নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সিরিজ শুরুর আগ থেকেই একটি কথা বার বার শোনা যাচ্ছিল, পরীক্ষা-নিরীক্ষা। সেটিরই হলো চট্টগ্রামের জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের তৃতীয় ওয়ানডেটি। হালকা চোট থাকায় নেই দলের তারকা পেসার মুস্তাফিজু রহমান। ভাইরাস জ্বর থেকে সদ্যই সেরে ওঠা রুবেল হোসেনকে নিয়েও কোন ঝুঁকি নেয়নি নির্বাচকেরা। বাংলাদেশের একাদশে তিনজনের বেশি পেসারই দেখা যায় কদাচিৎ। সেই দলের বোলিং আক্রমণের প্রথম ৫ বোলারই পেসার! জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে অভাবনীয় এই নজির গড়ল মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।
দুই বিশেষজ্ঞ পেসার ও তিন পেস বোলিং অলরাউন্ডারে সাজানো এই ম্যাচের বাংলাদেশ একাদশ। ৫ জনই বোলিং করেছেন একের পর এক। ওয়ানডে ইতিহাসে এই প্রথম বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণের প্রথম ৫ বোলারই পেসার। একাদশে ফেরা আবু হায়দার শুরু করেছেন বোলিং। আরেক প্রান্তে নতুন বল হাতে নিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। প্রথম পরিবর্তিত বোলার হিসেবে আসেন অভিষিক্ত আরিফুল হক। অধিনায়ক মাশরাফি বল হাতে নেন চার নম্বর বোলার হিসেবে। তৃতীয় ওয়ানডেতে দলে ডাক পাওয়ার পর একাদশেও জায়গা পাওয়া সৌম্য সরকার ছিলেন পঞ্চম বোলার।
নতুন বলের দুই বোলারের শুরুর সাফল্য ছাড়া ৫ পেসার অবশ্য খুব একটা কার্যকর হননি। উইকেটও খুব একটা পেস সহায়ক ছিল না। একজন কার্যকর পেস বোলিং অলরাউন্ডারের খোঁজ করছে দল, অধিনায়ক মাশরাফিও তাই বাজিয়ে দেখলেন আরিফুল-সৌম্যদের।
বোলিং আক্রমণের প্রথম চার জন পেসার ছিল বাংলাদেশের অভিষেক ওয়ানডেতেই। ১৯৮৬ সালে মোরাতুয়ায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই ম্যাচে বাংলাদেশের বোলিং শুরু করেছিলেন দুই পেসার গোলাম নওশের প্রিন্স ও সামিউর রহমান। পরের দুই বোলার ছিলেন গোলাম ফারুক সুরু ও জাহাঙ্গীর শাহ বাদশা। পাকিস্তানের বিপক্ষে পরের ম্যাচেও বাংলাদেশের প্রথম চার বোলার ছিলেন এই চার পেসার।
শুরুর ম্যাচ থেকে এই ম্যাচের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রথম চার বোলারই পেসার ছিল ২৯ ম্যাচে। এবারের আগে সবশেষটি ছিল গত বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমি-ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে। এজবাস্টনে সেদিন বাংলাদেশের প্রথম চার বোলার ছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন ও তাসকিন আহমেদ।
সব দল মিলিয়ে বোলিং আক্রমণের প্রথম ৫ জন্যই পেসার ওয়ানডে ক্রিকেট দেখেছিল ২১তম ম্যাচে। ১৯৭৫ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হেডিংলিতে পাকিস্তানের প্রথম ৫ বোলার ছিলেন নাসের মালিক, আসিফ মাহমুদ, সরফরাজ নওয়াজ, আসিফ ইকবাল ও ইমরান খান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।