোসহীন প্রবক্তাকে স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রেসিডেন্ট অথবা প্রধানমন্ত্রী করা হবে। কিন্তু কংগ্রেসীরা আর যাই করুক, একজন মুসলমানকে, হন না কেন তিনি কংগ্রেসী, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নেওয়ার কল্পনা করতে পারে না। তাই ভারত স্বাধীন হওয়ার পরবর্তী ৮ বছর বা ১০ বছর পর্যন্ত তিনি ভারতের শিক্ষামন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত থাকেন। এহেন আবুল কালাম আজাদ ভারত বিভক্তির জন্য কে বা কাদেরকে দায়ী করেছেন সেটি বর্তমান প্রজন্মের বাংলাদেশিরা জানে না। তিনি ইংরেজিতে একটি গ্রন্থ রচনা করেছেন। নাম ওহফরধ রিহং ভৎববফড়স. তিনি মুখে মুখে বলে গেছেন, আর ভারতের আরেক পণ্ডিত সেই সব কথা লিখে গেছেন। এটিকে বলা হয় শ্রুতি লিখন। যে পণ্ডিত ব্যক্তি এই শ্রুতি লিখনের কাজটি করেছেন তার নাম ড. হুমায়ুন কবির। তিনিও পরবর্তীতে ভারতের শিক্ষামন্ত্রী হন। মওলানা আজাদ এই বই রচনার পর একটি শর্ত দিয়েছিলেন। শর্তটি ছিল এই যে, তাৎক্ষণিকভাবে ছাপলে এই বইয়ের ৩০টি পৃষ্ঠা (কোন ৩০টি পৃষ্ঠা সেটাও তিনি নির্দিষ্ট করে দিয়েছিলেন) বাদ দিয়ে ছাপতে হবে। আর যদি ঐ ৩০ পৃষ্ঠাসহ ছাপতে হয় তাহলে তার মৃত্যুর ৩০ বছর পর পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থটি ছাপা যাবে। আমার কাছে মওলানা আজাদের যে গ্রন্থটি আছে, সেটি ঐ ৩০ পৃষ্ঠাসহ পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ।
॥দুই॥
প্রিয় পাঠক, মওলানা আজাদের এই কালজয়ী গ্রন্থটি সম্পর্কে দু’চার কথা বলার আগে আমি আরো দুই একটি গ্রন্থের কথা বলবো। এর ভেতর একটি বইয়ের নাম ‘ভেতরে বাইরে’। লেখক বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে খন্দকার। তিনি জেনারেল ওসমানীর পর মুক্তিযোদ্ধাদের কমান্ডে দ্বিতীয় ব্যক্তি ছিলেন। তিনিও তার গ্রন্থে এমন সব কথা বলেছেন, যেগুলো অন্যেরা মোটেই সামনে আনে না। আমি খন্দকার সাহেবের ঐ গ্রন্থের কয়েক লাইন এখানে উদ্ধৃত করছি। বইটির ১৪ ও ১৫ পৃষ্ঠায় খন্দকার সাহেব বলছেন, ‘মনে পড়ে, আমি যখন ৭ম শ্রেণীতে পড়ি, তখন খাজা নাজিমুদ্দিন অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তিনি পুরষ্কার বিতরণের জন্য মালদহে আমাদের স্কুলে আসেন। স্কুলের কয়েক জন হিন্দু ছাত্র পুরষ্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছিল। একজন মুসলিম মন্ত্রীর কাছ থেকে পুরষ্কার নেবে না বলে পুরষ্কারের দিন তারা স্কুলেই আসেনি। দেশ ভাগের সময় মালদহ বা কাঁথিতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা দেখিনি।’ এছাড়া ঐ বইটির দ্বিতীয় সংস্করণের ভূমিকা এবং ৩২ পৃষ্ঠায় আরো কিছু বক্তব্য রয়েছে। ঐসব বক্তব্যের জন্যই সম্ভবত তিনি আওয়ামী লীগের নেক নজর থেকে বঞ্চিত হন এবং মন্ত্রিত্ব থেকে খারিজ হন।
