পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির জেলা কর্মসূচির বিপরীতে সারাদেশের জেলায় জেলায় শান্তি সমাবেশ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ‘দেশব্যাপী বিএনপি-জামাত জোটের নৈরাজ্য, আগুন সন্ত্রাস ও নাশকতার’ অভিযোগে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে জেলা পর্যায়ের শান্তি সমাবেশে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তৃতা করেন। দলটির জেলা কমিটি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনগুলো নেতাকর্মীদের এসব কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের নেতারা বিএনপিকে রাজপথ ছেড়ে দেয়া হবে না, বিএনপিকে গণবিচ্ছিন্ন, বিএনপি সন্ত্রাসী দল ইত্যাদি অভিধায় অবিহিত করে বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের সৃষ্টি করতে নানা অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। তাদের এই হীনকার্য কোন দিনই বাংলার মাটিতে প্রতিষ্ঠিত হতে দেবে না এদেশের শান্তি প্রিয় জনগণ। বিএনপি কোথাও নৈরাজ্য, অগ্নিসন্ত্রাস করতে গেলে প্রতিহতের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ঝালকাঠি : ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা জানান, গতকাল ঝালকাঠিতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, দেশের মানুষের জান ও মালের নিরাপত্তা বিধান করার জন্যই আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করছে। এই সমাবেশ মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। আমরা চাই সেই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করে তাদের জনপ্রিয়তা প্রমাণ করুক।
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সরদার মো. শাহআলমের সভাপতিতে সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. খান সাইফুল্লাহ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তরুন কর্মকারসহ আরো অনেকে।
মাগুরা : স্টাফ রিপোর্টার, মাগুরা থেকে জানান, জেলা আওয়ামী লীগ মাগুরা গতকা বিকেলে স্থানীয় সেগুন বাগিচায় আয়োজিত সমাবেশ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাগুরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফম আব্দুল ফাত্তাহ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাগুরা ১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. সাইফুজ্জামান শিখর। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ কুমার কুণ্ডু, সাবেক সহ সভাপতি মুন্সী রেজাউল হক, পৌর মেয়র খুরশীদ হায়দার টুটুল, সদর থানা আওয়ামী লীগের সম্পাদক আব্দুল মান্নান প্রমুখ।
নাটোর : জেলা সংবাদদাতা জানান, নাটোরে জেলা আওয়ামী লীগের গতকাল শহরের কানাইখালী এলাকায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন নিখিল, জেলা আওয়ামী লীগের সধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান, নাটোর-নওগাঁ সংরক্ষিত আসনের মহিলা এমপি রত্না আহমেদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. সাজেদুর রহমান খান, সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার, নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি, নাটোর বারের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক শেখসহ সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সিরাজগঞ্জ : জেলা সংবাদদাতা জানান, গতকাল সকালে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্দ্যোগে শহরের এস এস রোডস্থ দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গন থেকে একটি বিশাল মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়। বিএনপি-জামায়াত দেশে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের সৃষ্টি করতে নানা অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। তাদের এই হীনকার্য কোন দিনই বাংলার মাটিতে প্রতিষ্ঠিত হতে দেবে না এদেশের শান্তি প্রিয় জনগণ বলে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কে এম হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব দানিউল হক মোল্লা, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিনসহ আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সুনামগঞ্জ : জেলা সংবাদদাতা জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সুনামগঞ্জে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকালে সুনামগঞ্জ শহরের আলফাত উদ্দিন স্কয়ার পয়েন্টে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুল হুদা মুকুটের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. আলী আমজদ, অ্যাড. রইছ উদ্দিন, অ্যাড. চাঁন মিয়া, অ্যাড. নজরুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, মৎস্যজীবিলীগ, শ্রমিকলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ঠাকুরগাঁও : জেলা সংবাদদাতা জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগ গতকাল সকালে সমাবেশের আয়োজন করেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশীর সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, সহ-সভাপতি মাহবুব হোসেন খোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আলম টুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টো, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. অরুনাংশু দত্ত টিটোসহ জেলা-উপজেলার নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ভোলা : জেলা সংবাদদাতা জানান, কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গতকাল ভোলায় জেলা আ.