Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিরোপার সুবাস উত্তরাঞ্চলে

মিঠুন পারলেও পারেননি তুষার

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

তৃতীয় দিনে এসে ভোজভাজির মত পাল্টে গেল ম্যাচ দুটির চিত্র। আগের দিন ড্রয়ের আভাস দেয়া রাজশাহীর ম্যাচটি ইনিংস ব্যবধানে জিতে নিয়েছে উত্তরাঞ্চল। যে জয় তাদের নিয়ে গেছে শিরোপার কাছাকাছি। আর জয়-পরাজয়ের আভাস দেয়া মিরপুরের ম্যাচটি এগুচ্ছে ড্রয়ের দিকে।
ম্যাচের ফল যাই হোক, এবারের বিসিএলে সবচেয়ে দৃষ্টি কেড়েছে তুষার ইমরানের ব্যাট। প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে টানা চার ইনিংসে সেঞ্চুরি করার সুযোগ হাতছাড়া করেন প্রথম ইনিংসে ১৪ রানে আউট হয়ে। তার দল দক্ষিণাঞ্চলও প্রথম ইনিংসে ১৯১ রানে গুটিয়ে পড়ে পরাজয়ের শঙ্কায়। এমন সময় আবারো জ্বলে উঠে তুষারের ব্যাট। কিন্তু না, এবারো পারলেন না তিন অঙ্কে পৌঁছাতে। গত দুই বছরে সেঞ্চুরিকে অভ্যাস বানিয়ে ফেলা তুষার এবার আউট হয়েছেন ৮৮ রানে।
তুষার না পারলেও সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন মোহাম্মাদ মিথুন। মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে ১১১ রানে পিছিয়ে থেকে পরাজয়ের শঙ্কায় পেয়ে বসা দলকে দুজনে টেনে তোলেন ১৯৩ রানের জুটি গড়ে। ওয়ানডে ভঙ্গিমায় ব্যাট করেন মিথুন। প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে ১২তম শতক তুলে নিয়ে আউট হন ১১৮ রান করে। তার ১২১ বলের ইনিংসে ছিল ১৬টি চার ও ১টি ছক্কার মার। দুজনের পর অধিনায়ক নুরুল হাসানও বিদায় নেন দ্রæতই। তবে জিয়াউর রহমান ও মোসাদ্দেক হোসেনের অবিচ্ছিন্ন ৩৮ রানের জুটিতে ৬ উইকেটে ৩৪৮ রান নিয়ে দিন শেষ করে দক্ষিণ। প্রথম ইনিংসে ৩০২ রান করে মধ্যাঞ্চল। যোগ-বিয়োগের হিসাবে ২৩৭ রানে এগিয়ে দক্ষিণ, হাতে ৪ উইকেট। ভিজে আউটফিল্ডের কারণে মিরপুরে তাদের ম্যাচটি শুরু হয় বেলা ১২টায়।
রাজশাহীতে ছিল ইয়াসিন-শরিফুল ঝড়। যে ঝড়ের কবলে পড়ে এক দিনে ২০ উইকেট হারিয়ে ইনিংস ও ২৮ রানের ব্যবধানে ম্যাচ হেরেছে পূর্বাঞ্চল। এই জয়ে উত্তরাঞ্চলের পয়েন্ট দাঁড়ালো ৫৮। দুইয়ে থাকা পূর্বাঞ্চলের সংগ্রহ ৪০ পয়েন্ট। তাদের চেয়ে ২ পয়েন্ট পিছিয়ে তিনে দক্ষিণাঞ্চল। চলতি ম্যাচের পয়েন্ট যোগ হলে দুইয়ে উঠে যাবে দক্ষিণ।
১১০ রান ও হাতে পুরো ১০ উইকেট নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে পূর্বাঞ্চল। তাসামুল হক ৪৯ ও লিটন দাশ ৫২ রানে ব্যাট করছিলেন। তাসামুলকে (৫৬) ফিরিয়ে ১২২ রানের জুটি বিচ্ছিন্ন করেন শফিউল ইসলাম। লিটন (৬৯) আউট হওয়ার সময়ও পূর্বঅঞ্চলের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ১৫৪। সেখান থেকে ২১৭ রানে অল আউট মুমিনুল হকের দল। চারটি করে উইকেট নেন দুই পেসার ইয়াসিন আরাফাত ও শরিফুল ইসলাম।
১৯৮ রানে পিছিয়ে থাকায় ফলো অনে পড়ে আবারো ব্যাটিং শুরু করে পূর্বাঞ্চল। এবার আরাফাত-শরিফুলের সঙ্গে উইকেট নেয়ার প্রতিযোগিতায় যোগ দেন শফিউল ইসলামও। একদিকে তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং, অন্যদিকে পূর্বাঞ্চলের দায়ীত্বহীন ব্যাটিং। দুইয়ের যোগফলে ১৭০ রানে শেষ পূর্বাঞ্চলের দ্বিতীয় ইনিংস।
পরাজয়ের ব্যবধানটা আরো বড় হতে পারত নয়ে নেমে সোহাগ গাজী ঝড়ো ফিফটি না করলে। ব্যাটে এসেই উল্টো পূর্বের বোলারদের উপর চড়াও হন সোহাগ। ৩৭ বলে তুলে নেন ফিফটি। পরের বলেই তাইজুলকে হাঁকাতে গিয়ে স্টাম্পিং হয়ে ফেরেন এই লেগ স্পিনার। বিচ্ছিন্ন হয় অষ্টম উইকেটে ৬৯ রানের জুটি। এরপর মাত্র ১০ রান যোগ করতে পারে তারা। সমান ৩টি করে উইকেট ভাগ করে নেন শরিফুল, শফিউল ও ইয়সিন। ম্যাচে ৫৫ রানে ৭ উইকেট নিয়ে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন ইয়াসিন।

