পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিয়ে ‘অহেতুক’ বিতর্ক তৈরি না করতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন, সুপ্রিমকোর্ট, হাইকোর্টসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা ঠিক নয়। এগুলো সভ্যতার স্তম্ভ। আসুন, আমরা এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্মান দেখাই। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট। উনি সবার সঙ্গে আলাপ করেই সেটা দেন। তিনি যে ইলেকশন কমিশন গঠন করবেন সেটাই হবে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য।
গতকাল বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সৈয়দ আশরাফ। জাতিসংঘ অধিবেশন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশে ফেরার দিন ২৬ সেপ্টেম্বর গণঅভ্যর্থনা কর্মসূচি সফল করতে ঢাকা ও আশপাশের জেলা-উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সংসদ সদস্যদের নিয়ে এক যৌথ বৈঠক শেষে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ফেব্রুয়ারিতে। পাঁচ সদস্যের নতুন কমিশন নিয়োগে আগের বারের মতো এবারও ‘সার্চ কমিটি’ করা হচ্ছে বলে ইতোমধ্যে আভাস দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গত মঙ্গলবার এক আলোচনা সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সার্চ কমিটি করেন, আর যাই করেন, জনমতের বাইরে গিয়ে কোনো কমিটি এদেশের মানুষ মেনে নেবে না।
বিএনপি মহাসচিবের ওই বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমরা যদি সবকিছু নিয়েই বিতর্ক করি, হাইকোর্ট, সুপ্রিমকোর্ট, নির্বাচন কমিশনসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে, তাহলে আমরা যাব কোথায়? আমাদের মাথা ঠেকানোর জায়গা কোথায়?
বিএনপিকে উদ্দেশ করে আশরাফ বলেন, অহেতুক সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে যদি বিতর্ক করি, তাহলে সভ্যতা থাকবে না, আইন থাকবে না। এই দেশে তাহলে গণতন্ত্র থাকবে? দেশের মানুষের সর্বোচ্চ অর্জন হলো, এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখা। এ কারণেই পৃথিবীতে সভ্যতা টিকে আছে।
তিনি আরও বলেন, দেশে যদি আইন-কানুন না থাকে, তাহলে সভ্যতাই থাকবে না। এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো সভ্যতার একেকটি স্তম্ভ। এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার কিছু নাই। সুতরাং আশা রাখি, আমরা এসব প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখব এবং সম্মান দেখাব।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এতদিন বাংলাদেশের কোনো মুখপাত্র ছিল না। তিনি যা সত্য, তাই বলেন। তিনি ভয়হীন। প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে কোনো দাবি তুলে ধরলে তা বাতিল হয়ে যায় না। কেননা তিনি যুক্তি দিয়ে দাবি তোলেন। ফলে অন্য দেশগুলো তাতে সমর্থন দেয়। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের জন্য, আমাদের জন্য নিজের আরাম-আয়েশ, ঘুম বাদ দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর প্রতিনিধি হিসেবে জাতিসংঘে কাজ করছেন। শেখ হাসিনা আর ১০ বছর সেবা দিতে পারলে বাংলাদেশ শুধু মধ্যম আয়ের দেশ নয়, উন্নত দেশে পরিণত হবে।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নে অবদান রাখার জন্য জাতিসংঘ থেকে দুইটি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। এটা অনেক বড় বিষয়। শেখ হাসিনাকে এটা আরও উচ্চতায় নিয়ে গেছে। এজন্য জাতি গর্বিত। শেখ হাসিনা যেখানেই যাক সেখানেই একটা পরিবর্তন আসে, জাতিসংঘেও একটা পরিবর্তন এসেছে।
প্রধানমন্ত্রীর এ সংবর্ধনায় ব্যাপক জনসমাগমের আহ্বান জানিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাতে ব্যাপক জনসমাবেশ ঘটাতে হবে। অতীতে আমরা ১/১১ এর সময় শেখ হাসিনা যখন দেশে ফেরেন তখন সব ভয়ভীতি উপেক্ষা করে আমরা ব্যাপক জনসমাগম ঘটিয়েছিলাম। এবারও আমরা তার চেয়ে বেশি জনসমাগম ঘটাব।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ওই যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং দলীয় সংসদ সদস্যরা।
অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও বিএম মোজাম্মেল হক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।