লীগের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল কাদের মজনু মোল্লার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জেলা আ.লীগেরসহ সভাপতি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু, জেলা আ’লীগের সাবেক যুগ্ন সাধারন সম্পাদক এনামুল হক আরজু, সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউনুছ, উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক নজুরুল ইসলাম গোলদার, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, পৌর আ’লীগ সাধারন সম্পাদক শাহ আলী নেওয়াজ পলাশ, জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক আতিকুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাইহান আহমেদ প্রমুখ।
এসময় বক্তরা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে চায়।
আজ সারা বাংলাদেশে বিএনপি জামাতের অযুক্তিক দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি ও তত্ত্বাবধ সরকারের দাবিতে যে আনন্দোলন করছেন তারই ধারাবাহিকতায় আ’লীগ কেন্দ্র ঘোষিত অনুযায়ী জনগনের জান মাল রক্ষার্থে মাঠে কাজ করছেন আ’লীগের নেতা কর্মীরা।বক্তরা আরো বলেন বিএনপি সন্ত্রাস- নৈরাজ্য করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
তাদের অপচেষ্টা রুখে দিতে রাজপথে শান্তি সমাবেশে আ’লীগের সহযোগী সকল সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত আছেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আ’লীগের সহ সভাপতি আশ্রাফ হোসেন হোসেন লাভু,ভোলা পৌর সভার প্যানেল মেয়র ১ সালাউদ্দিন লিংকন, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আবু ছায়েম, সাধারন সম্পাদক আকতার হোসেন, সাবেক জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক মুজাহিদুল ইসলাম তুহিন সহ জেলা, উপজেলা, পৌর, ও ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সহ সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামে জনভোগান্তি সৃষ্টি করে আ.লীগের শান্তি সমাবেশ করেছে। দেশব্যাপী বিএনপি-জামাত জোটের নৈরাজ্য, আগুন সন্ত্রাস ও নাশকতার অভিযোগে কুড়িগ্রামে ‘শান্তি সমাবেশ’ করে আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো।
শনিবার দুপুরে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সড়কের ওপর সমাবেশ করায় শহরের শাপলা চত্বরের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ।
এর আগে সংগঠনের নেতা কর্মীরা শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশে মিলিত হন। কুড়িগ্রাম-চিলমারী ও কুড়িগ্রাম-ভূরুঙ্গামারীগামী সড়কের কেন্দ্রস্থল শহরের শাপলা চত্বরে আওয়ামী লীগের এ ‘শান্তি সমাবেশ’ হওয়ায় সমাবেশকালীন সময়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে জনভোগান্তির সৃষ্টি হয়। শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ জাফর আলী, সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জুসহ দলীয় নেতা কর্মীরা। বক্তারা আন্দোলনের নামে বিএনপি জামাত জোটের আগুন সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য প্রতিহত করতে দলীয় নেতা কর্মীদের সতর্ক থাকার আহবান জানান।
গাইবান্ধা ঃ স্টাফ রিপোর্টার জানান, দেশব্যাপী বিএনপি জামায়াত-শিবিরের বোমাবাজী সন্ত্রাস নাশকতা নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে গতকাল শনিবার গাইবান্ধা জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে স্থানীয় পৌরপার্ক শহীদ মিনার চত্বরে এক শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক।
আওয়ামীলীগ নেতা সাইফুল আলম সাকা ও তানজিমুল ইসলাম জামিলের সঞ্চালনায় শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক মন্ডল, রেজাউল করিম রেজা, মৃদুল মোস্তাফিজ ঝন্টু, আমিনুর জামান রিংকু, ওমর ফারুক রুবেল, কামাল হোসেন, মানিক ঘোষ, অ্যাড. মহিবুল হক মোহন, অ্যাড. সমীরণ কুমার সরকার, অ্যাড. আহসানুল করিম লাছু, মোজাম্মেল হক ঝিলাম, সরদার মো. শাহীদ হাসান লোটন, শাহ আহসান হাবিব রাজিব, লুদমিলা পারভীন, মাহমুদা বেগম পারুল, দীপক কুমার পাল, সুধাংশু কুমার রায়, শহিদুল ইসলাম স্বপন, আব্দুর রাজ্জাক ভুট্টু, অ্যাড. আব্দুল্যাহ কনক, আব্দুল লতিফ, মো. আসিফ সরকার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। দেশে বিশৃংখলা সৃষ্টির লক্ষ্যে তারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচ্ছে। তারা বিদেশীদের উপর ভর করে অগণতান্ত্রিকভাবে দেশের সরকার পরিবর্তনের পায়তারা করছে। কিন্তু এদেশের জনগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামীলীগকে পুনরায় ক্ষমতায় বসাবে এবং কোন ষড়যন্ত্রে কাজ হবে না।
সমাবেশ শেষে একটি বিএনপির ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।