পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে দুই মন্ত্রীর মন্তব্য অসাংবিধানিক বলেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতির প্রতি এ ধরনের উক্তি করলে ন্যায়বিচার ব্যাহত হবে। আমরা যুদ্ধাপরাধীদের মামলা যে সার্থকতার সঙ্গে সম্পন্ন করে এসেছি, সেগুলো প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে। প্রধান বিচারপতি একটি দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রধান, সুতরাং তাঁকে বিতর্কিত করা মানে বিচার ব্যবস্থাকে বিতর্কিত করা। রায়ের তিন দিন আগে দুই মন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে আলোচনার মধ্যে গতকাল রোববার অ্যাটর্নি জেনারেল সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি এসব উক্তি করা থেকে বিরত থাকার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
রাজধানীতে ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত সেমিনারে শনিবার মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত মীর কাসেম আলীর আপিলের রায় নিয়ে কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। প্রধান বিচারপতি তাঁর আসনে থাকতে চাইলে ‘অতিকথন’ বন্ধ করা উচিত বলেও সে সময় এক মন্ত্রী পরামর্শ দেন। একই সঙ্গে মীর কাসেম আলীর মামলায় আপিল বিভাগের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি যেসব মন্তব্য করেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে বাদ দিয়ে নতুন বেঞ্চ গঠন করে ওই মামলায় পুনরায় শুনানি করার আহ্বান জানিয়েছেন দুই মন্ত্রী।
মৃত্যুদ-প্রাপ্ত মীর কাসেম আলীর আপিল নিয়ে দুই মন্ত্রীর বক্তব্যের পর এ ধরনের মন্তব্য এড়ানোর পাশাপাশি এ রায় নিয়ে সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, ‘সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলা যখন হয় তখন বহু কথা উঠেছিল, বহু মুখরোচক গল্প উঠেছিল। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় কী হয়েছে সেটা আপনারা দেখেছেন...‘কাজেই অপেক্ষা করুন, বিচার বিভাগের প্রতি সবার আস্থা রাখুন। কারণ বিচার বিভাগ রাষ্ট্রের একটি অঙ্গের ভেতর প্রধান একটি অঙ্গ। এটাকে বিতর্কিত না করাই সবচেয়ে ভাল।’
বিষয়টি কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের সর্বোচ্চ আদালতে যেসব আপিলের শুনানি হয়, এগুলো যে কোনো একজন বিচারপতির সিদ্ধান্তে ঠিক হয় না। এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সবার মতামতের আলোকে। ‘এখানে যুদ্ধাপরাধের মামলা যখন শুরু হল, প্রথম মামলাটির রায় দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। কাদের মোল্লার সেই রায়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কীভাবে হবে, ইত্যাদি সম্বন্ধে মানদ- কেমন সে বিষয়ে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী সময়ে অনেকগুলো মামলার রায় যেমন কামারুজ্জামানের রায়, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায়, সাঈদীর রায় এগুলো প্রধান বিচারপতি দিয়েছেন। ‘কাজেই প্রধান বিচারপতিকে আমাদের দেখতে হবে তিনি আগে কী রায় দিয়েছেন, আইনজীবীদের সাথে উনার কী কথা হল সেগুলো কোনো সংবাদপত্রের বিবেচনার বিষয় হতে পারে না বা জনসভার বিবেচনার বিষয় হতে পারে না।’
আগামী ৮ মার্চ মীর কাসেম আলীর আপিলের রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট। যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে তাকে মৃত্যুদ- দেয়া হয়েছিল। রায় ঘোষণা পর্যন্ত সবাইকে ধৈর্য ধরে অপেক্ষার পরামর্শ দেন অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি বলেন, ‘আমি সবার প্রতি আহ্বান জানাবÑ ধৈর্য্য সহকারে অপেক্ষা করার জন্য, বিচারালয়ের প্রতি, প্রধান বিচারপতির প্রতি এ ধরনের কোনো উক্তি না করার জন্য। প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে ওই বক্তব্য সম্পূর্ণরূপে অসাংবিধানিক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বক্তব্যে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেলকেও পুনঃশুনানিতে বিরত থাকতে বলেন মন্ত্রী কামরুল ইসলাম। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মাহবুবে আলম বলেন, ‘একজন আইনজীবী হিসেবে, আমি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবে এই মামলাগুলোর ব্যপারে আমার কর্মদক্ষতা, আন্তরিকতা ইত্যাদি নিয়ে সাঈদীর মামলার রায়ে ভালভাবে উল্লেখ করা আছে। আমি মনে করি, একজন আইনজীবীর জীবনে চরম প্রাপ্তি আমি একটি রায়ের মাধ্যমে পেয়েছি। কাজেই অন্য কে কী বলল এগুলো সম্পর্কে মন্তব্য করা অনর্থক।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।