সং ক্ষি প্ত স্কো র
উত্তরাঞ্চল-পূর্বাঞ্চল, মিরপুর
উত্তরাঞ্চল ১ম ইনিংস : ৪১৫
পূর্বাঞ্চল : (দ্বিতীয় দিন শেষে ১১০/০) ৬৩.২ ওভারে ২১৭ (তাসামুল ৫৬, লিটন ৬৯, মুমিনুল ২১, আফিফ ৬, আশরাফুল ১১, কাপালী ২, জাকের ৫, সাইফ ২০, সোহাগ ১৩, আবু জায়েদ ০, খালেদ ০*; শফিউল ১/৫০, ইয়াসিন ৪/৩৯, তাইজুল ১/৬৪, শরিফুল ৪/৩৩, আরিফুল ০/২০) ও ৩৮.১ ওভারে ১৭০ (তাসামুল ১৫, লিটন ৯, মুমিনুল ০, আফিফ ১৬, আশরাফুল ৮, সাইফ ৩২, কাপালী ০, জাকের ১৬, সোহাগ ৫০, আবু জায়েদ ৫, খালেদ ০*; শফিউল ৩/২৮, তাইজুল ১/৬৫, আরিফুল ০/১৬, শরিফুল ৩/২১, ইয়াসিন ৩/১৬, শান্ত ০/১০)।
ফল : উত্তরাঞ্চল ইনিংস ও ২৮ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : ইয়াসিন আরাফাত (উত্তরাঞ্চল)।
দক্ষিণাঞ্চল-মধ্যাঞ্চল, রাজশাহী
দক্ষিণাঞ্চল : ১৯১ ও ৮৩ ওভারে ৩৪৮/৬ (আগের দিন ৫০/১) (এনামুল ৪৫, ইমরুল ৩০, তুষার ৮৮, মিঠুন ১১৮, নুরুল ১৪, জিয়াউর ১৭*, মোসাদ্দেক ২২*; আবু হায়দার ০/৩৯, শাকিল ০/৫৭, এবাদত ১/৮৫, মোশাররফ ৩/৮০, তানবীর ২/৬১, মাহমুদউল্লাহ ০/২৩)।
মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস : ৩০২



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিরোপা

১৬ অক্টোবর, ২০২২
১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