Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘পাকিস্তানের পেসাররা সিংহের মতো, ভারতের সে তেজ নেই’

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০১ এএম

ভারতের পেস বোলিংয়ের প্রশংসা এখন চারদিকে। গত কয়েক বছরে ভারতে ও ভারতের বাইরে যে কোহলি-রোহিতরা এত টেস্ট জিতেছেন, সেটির পেছনে ভারতের ব্যাটিংয়ের চেয়েও বড় প্রভাবক হিসেবে দেখা হয় ভারতের পেস বোলিংয়ের উন্নতিকে। যশপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ শামি, ভুবনেশ্বর কুমার, ইশান্ত শর্মা, উমেশ যাদব কিংবা হালের মোহাম্মদ সিরাজ... গত কয়েক বছরে ভারতের ফাস্ট বোলারের দাপট দেখেছে বিশ্ব ক্রিকেট। পাকিস্তানের সাবেক ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতারের চোখেও ভারতের ফাস্ট বোলিংয়ে এই উন্নতি দারুণ। তবে এত উন্নতির পরও ভারতের ফাস্ট বোলিংয়ের সঙ্গে পাকিস্তানের ফাস্ট বোলিংয়ের তুলনায় যান তিনি, শোয়েবের চোখে সেখানে ভারতের ফাস্ট বোলিং এখনো অনেক পিছিয়ে। দুই দেশের ফাস্ট বোলিংয়ের পার্থক্য তুলে ধরতে গিয়ে শোয়েব বলছেন, পাকিস্তানের ফাস্ট বোলাররা ‘সিংহের’ মতো, ভারতের ফাস্ট বোলারদের সে তেজের অভাব আছে।
ক্যারিয়ারে নিয়মিতই ১৫০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বল করেছেন শোয়েব। একটা সময় তার সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলার ব্রেট লির গতির প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতো। সেই শোয়েব আর লি এবার এক হলেন একটা পডকাস্টে। স্বাভাবিকভাবেই সেখানে ফাস্ট বোলিং নিয়ে হলো যত আলোচনা। সে আলোচনায় জুড়ে গেল ভারত বনাম পাকিস্তানের ফাস্ট বোলার নিয়ে বিশ্লেষণ। লি আইপিএলের সুবাদে এখন ভারতে কাজ করেন নিয়মিত। ভারতে ঘুরতে যাওয়া, কাজ করা যে অস্ট্রেলিয়ান সাবেক ফাস্ট বোলারের অনেক পছন্দের, সেটি নিজেই স্বীকার করেছেন অনেকবার। বলিউডের কিংবদন্তি গায়িকা আশা ভোঁসলের সঙ্গে একটা গানেও অংশ নিয়েছিলেন লি। অন্যদিকে শোয়েবও নিয়মিত ভারতে যান, ভারতের কিছু টিভি অনুষ্ঠানেও অংশ নিয়েছেন ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’। ভারতের ক্রিকেট ও ক্রিকেটার নিয়ে দুজনের জানাশোনাও তাই অনেক ভালো।
শোয়েব তাই নিজ দেশের ফাস্ট বোলারদের সঙ্গে ভারতের ফাস্ট বোলারদের পার্থক্যটা তুলে ধরেছেন পডকাস্টে, ‘পাকিস্তান আর ভারতের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। ভারতীয়রা অনেক ভালো কয়েকজন ফাস্ট বোলার তুলে আনছে। তবে পেসারদের যে অন্য রকম একটা শক্তি থাকে, সেটার অভাব আছে ওদের মধ্যে- চোখেমুখে ওই রাগ, শরীরের ভাষায় খুন করে ফেলার ভঙ্গি!’
দুই দেশের ফাস্ট বোলারদের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেওয়া দুটি বিষয়ের কথাও বলেছেন শোয়েব। এক, খাবারদাবারের পার্থক্য। দুই, উঠতি বোলাররা যাঁদের আদর্শ মানবেন, তাঁদের মানের পার্থক্য। শোয়েবের বিশ্লেষণ, ‘আমাদের দেশে আদর্শ হওয়ার মতো যে মানের খেলোয়াড় আছেন, আমরা যে খাবার খাই, যে পরিবেশে বড় হই, যে দৃষ্টিভঙ্গি মেনে চলি...এর পাশাপাশি যোগ করে নিন, আমাদের দেশে আমার মতো লোক আছে, যারা কিনা সব সময় প্রাণশক্তিতে ভরপুর। ফাস্ট বোলিং করাটা আমাদের কাছে উপভোগের ব্যাপার।’ দুই দেশের খাদ্যাভ্যাসের পার্থক্যটাও তুলে ধরেছেন শোয়েব। পাকিস্তানে মাংসজাতীয় খাবারের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেশি, সে কারণেই সেখানকার মানুষের তেজ বেশি থাকে বলে মনে হচ্ছে শোয়েবের, ‘আপনি যা খাবেন, সে রকমই তো হবেন, তা–ই না? আমাদের দেশের মানুষ অনেক প্রাণী খায়, আমরা তাই পশুর মতো হয়ে উঠি। আমাদের ফাস্ট বোলারদের দেখুন, আমরা দৌড়াই সিংহের মতো!’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তানের পেসার
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