পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
অপ্রতিহত গতিতে চলছিল পুলিশ ও র্যাবের মাদকবিরোধী অভিযান। ততোধিক অপ্রতিহত গতিতে চলছিল মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে বন্দুকযুদ্ধ। গত ৩ জুন পর্যন্ত অর্থাৎ ১৭ দিনে এই অভিযানে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে ১৩৪ জন। সরকারের ভাষ্য অনুযায়ী এই ১৩৪ জনই মাদক ব্যবসায়ী। অবশ্য সরকারের ভাষ্যের বিপরীতে যেসব ভাষ্য আসছে সেগুলোর সংখ্যা অনেক বেশি এবং বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ সেই সব ভাষ্যকেই বেশি গ্রহণযোগ্য বলে মনে করছে। প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে ১২ জন বন্দুকযুদ্ধে মারা যাচ্ছিল। সংখ্যাটা গত ৫ দিন হলো হঠাৎ করে কমেছে। গত কয়েক দিন হলো দৈনিক ২ থেকে ৩ জন মারা যাচ্ছে। সংখ্যাটি ১২ থেকে ৩-এ কেন নেমে এলো? সেটা সরকার ভালো জানে। অনেক কারণ থাকতে পারে। আমরা সেসব কারণ গেজ করতে পারি। তবে সঠিক তথ্য জানি না বলে আমি অনাবশ্যক জল্পনা-কল্পনায় লিপ্ত হবো না। তবে ২/৩টি ঘটনা ঘটেছে; এগুলো কাকতালীয় কিনা জানি না।
ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করেন এবং এই বন্দুকযুদ্ধ ও মানুষ হত্যায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ ব্যাপারে বার্নিকাটের বক্তব্যের যে বিষয়টি বোদ্ধা মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে সেটি হলো, তিনি এসব হত্যাকান্ডের তদন্ত হওয়া উচিত বলে মনে করেছেন। এরপর থেকে দেখা যাচ্ছে যে, বন্দুকযুদ্ধে নিহত ব্যক্তিদের সংখ্যা হঠাৎ করে কমে এসেছে।
এর মধ্যে টেকনাফের পৌর কাউন্সিলর একরামুল হকের মৃত্যু নিয়ে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। তাকে পুলিশ গুলি করার আগে এবং গুলি করা পর্যন্ত যেসব ঘটনা ঘটেছে তার অডিও টেপ প্রকাশিত হয়েছে। গত ১ জুন ইংরেজি দৈনিক ‘ডেইলি স্টার’ তাদের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রধান সংবাদে যে স্টোরি ছেপেছে সেটি সারাদেশে আলোড়ন তুলেছে। খবরটির প্রধান শিরোনাম গঁৎফবৎ রঃ ধিং. দ্বিতীয় শিরোনামটি বড়। সংক্ষেপে বলা হয়েছে যে, একটি অপরীক্ষিত অডিও টেপ থেকে যে সংলাপ শোনা যায় সেটি শুনলে শিরদাঁড়ায় ঠান্ডা স্রোত বয়ে যায়। বলা হয়েছে যে, একটি প্ল্যান মোতাবেক তাকে হত্যা করা হয়েছে। এই খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর ডেইলি স্টারের ওয়েবসাইট কিছু সময়ের জন্য ব্লক করা হয়েছিল। সাথে সাথে বিভিন্ন মহলের তীব্র প্রতিবাদের মুখে সেটি অবশেষে আন ব্লক করা হয়। স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে, ঐ কাহিনী সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে।
গত ২ জুন একটি টেলিভিশন টক’শোতে ৩ জনের মধ্যে ২ জন আলোচক বলেছেন যে, এর ফলে সরকারের যে ড্যামেজ হওয়ার সেটি ইতোমধ্যেই হয়ে গেছে। সেটি পুনরুদ্ধার করার আর কোনো পথ নেই। একরামুল হত্যাকান্ডও মাদকবিরোধী অভিযানে দৈনিক নিহতের সংখ্যা কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ কিনা সেটি আমরা জানি না।