একটি বিষয় এখানে উল্লেখ না করলেই নয়। মুক্তিযুদ্ধে আমরা সাধারণত জেনারেল জিয়াউর রহমান, জেনারেল শফিউল্লাহ, জেনারেল খালেদ মোশাররফ এবং জেনারেল আবুল মঞ্জুরের নাম বেশি করে শুনি। কিন্তু তাদের সবার ওপরে ছিলেন জনাব এ কে খন্দকার। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি বিমান বাহিনীর প্রধান হন এবং তার পদ এয়ার ভাইস মার্শালে উন্নীত হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান বাহিনী ঢাকার তদানিন্তন রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণ করে। ঐ সমর্পণ অনুষ্ঠানে ভারতের তরফে ছিলেন জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা। বাংলাদেশের তরফ থেকে উপস্থিত থাকার কথা ছিল জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীর। তিনি সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি। কেন পারেননি সেটি আরেক ইতিহাস। সেটি আজকে আলোচনা করলে পুরা পৃষ্ঠা লাগবে। যাই হোক, ওসমানীর অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন এ কে খন্দকার। সেই খন্দকার সাহেবও তার পুস্তকে বিধৃত করেছেন যে, অবিভক্ত বাংলাতেও হিন্দুদের কী চরম মুসলিম বিদ্বেষ, যেটা একটু আগেই আমি তার পুস্তক থেকে উদ্ধৃত করেছি। এসবের পরেও যখন ভারত বিভক্তির জন্য মুসলিম লীগকে দায়ী করা হয় তখন চরম ইতিহাস বিকৃতি ঘটে।
এখন আমি আসছি মওলানা আজাদের গ্রন্থে। বইটি অনেক মোটা। এক দিনে বইটির প্রাসঙ্গিক সব বিষয় উল্লেখ করা হয়তো আজ সম্ভব হবে না। তবে যতটুকু সম্ভব ততটুকুই আজ করছি। বাকিগুলো অন্য দিন করবো, ইনশাআল্লাহ।
১৯৩৫ সালে ইংরেজ শাসকরা ভারত শাসন আইন চালু করে। সেই আইন অনুযায়ী ভারতের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনে বিহারে কংগ্রেস জয়লাভ করে। বিহারে কংগ্রেস প্রধান ছিলেন ড. সৈয়দ মাহমুদ। ড. সৈয়দ মাহমুদেরই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কথা। কিন্তু সেটি হয়নি। এ সম্পর্কে পুস্তকটির বাংলা সংস্করণের ১৯ ও ২০ পৃষ্ঠায় মওলানা আজাদ বলছেন, ‘বিহারেও ঘটেছিল অনুরূপ এক ঘটনা। নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে ড. সৈয়দ মাহমুদ ছিলেন প্রদেশের প্রধান নেতা। তিনি সর্ব ভারতীয় কংগ্রেস কমিটিরও একজন সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং সে কারণে প্রদেশের বাহির ও ভেতর উভয় স্থানে তার প্রভাব ছিল। কংগ্রেস যখন নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলো তখন এটা ধরেই নেওয়া হয়েছিল যে ড. সৈয়দ মাহমুদ নেতা নির্বাচিত হবেন এবং প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনের অধীনে বিহারের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হবেন। কিন্তু তার পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীর মনোনয়ন পেলেন কেন্দ্রীয় আইন পরিষদের সদস্য শ্রীকৃষ্ণ সিংহ ও অনুগ্রহ নারায়ণ সিংহ। তাদের ডেকে পাঠানো হলো বিহারে। বোম্বাইয়ে সর্দার প্যাটেল যে ভূমিকা পালন করেছিলেন, বিহারে সেই একই ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ।
