মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার সাংবিধানিক সঙ্কট আরো জটিল হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা সাময়িকভাবে দেশের পার্লামেন্ট স্থগিত ঘোষণা করার পর বরখাস্তকৃত প্রধানমন্ত্রী বিক্রমসিংহকে দ্রুত সরকারি বাসভবন ত্যাগ করতে বলা হয়েছে। এদিকে বাসভবন ত্যাগ না করার কথা জানিয়েছেন বিক্রমসিংহ। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিপর্যয়কর এ পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার সাংবিধানিক সঙ্কট আরো জটিল হচ্ছে। খবরে বলা হয়, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী রনিল ব্রিকমসিংহকে বরখাস্ত করেন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা। তার জায়গায় চীনপন্থি হিসেবে পরিচিত সাবেক প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসেকে বসান। এতে উচ্ছাস প্রকাশ করেছে রাজাপাকসের সমর্থকরা। তবে বিক্রমসিংহের সমর্থকরা এটিকে বিরোধীদের অভ্যুত্থান হিসেবে দেখছে। এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত পার্লামেন্ট স্থগিত ঘোষণা করেছেন। বলা হচ্ছে, বিক্রমসিংহ যেন পার্লামেন্টে তার দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে না পারেন সেজন্যই এ পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা। উল্লেখ্য, স¤প্রতি ক্ষমতাসীন জোট থেকে নিজের দলকে সরিয়ে নেন সিরিসেনা। এদিকে, বিক্রমসিংহ নিজেকে এখনো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দাবি করেছেন। বরখাস্ত হওয়ার আগমুহূর্তে তিনি আরো একটি অধিবেশন ডাকার জন্য পার্লামেন্টের স্পিকারের প্রতি আহবান জানান। মূলত পার্লামেন্টে নিজ দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করার জন্যই তিনি এই আহবান জানিয়েছেন। শনিবার কলম্বোতে বিক্রমসিংহ একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। এসময় বলেন, পার্লামেন্টে আমার সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। পার্লামেন্টের অধিবেশন ডেকে এ সঙ্কটের সমাধান করুন। সংবাদ সম্মেলনে সিরিসেনার দল ছাড়া ক্ষমতাসীন জোটের সব দলই উপস্থিত ছিল। ইতিমধ্যেই বিক্রমসিংহকে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল সরিয়ে নেয়ার জন্য পুলিশ প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। অস্থায়ীভাবে একজনকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান। এতে বলা হয়, নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের পাশাপাশি মন্ত্রিসভাও ভেঙে দেয়া হয়েছে। বিক্রমসিংহকে বাসভবন ছাড়তে বলেছে বিরোধীরা। বিমল বিরাওয়ানসা নামের একজন বিরোধী দলীয় পার্লামেন্ট সদস্য বলেন, সসম্মানে বাসভবন ত্যাগ করার জন্য বিক্রমসিংহের হাতে সময় আছে। বিরোধী দলে থেকেও আমরা একটি বড় স্টেডিয়াম মানুষে পরিপূর্ণ করেছি। চিন্তা করেন রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকলে আমরা কি করতে পারি। এমন বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি বিক্রমসিংহকে এক রকম হুমকিই দিয়েছেন। বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, বিক্রমসিংহ যদি বাসভবন ত্যাগ না করেন, তাহলে বিক্ষোভকারীরা জোর করে ভবনের ভেতরে প্রবেশ করবে। প্রসঙ্গত, সিরিসেনা ও বিক্রমসিংহের মধ্যকার কলহের জের ধরে এ সঙ্কটের সৃষ্টি হয়েছে। ২০১৫ সালের নির্বাচনে রাজাপাকসেকে পরাজিত করার জন্য জোট গঠন করেছিল সিরিসেনা ও বিক্রমসিংহের দল। নির্বাচনে তাদের জোট জয়লাভ করলে সিরিসেনাকে প্রেসিডেণ্ট হিসেবে মনোনীত করা হয়। রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেকটাই অপরিচিত মুখ সিরিসেনা ক্ষমতায় বসে অর্থনৈতিক সংস্কারের ঘোষণা দেন। তবে স¤প্রতি বিক্রমসিংহের সঙ্গে তার দ্ব›দ্ব শুরু হয়। অর্থনৈতিক নীতি নির্ধারণ নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বিমত দেখা দেয়। জীবন ধারণের খরচ ও ট্যাক্স বৃদ্ধির কারণে দেশে জন অসন্তোষ দেখা দেয়। গত ফেব্রুয়ারিতে স্থানীয় পরিষদের নির্বাচনে রাজাপাকসের দলের কাছে সিরিসেনা ও বিক্রমসিংহের দল পরাজিত হয়। নিজ দলের বিপুল জনসমর্থন দেখে রাজাপাকসে ঘোষণা দেন, ক্ষমতাসীন যোগ দেশ শাসনের ম্যান্ডেট হারিয়েছে। আল-জাজিরা, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।