দুই
এর মধ্যে গত ৩ জুন ১০ বিশিষ্ট নাগরিক একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। ঐ বিবৃতিতে তারা মাদকবিরোধী অভিযানে পুলিশ ও র্যাবের বন্দুকযুদ্ধকে স্পষ্ট ভাষায় বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড বলেছেন। এই বিবৃতিটিও সরকারকে একটি অস্বস্তিকর অবস্থায় ঠেলে দিয়েছে। কারণ এই ১০ জন বিশিষ্ট নাগরিকই আওয়ামী ঘরানার। এরা হলেন- প্রফেসর আনিসুজ্জামান, কবি হাসান আজিজুল হক, নাট্যশিল্পী রামেন্দু মজুমদার, নাট্যশিল্পী আতাউর রহমান, নাট্যশিল্পী মামুনুর রশীদ, কবি নির্মলেন্দু গুণ, নাট্যশিল্পী নাসিরুদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু, মফিদুল হক, গোলাম কুদ্দুস এবং হাসান আরিফ। বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি যে প্রতিদিন বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের ফলে অনেক লোক মারা যাচ্ছেন। এসব ঘটনাকে বন্দুকযুদ্ধ বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। আমাদের সংবিধানে জীবনের যে অধিকার দেওয়া হয়েছে তাকে এভাবে হরণ করা যায় না। কয়েক ব্যক্তিকে হত্যার লোমহর্ষক খবর পত্রপত্রিকা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। টেকনাফের পৌর কাউন্সিলর একরামুল হকের বিরুদ্ধে এর আগে মাদক সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ ছিল না। একরামুলের পরিবার একটি সংবাদ সন্মেলন করে এবং সাংবাদিকদেরকে অডিও ক্লিপ সরবরাহ করে। একরামুলের মৃত্যুর আগে যে কথোপকথন সেটি সেই অডিও ক্লিপে রয়েছে। তাকে হত্যা করার যেসব কথাবার্তা ঐ অডিও ক্লিপে রয়েছে সেটি একটি গণতান্ত্রিক দেশে কল্পনাও করা যায় না। এই মাদকবিরোধী অভিযান প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার মতো এই একটি ঘটনাই যথেষ্ট। এই ১০ জন নাগরিক এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন এবং তদন্তের ফলাফল প্রকাশ করতে সরকারকে অনুরোধ করেছেন।
বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী এবং তত্তাবধায়ক সরকারের প্রাক্তন উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেছেন যে, সমস্যা সমাধানের জন্য সরকার মনে হয় বন্দুকযুদ্ধকেই একমাত্র পথ বলে মনে করছে। এমন একটি পরিস্থিতির উদ্ভব হয় তখনই যখন একটি দেশে সুশাসন এবং জবাবদিহিতা অনুপস্থিত থাকে। সুলতানা কামাল বলেন, ‘এই জাতি তার মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে।’ তিনি বলেন, এইদেশে জীবন মূল্যহীন হয়ে পড়েছে। যারা দেশ চালাচ্ছেন তাদেরকে এই বিষয়টি ভাবতে হবে। ঐ ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং সুলতানা কামাল- এরা সকলেই আওয়ামী ঘরানার লোক। বন্দুকযুদ্ধের নামে এই হত্যাকান্ড এমন একটি পর্যায়ে গিয়েছে যখন এসব ঘটনা সরকারের সহযোগীদের কাছেও সমর্থনযোগ্য এবং গ্রহণ যোগ্য মনে হচ্ছে না। আর হবেই বা কোত্থেকে। এক সময় ক্রস ফায়ারকে বিচারবহির্ভূত হত্যা কান্ড মনে করা হতো। কিছুদিন পর ক্রস ফায়ারের আর একটি সমার্থক শব্দ শোনা গেল। সেটি হলো এনকাউন্টার। তারপরে এলো আর একটি সমার্থক শব্দ। সেটি হলো গান-ফাইট বা বন্দুকযুদ্ধ। এই সরকার এখন বন্দুকযুদ্ধকে ক্রসফায়ার এবং এনকাউন্টার থেকে আলাদা করতে চাচ্ছেন। কিন্তু সেটি দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হচ্ছে না। তারা বলছেন , ঘুরে ফিরে বিষয়টি একই বৃত্তে ফিরে আসে। যার নাম চাল ভাজা, তার নামই মুড়ি ভাজা। এসব ঘটনাও বন্দুকযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় অবদান রেখেছে বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন।
সরকার বলেছে যে, বেশ কিছুদিন পরিশ্রম করে তারা মাদক ব্যবসায়ীদের যে তালিকা করেছে সেটি নির্ভুল। এই তালিকা ধরে তারা অভিযান চালিয়েই যাবে, যতদিন মাদক নির্মূল না হচ্ছে। পর্যবেক্ষক মহল বলে যে, শুধুমাত্র বন্দুকযুদ্ধের মাধ্যমে মাদক নির্মূল হবে না। যে দুটি রুট দিয়ে এদেশে মাদক আসে সেই বার্মা সীমান্ত এবং ভারতীয় সীমান্ত এখনো বন্ধ করা হয়নি। দেশের অভ্যন্তরে মাদক প্রবেশ করার পর যেসব রুট দিয়ে এই মাদক দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়ে সেই সব রুট আজও বন্ধ করা হয়নি। কাজেই শুধুমাত্র বন্দুকযুদ্ধের ওপরে নির্ভর করে মাদক কতখানি নির্মূল বা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে সেটি নিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলেই সংশয়ে রয়েছেন।
তিন
এখন একটু ভিন্ন প্রসঙ্গ। ঈদ আসন্ন। তাই সকলেই ঈদ নিয়ে ব্যস্ত। ঈদ হতে আর ১২ বা ১৩ দিন বাকি আছে। তাই সকলে কেনাকাটায় ব্যস্ত। ঈদের কেনাকাটার ব্যস্ততা এবং প্রচন্ড যানজট এড়ানোর জন্য অনেকে রোজার কয়েকদিন আগে অথবা রোজা শুরুর প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই কেনাকাটা সেরে রাখেন। অনেককে বোনাসের জন্য বসে থাকতে হয়। তারা এবং যারা বেতন শেষ মুহূর্তে পান তারা ঈদ আসার ১০/১২ দিন আগে কেনাকাটায় ব্যস্ত হন। এই দিকে এই মহানগরীর দুই কোটি মানুষের মধ্যে ৫০ শতাংশেরও বেশি অর্থাৎ এক কোটিরও বেশি মানুষ রোজার ঈদে পরিবার পরিজনের সাথে ঈদ করার জন্য দেশে যান। দেশে যাওয়াটাও একটা বিরাট ঝক্কি ঝামেলার ব্যাপার। ট্রেন, বাস বা লঞ্চের টিকিট কাটার বিড়ম্বনা। এসব তো সকলের জানা কথা। তার পরেও এই কথাগুলো এ জন্যেই বললাম যে, ঠিক এই সময় রাজনীতির কথা অনেকের ভালো নাও লাগতে পারে। তবুও বাংলাদেশের রাজনীতি এমন একটি পর্যায়ে গিয়েছে যখন রাজনীতি আমাদের দৈনন্দিন জীবন, পারিবারিক জীবন এবং সামাজিক জীবনের সাথে ওৎপ্রোতভাবে জড়িয়ে গেছে। পবিত্র রমজানের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে এবং পবিত্র রমজানের মধ্যেই ১৩৪ ব্যক্তি মারা গেছে। এই রমজানে প্রতিদিন কারো না কারো ইফতার মাহফিল হচ্ছে। ইফতার মাহফিলেও এখন রাজনীতির আলোচনা হচ্ছে। না করেই বা কি উপায়? মির্জা ফখরুল বলেছেন, আজকাল কয়েকজন মিলে ঘরে বসেও কথা বলা যায় না। সেখান থেকেও পুলিশ উঠিয়ে নিয়ে যায়। তার পরেও বলবো, রমজান মাসে রাজনৈতিক তৎপরতায় ভাটা পড়ে।
