নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : শিরোপা জিততে যেমন দরকার ছিল ঠিক সেভাবেই শুরু করেছে দক্ষিণাঞ্চল। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দল উত্তরাঞ্চলকে তারা প্রথম দিনেই গুটিয়ে দিয়েছে ১৮৭ রানে। রেকর্ড গড়ে এই কাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন অভিজ্ঞ স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক। পরে ব্যাটসম্যানরাও তাদের দায়ীত্ব পাল করেছেন ১ উইকেটে ১১৫ রান তুলে।
বিসিএলের পঞ্চম রাউন্ডের প্রথম ইনিংসে মধ্যাঞ্চলের ৬ উইকেট নিয়েছিলেন রাজ্জাক। এর মাধ্যমে স্পর্শ করেন বাংলাদেশের হয়ে প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশিবার ৫ বা তার চেয়ে বেশি উইকেট নেয়া এনামুল হক জুনিয়নের রেকর্ড। কাল শেষ রাউন্ডের ম্যাচে খুলনায় শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে উত্তরের ৫ উইকেট নিয়ে রেকর্ডটা নিজের করে নিলেন রাজ্জাক। এ নিয়ে ৩৩ বার এমন কির্তী দেখালের বাঁ-হাতি অভিজ্ঞ স্পিনার। চলতি মৌসুমেই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে ৫০০ উইকেটের মাইলফক স্পর্শ করা রাজ্জাকের মোট সংগ্রহ ১১৮ ম্যাচে ৫৩২ উইকেট। এবারের বিসিএলে ৬ ম্যাচে এখন পর্যন্ত ৩৭ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিও তিনি। টুর্নামেন্টে ২৫ উইকেটও নেই আর কারো।
রাজ্জাকের প্রধান অস্ত্র ‘আর্ম বল’ এদিন বেশ ভুগিয়েছে ব্যাটসম্যানদের। প্রতিপক্ষকে বিভ্রান্ত করেছেন ফ্লইট আর গতি বৈচিত্র দিয়েও। ১৯তম ওভারে বোলিংয়ে এসেই নেন মেডেন উইকেট। পরের ওভারে নেন আরো একটি। এভাবে টানা বোলিংয়ে ৫৩ রানের খরচায় তুলে নেন ৫ উইকেট। দুটি উইকেট নেন সাকলাইন সজিব। একটি করে উইকেট নিয়ে দিনের প্রথম ভাগটা শুরু করেছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা ও কামরুল হাসান রাব্বি।
জহুরুল ইসলামের দলে ফিফটি ইনিংস মাত্র দুটি। দুজন হলেন, ওয়ান ডাউনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত ও আটে নামা সোহরাওয়ার্দি শুভ। শেষ উইকেটে শুভ-শফিউলের ৪২ রানের জুটি মাথাব্যাথার কারণ হয় দক্ষিণের। শফিউলকে ফিরিয়ে এই জুটিও ভাঙেন রাজ্জাক। চা বিরতির আগেই ১৮৭ রানে শেষ বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ইনিংস।
এরপর দিক্ষণের ব্যাটসম্যানদেরও ভালো কিছু করতে হতো। দলীয় ২১ রানে সৌম্য সরকারের বিদায়ে শুরুটা নড়বড়ে হলেও আরেক ওপেনার এনামুল হক এবং ইমরুল কায়েসের অপরাজিত ফিফটিতে সেটাই করে নুরুল হাসানের দল। দুজনই মোকাবেলা করেছেন ৭৯টি করে বল। তা থেকে ৫২ রানে অপরাজিত এনামুলের, ইমরুল অপরাজিত আছেন ৫১ রানে। ৯ উইকেট হাতে নিয়ে এখনো তারা ৭৯ রানে পিছিয়ে।
দক্ষিণাঞ্চলের চেয়ে ১৩ পয়েন্টে এগিয়ে উত্তরাঞ্চল। চ্যাম্পিয়ন হতে বোনাসসহ জিততে হবে দক্ষিণকে। মাশরাফিকে পেয়ে উজ্জিবিত দলটি সেই পথেই এগুচ্ছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণাঞ্চল-উত্তরাঞ্চল, খুলনা
উত্তরাঞ্চল ১ম ইনিংস : ৫৮.৩ ওভারে ১৮৭ (মিজানুর ২২, জুনায়েদ ৭, শান্ত ৫০, ফরহাদ ১২, জহুরুল ১, ধীমান ১, আরিফুল ৬, শুভ ৫৯*, রেজা ৭, তাইজুল ০, শফিউল ১৪; মাশরাফি ১/৪৯, রাব্বি ১/৪৩, সাকলাইন ২/২০, সৌম্য ০/২, রাজ্জাক ৫/৫৩, নাহিদুল ০/১৯)।
দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস : ২৯ ওভারে ১১৫/১ (এনামুল ৫২*, সৌম্য ১২, ইমরুল ৫১*; শফিউল ১/২৮, আরিফুল ০/১৬, রেজা ০/১৭, তাইজুল ০/৪৩, শুভ ০/৯, ফরহাদ ০/২)। *প্রথম দিন শেষে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।