Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

পার্থক্য গড়ে দিল পেসাররাই

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ জুলাই, ২০২২, ১২:০১ এএম

জিম্বাবুয়ে ইনিংসের ১৪ ওভারের খেলা শেষে তাদের রান ছিল ৩ উইকেটে ১১৪, আর বাংলাদেশের ছিল ৪ উইকেটে ১২৪। স্বাগতিকদের শেষ ৩৬ বলে টাইগার বোলাররা দিল ৯১ রান! শেষ ছয় ওভারে যথাক্রমে ১৪, ১২, ১৩, ১৪, ১৯ এবং ১৯ রান দিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই ম্যাচের চেহরাই বদলে ফেলেন তিন পেসার মুস্তাফিজ, তাসকিন ও শরীফুল। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে জিম্বাবুইয়ানদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ২০৫ রান। মাধেভেরের ৬৭ ও সিকান্দর রাজার ২৫০ স্ট্রাইকরেটে ৬৫ রান স্বাগতিকদের দেয় পাহাড়সম পুঁজি। মূলত সেখানেই ম্যাচটি খুইয়ে ফেলে বাংলাদেশ। জবাবে শুরুতে ঝড় তোলেন লিটন দাস, পরে সেই লড়াই একাহাতে চালিয়ে জয়ের খুব কাছে গিয়েও মুখথুবড়ে পরে বাংলাদেশ, থামে ১৮৮ রানে। মেনে নিতে হয় ১৭ রানের পরাজয়। তাতেই সর্বশেষ ৮ বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের মতন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষীয় সিরিজ হার দিয়ে শুরু করল বাংলাদেশ।
বড় লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে একবারও মনে হয়নি বাংলাদেশ ম্যাচটি জিততে পারে। শুরুতেই মুমিন ফেরার পর, লিটন সুন্দর ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী করলেন। তবে সেটা থেমে যায় এক অনাকাক্সিক্ষত ঘটনায়। উইলিয়ামসের বলে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ উঠলে এনগারাভা তা ধরার পরও ছেড়ে দেন। কিন্তু লিটন সেদিকে মনযোগ না দিয়ে আগেই সাজঘরের দিকে হাঁটা শুরু করেন। ফলাফল রান আউতে রান আউটে ফিরতে হয় ১৯ বলে ৩২ রান করে, সেই সাথে ভেঙ্গে যায় আনামুলের সাথে ৩৩ বলে ৫৮ রানের জুটি। এই ইনিংস খেলার পথে তিনি ছুঁয়েছেন ৬ষ্ঠ বাংলাদেশী হিসেবে টি-২০ ক্রিকেটে এক হাজার রান করার গৌরব।
বিজয়ের ব্যাটিং দেখে একবারও মনে হয় নি যে তিনি এই কুড়ি ওভারের ম্যাচটি বিজয়ের লক্ষ্যে খেলছেন। দুটি ছয়ের মাড়ে করলেন ২৬ কিন্তু তার জন্য নষ্ট করলেন ২৭টি মূল্যবান বল। স্ট্রাইক রোটেট করতে না পারার সেই পুরোনো সমস্যা থেকে এখনও যে তিনি বের হতে পারেননি তা স্পষ্ট। তিন পেসারের পর মূলত বিজয়ের এই কচ্ছপ গতির ব্যাটিংও এই ম্যাচ হাতছাড়া হওয়ার জন্য দায়ী। শেষ ৬০ বলে টাইগারদের দরকার ছিল ১১৯ রান। কিন্তু একমাত্র কাপ্তান সোহান ছাড়া কারও ব্যাটিংই এই ম্যাচের মেজাজের সঙ্গে মানান সই ছিল না। নাজমুল শান্ত ও সোহানের ২১ বলে ৪০ রানের আশা জাগিয়েছিল। তবে শান্তর ২৫ বলে ৩৭ রানের ইনিংসটি ম্যাচ জিতার জন্য যথেষ্ট ছিল না। আফিফ ও মোসাদ্দেকও ব্যর্থ ছিল গতকাল। সোহানের ২৬ বলে ৪২ রানের ঝড়টা তার সতির্থদের জন্য একটা বিশাল উদাহরণ হয়ে থাকবে। শেষ ২৪ বলে জয় থেকে ৫৯ রান দূরে ছিল টাইগাররা। ১৭ ও ১৮ তম ওভারে ২৮ রান আসায় সেই সমীকরণ দাড়ায় শেষ ১২ বলে ৩২। আজকাল যেটা খুবই সম্ভব। কিন্তু সোহান আর মোসাদ্দেক আর নিতে পারেননি সেই ধাক্কা। এনগারাভা ১৯ তম ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে ও মোসাদ্দেককে আউট করে বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে সম্পূর্ণভাবে ছিটকে দেন।
এর আগে হারারেতে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম দশ ওভার শেষে ২ উইকেটে হারিয়ে ৭৪ রান তোলা জিম্বাবুয়ে স্লগ ওভারে ঝড় তুলে গড়ে রানপাহাড়। মাধেভেরাকে নিয়ে ৪৩ বলে ৯১ রানের এক জুটি গড়ে বাংলাদেশেকে হারানোর পথ সুগম করেন রাজা। ৭ চার ও ৪ ছয়ে ২৬ বলে ৬৫ রানের ইনিংসটি জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট ইতিহাসেরই এক ঝলমলে সাক্ষী। ইতিহাসে টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে ২য় বারের মতন ২০০ রানের ছোঁয়া পাওয়া জিম্বাবুয়ে-ই বা হারবে কেন? এর আগে ২০১২ তে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০০ রানের দেখা পেয়েছিল তারা ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পার্থক্য গড়ে দিল পেসাররাই
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