বিএনপি বুঝতে পেরেছে যে, আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে বেগম জিয়াকে জেল থেকে মুক্ত করা যাবে না। তাকে মুক্ত করতে হলে প্রয়োজন রাজপথের আন্দোলন এবং যে সে আন্দোলন নয়। একেবারে দুর্বার গণআন্দোলন। সেই গণআন্দোলন যদি সফল হয় তাহলে শুধুমাত্র বেগম জিয়াই জেল থেকে মুক্তি পাবেন না, নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ সরকারও প্রতিষ্ঠিত হবে। একথার অর্থই হলো বর্তমান সরকারের পতন। সুতরাং কাজটি এত সোজা হবে না। একবার যদি গণআন্দোলন শুরু হয় তাহলে সেটা গণঅভ্যুত্থানেও রূপ নিতে পারে। সুতরাং এই ধরনের একটি বিস্ফোরক পরিস্থিতির উদ্ভব যাতে না ঘটে তার জন্য সরকার আপ্রাণ চেষ্টা করবে। এমনিতেই সরকার যে কোন আন্দোলন দমন করার জন্য পুলিশ,র্যাব এবং বিজিবিকে মাঠে নামায়। রাজনৈতিক পরিস্থিতি যদি বিস্ফোরোন্মুখ হয় তাহলে সরকার সর্বশক্তি দিয়ে সেটি দমন করবে। তাই সরকারের সেই কঠোর দমননীতির মোকাবেলা করার জন্য বিরোধী দলকেও আরো বেশি করে শক্তি সঞ্চয় করতে হবে।
বিএনপি সেই চেষ্টাটিই করে যাচ্ছে। তারা ঐক্যের পরিধি ২০ দল থেকে আরো বাড়ানোর চেষ্টা করছে। ড. বি চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্ত ফ্রন্টের সাথে কথা বলা শুরু হয়ে গেছে। ড. কামাল হোসেন এবং কাদের সিদ্দিকীর সাথেও অনানুষ্ঠানিক কথা হয়েছে। মাঝ খানে ড. কামাল হোসেন বিদেশ চলে যাওয়ায় আলোচনায় বেশি অগ্রগতি সাধিত হতে পারেনি। ঈদের পর অনেকেই ঢাকা ফিরে আসবেন।তখন আবার ঐক্য প্রক্রিয়া শুরু হবে। কামাল হোসেন ছাড়া কাদের সিদ্দিকী বিএনপির সাথে একটি সমঝোতার ব্যাপারে কোনো কথা বলতে পারছেন না।
এদিক দিয়ে যুক্তফ্রন্ট অনেকটাই এগিয়ে আছে। আসম আব্দুর রব এবং মাহমুদুর রহমান মান্না এব্যাপারে তাদের চেয়ারম্যান বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নিকট থেকে সবুজ আলোর সংকেত পেয়েছেন। ঈদের পর ড. কামাল হোসেনের সাথে বৈঠক হবে। যদি ড. কামালের সাথে বিএনপির বৈঠক সফল হয় তাহলে যুক্তফ্রন্ট এবং কামাল হোসেন ও কাদের সিদ্দিকীকে নিয়ে একটি বৃহত্তর ঐক্য ফ্রন্ট গঠিত হতে পারে। অনেকেই বলতে চান যে, ড. চৌধুরী, কামাল হোসেন, আসম রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, কাদের সিদ্দিকী প্রমুখের তো রাজপথে কোনো শক্তি নাই। কথাটি ঠিক। তবে তাদের ফেস ভ্যালু আছে এবং আওয়ামী লীগ তাদেরকে রাজাকার এবং পাকিস্তানী দালাল বলে উড়িয়ে দিতে পারবে না। ঐক্য প্রক্রিয়াতে সিপিবি, বাসদ প্রভৃতি বাম দল আসতেও পারে বলে বাজারে একটি ক্ষীণ আওয়াজ আছে। তারা আসুক বা না আসুক, বি চৌধুরী এবং কামাল হোসেনকে নিয়ে বিএনপি যদি একটি বৃহত্তর ঐক্য ফ্রন্ট গঠন করতে পারে তাহলে গণআন্দোলন শুরু হবে এবং সেটি বেগবান হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
Email: [email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।