মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
লন্ডনে নিলামে উঠেছিল শিখ মহারানি জিন্দান কউরের পান্না ও মুক্তো খচিত হার। বিক্রি হল প্রায় দুই কোটি টাকায়। অবিভক্ত ভারতের পাঞ্জাবের শিখ মহারাজা রণজিৎ সিংহের প্রধান পত্নী ছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার লন্ডনে বিশেষ নিলামের আয়োজন করেছিল সেখানকার বেসরকারি সংস্থা ‘বনহ্যামস।’ নাম রেখেছিল ‘বনহ্যামস ইসলামিক অ্যান্ড ইন্ডিয়ান আর্ট সেল।’ ব্রিটিশ রাজত্বের সময় ভারত থেকে নিয়ে যাওয়া বিভিন্ন জিনিসপত্র রাখা হয়েছিল। তাতেই জায়গা পায় লাহোরের রাজকোষের অংশ ওই রত্নখচিত হারটি। শুরুতে হারটির দাম রাখা হয়েছিল ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার পাউন্ড। তবে দরাদরির পর ১ লক্ষ ৮৭ হাজার পাউন্ড অর্থাৎ প্রায় দুই কোটি টকায় বিক্রি হলো হারটি।
বিশেষ ঐতিহাসিক গুরুত্বে কারণেই এর প্রতি ছিল সবার আগ্রহ। শারীরিক অসুস্থতার জেরে ১৮৩৯ সালে লাহোরে মৃত্যু হয়েছিল মহারাজা রণজিৎ সিংহের। সেই সময় সতীদাহ প্রথা চালু ছিল। রাজার মৃত্যুর পর তাঁর ৪ পত্নী ও ৭ উপপত্নী চিতায় ওঠেন। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন রানি কউর। রাজার উত্তরাধিকারী, শিশুপুত্র দলীপ সিংহকে আগলে রাখার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ১৮৪৩ সালে মাত্র ৫ বছর বয়সী দলীপ সিংহকে পাঞ্জাবের মহারাজা ঘোষণা করা হয়। ‘শিশু রাজা’র প্রতিনিধি হিসাবে রাজ্য শাসন করতেন কউর। ব্রিটিশ বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে সশস্ত্র বাহিনীও গড়ে তোলেন তিনি। কিন্তু যুদ্ধে হেরে কোনওরকমে কাঠমাণ্ডু পালিয়ে যেতে সক্ষম হন তিনি। তবে সেখানে তাকে গৃহবন্দী করে রাখেন নেপালের তৎকালীন শাসক। পরে ইংল্যান্ড চলে যান তিনি। সেখানে ছেলে ও সম্পদ ফিরে পান তিনি। ফিরে পান ওই হারটিও। তার মৃত্যুর পর দলীপ সিংহের কাছ থেকে প্রায় সব মূল্যবান জিনিসই কেড়ে নেয় ব্রিটিশ সরকার। প্রায় নিঃস্ব হয়ে যান তিনি। সেই অবস্থায় ১৮৯৩ সালে প্যারিসে মৃত্যু হয় তার।
মঙ্গলবারের নিলামে প্রায় সাড়ে ১৭ কোটি টাকার জিনিসপত্র বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বনহ্যামসে ভারতীয় এবং ইসলামি শিল্প বিভাগের প্রধান অলিভার হোয়াইট। তিনি বলেন, “নিলাম অত্যন্ত সফল হয়েছে। লাহোর রাজকোষের জিনিসপত্রই সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। রানি জিন্দ কউরের ওই হারটি ঘিরে নিলামে উপস্থিত ক্রেতাদের কৌতূহল ছিল দেখার মতো। খুব বেশিবার পরা হয়নি সেটি। খুব ভাল অবস্থায় ছিল। তাই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। নিলামঘরে তো বটেই, ফোন এবং ইন্টারনেটেও প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়।”
লাহোর রাজকোষের অন্যান্য জিনিসপত্রের মধ্যে ছিল সোনার সুতোর বাণ্ডিল, ভেলভেটের কাপড়ে মোড়া চামড়ার ধনুক এবং মহারাজা রণজিৎ সিংহের জন্য তৈরি বিশেষ তূণীর। পান্না দিয়ে তৈরি মুঘল যুগের একটি তাবিজ বিক্রি হয় প্রায় ১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকায়। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।