রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে চলেছে সরকারদলীয় চেয়ারম্যান হযরত তালুকদার। তার ভয়ে কেউ কিছু বলতে সাহস পাচ্ছে না। আর এ কারণে দিন দিন নদী ভাঙনের ফলে বিলীন হতে চলেছে আশপাশের এলাকার বাড়ি-ঘর ও আবাদি জমি। গত ৬ মাস পূর্বে স্থানীয় প্রশাসন ওই উপজেলার বঙ্গবন্ধু সেতু সংলগ্ন বেলটিয়া এলাকায় যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করার সময় অভিযান চালিয়ে তা বন্ধ করে দেয়। সেইসাথে দুটি ড্রেজার পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এসময় হযরত তালুকদার ও তার সহযোগীরা খবর পেয়ে পালিয়ে যায়। এরপর থেকে ৫ মাস বালু উত্তোলন বন্ধ থাকার পর পুনরায় একমাস ধরে বালু উত্তোলন শুরু করেছে তারা। এ কারণে এবারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো নতুন করে ভাঙনের শিকার হয়ে নিঃস্ব হতে চলেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেলটিয়া এলাকায় যমুনা নদীর পাড় ঘেঁষে অবৈধভাবে দুটি ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। সেখানে কয়েকজন শ্রমিকের সাথে কথা হলে তারা জানান, বেশ কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর চেয়ারম্যানের নির্দেশে গত এক মাস যাবৎ বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। আর সেখানে থেকে প্রতিদিন শত শত ট্রাক বালু যাচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। ফলে নদী ভাঙনের সাথে চরম হুমকির মুখে রয়েছে ট্রাক যাতায়াতকারী রাস্তার উপর দিয়ে যাওয়া গ্যাস পাইপগুলো। স্থানীয় এলাকাবাসী মজিবর রহমান ও আনসার আলী জানান, তাদের বাড়ি ছিল নদী থেকে এক থেকে আধা কিলোমিটার দূরে। এখন এভাবে বালু উত্তোলন করার কারণে নদী একেবারে বাড়ির কাছে এসে পড়েছে। একইসাথে যে রাস্তা দিয়ে বালু ট্রাকভর্তি করে নেয়া হয় সেই রাস্তার উপর দিয়ে গ্যাস পাইপ বসিয়ে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়েছে। সেটিও এখন হুমকির মুখে। বার বার নিষেধ করেও কোনো লাভ হয়নি। উল্টো হুমকির সম্মুখীন হতে হয়েছে। এদিকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়টি অস্বীকার করে হযরত তালুকদার বলেন, এই বালুর ঘাটটি সরকারিভাবে লিজ নেয়া হয়েছে। আর আমি বৈধভাবেই বালু উত্তোলন করছি। এ বিষয়ে কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু নাসার উদ্দিন জানান, কালিহাতীতে কোনো সরকারি বালুর ঘাট বা মহাল নেই। ইতোপূর্বে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে হযরত তালুকদারের বালুর ঘাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। সেইসাথে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত দুটি ড্রেজার আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। তবে এখন আবার তারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে কিনা আমার জানা নেই। তবে যদি তারা বালু উত্তোলন করে থাকে তাহলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।