॥তিন॥
মুসলমানদের প্রতি কংগ্রেসের বিদ্বেষ ছিল তাদের অস্থি, মজ্জা এবং ধমনীতে। এই রাজেন্দ্র প্রসাদ পরবর্তীতে ভারতের প্রেসিডেন্ট হন। মুসলমানরা অবিভক্ত ভারতে যে কতখানি বঞ্চিত ছিলেন, সেটি বোঝা যায় দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের ভূমিকায়। তাই চিত্তরঞ্জন দাশ প্রস্তাব করেন যে, বাংলায় কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে জনসংখ্যা অনুযায়ী যথাযথ প্রতিনিধিত্ব অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত সমস্ত নতুন নিয়োগের ৬০ শতাংশ মুসলমানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। কলকাতা কর্পোরেশনের বেলায় আরো একধাপ এগিয়ে তিনি প্রস্তাব করেন যে, মুসলমানদের জন্য পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ৮০ শতাংশ নিয়োগ সংরক্ষিত থাকবে। দুঃখের বিষয়, তার অকাল মৃত্যু হয় এবং তার মৃত্যুর পর তার অনুসারীরাই দেশবন্ধুর এই ঘোষণা বাতিল করেন। মওলানা আজাদের প্রতি মোহন দাস করমচাঁদ গান্ধীর ধারণা ছিল অত্যন্ত ভালো। মওলানা আজাদের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই আমি বলছি যে, তার মতে, মি. জিন্নাহর প্রতি গান্ধীজির এই মনোযোগ ছিল এক মারাত্মক ভ্রান্তি। মি. জিন্নাহ যখন কংগ্রেস ত্যাগ করেন তখন গান্ধীজির এই দুর্বলতার কারণেই জিন্নাহর গুরুত্ব অনেক বেড়ে যায়। মওলানা আজাদ মনে করেন যে, গান্ধীর যদি জিন্নার প্রতি সদয় দৃষ্টি না থাকতো তাহলে জিন্নাহ আদৌ অত উচ্চ মর্যাদা লাভ করতে পারতেন কিনা সন্দেহ।
পাকিস্তানিরা মি. জিন্নাহকে বলেন ‘কায়েদে আজম’। এই উপাধিটি কি মুসলিম লীগই প্রথম চালু করে? প্রকৃত সত্য হলো, ‘না’। এ ব্যাপারে মওলানা আজাদ বলছেন, মি. জিন্নাহর প্রতি প্রয়োগকৃত কায়েদে আজম বা মহান নেতা উপাধিটি গান্ধীজি প্রথম চালু করেন। গান্ধীর শিবিরে একজন বোকা কিন্তু ভালো মনের মহিলা ছিলেন (বোকা এবং ভালো মনের শব্দ দুটি মওলানা আজাদের)। এই মহিলার নাম ছিল আমতুস সালাম। তিনি কোনো এক উর্দূ কাগজে জিন্নাহকে কায়েদে আজম বলে উল্লেখ করা হয়েছে বলে দেখেছিলেন। এরপর গান্ধী জিন্নাহর সাক্ষাৎকার চেয়েছিলেন। উত্তরে মি. জিন্নাহ বলেন যে, উর্দূ কাগজে তাকে কায়েদে আজম বলে উল্লেখ করা হয়েছে। গান্ধীরও উচিত তাকে সেভাবেই সম্বোধন করা। এরপর গান্ধীও জিন্নাহকে কায়েদে আজম বলেই সম্বোধন করলেন। ভারতীয় মুসলমানরা যখন দেখলেন যে, গান্ধীজিও জিন্নাহকে কায়েদে আজম বলে সম্বোধন করেছেন তাহলে নিশ্চয়ই তিনি তাই হবেন (ইন্ডিয়া উইনস ফ্রিডম: পৃষ্ঠা ১১০)।
ইনকিলাবের সম্মানিত পাঠক ভাইয়েরা, এখনও অনেক কথা বাকি রয়ে গেল। কথা দিচ্ছি, দেশের বর্তমান অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে উল্লেখ করার মতো কোনো ঘটনা না ঘটলে আগামী কলামেও এই একই বিষয়ের ওপর লিখবো, ইনশাআল্লাহ।
Email: [email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।