নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
একটা সময় ছিল, অ্যাশেজ শুরুর আগে থেকেই মাঠের বাইরের লড়াইটা হতো আরো উপভোগ্য। ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার সেই মর্যাদার ছাই-ভষ্মে দু’দলের ক্রিকেটারদের অঙ্গার হওয়ার সাক্ষী ইতিহাস। কালের বিবর্তনে আজ সেটি পরিলক্ষিত অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ টেস্টেও। মিরপুর টেস্ট শুরুর আগে থেকেই বাতাসে যে উত্তেজনার রেনু ভেসে বেড়াচ্ছিল তা আরেকটু বাড়িয়ে দিয়েছিল বেশ আগেই অস্ট্রেলিয়া দল ঢাকায় পা রাখার কল্যাণে। প্রায় প্রতিদিনই অনুশীলন আর সংবাদ সম্মেলনে একজন করে প্রতিনিধির কথা বলার নিয়মে সুযোগ এসেছিল সাকিব আল হাসান এবং নাথান লায়নেরও।
দু’জনইে স্পিন অলরাউন্ডার। মিরপুরের কন্ডিশন আর উইকেট দুই-ই স্পিনারদের অনুকুলে। জানেন তারাও। প্রশ্নে প্রশ্নে তাদের মাঝে সেই উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে উঠিয়ে দিয়েছিলেন সাংবাদিকরাই। প্রশ্নটা ছিল- ‘স্পিনে কারা এগিয়ে?’ অস্ট্রেলিয়ার স্পিন আক্রমণে নাথান লায়নের সঙ্গী অ্যাশটন অ্যাগার ও মিচেল সোয়েপসন। তবে দেশের মাটিতে তাদের চেয়ে বেশি কার্যকর হিসেবে নিজের সঙ্গে মিরাজ, তাইজুলকে এগিয়ে রেখেছিলেন সাকিব। এর সদুত্তর হয়তো মিলবে ঢাকা টেস্ট শেষে। তার আগে গতকাল মিরপুরে এক ঝলক দেখিয়ে দিলেন দু’জনে। সাকিবের উইকেট নিলেন রায়ন, জবাবে লায়নকেও ফিরিয়েছেন সাকিব! কাকতাল না চ্যালেঞ্জ জয়! ম্যাচ শেষ সংবাদ সম্মেলনে এসে সে কথাই শোনালেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
ব্যাটিং পজিশন পাঁচ। দলের ইনিংস শুরুর ১৫ মিনিটের মধ্যে তাই নিশ্চয়ই ব্যাটিংয়ে নামার আশা করেননি সাকিব। করতে হলো তাকে সেটিই। ১০ রানেই যে দল হারিয়ে ফেলল ৩ উইকেট! সাকিব উইকেটে গিয়ে পেলেন তামিম ইকবালকে। ৫০ টেস্টে দুজন জুটি বাঁধলেন মাত্র পঞ্চমবার। সেই নড়বড়ে অবস্থা থেকে দলকে টানলেন। কঠিন উইকেটে গড়লেন ১৫৫ রানের অসাধারণ জুটি।
দলের প্রায় ৬০ শতাংশ রান এসেছে এই জুটি থেকেই। সাকিবের মতে, এই জুটি ছিল দারুণ গুরুত্বপূর্ণ, ‘অনেকটা চ্যালেঞ্জিং ছিলো। আমার কাছে মনে হয়, আমরা দুজন খুব ভালো অ্যাপ্লাই করতে পেরেছি নিজেদের। আমাদের জুটিটা ম্যাচের জন্য জরুরি ছিল।’
আগে জুটি খুব বেশি না হলেও সমস্যা খুব একটা হয়নি দুজনের। সাকিব জানালেন, উইকেটে খুব বেশি কথাও হয়নি। ¯্রফে নিজেদের কাজ করে গেছেন দুজন, ওভাবে কথা হয় না তো, ¯্রফে ব্যাটিং করতে থাকা যতক্ষণ সম্ভব। প্রথম সেশন যাওয়ার পর আমরা আরও ভালো ব্যাটিং করছিলাম। কিন্তু দুঃখজনকভাবে দুটো বল লাফিয়ে উঠেছিল। ওই জন্যই আমাদের উইকেটটা হারাই। আমার কাছে মনে হয়, আমাদের জন্য কাজটা সহজ ছিল। কারণ অনেক দিন একসঙ্গে খেলেছি। আমাদের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব আছে, এমনও নয় ব্যাপারটা। দুজনেরই ৫০ টেস্ট হচ্ছে। বোঝাপড়া নিয়ে শঙ্কা থাকার কথা নয়।’
নিজেদেও বোঝাপড়ায় খুশি, আর দলের? এমন প্রশ্নে এখনও উত্তর খুঁজছেন সাকিবও। বাংলাদেশকে ২৬০ রানে গুটিয়ে দিয়েও দিনটা স্বস্তিতে শেষ করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ৯ ওভার ব্যাট করেই হারিয়েছে তারা ৩ উইকেট। প্রথম দিনই স্পিনের সামনে অস্ট্রেলিয়ানদের মনে হয়েছে অসহায়। তবে শেষ বেলায় ছোট্ট উপস্থিতিতেই স্মিথ বুঝিয়ে দিয়েছেন, স্পিনে কেন তিনি দলের সেরা। যে ৭ বল খেলেছেন, খুব একটা অস্বস্তিতে পড়তে হয়নি। দিন শেষে সাকিব বললেন, দ্বিতীয় দিনে স্মিথকে আউট করাই তার নিজের ও দলের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, অবশ্যই ওই (স্মিথ) সবচেয়ে বড় হুমকি। বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটসম্যান। ওর রেকর্ডই ওর হয়ে কথা বলে। সর্বশেষ ও যখন ভারতে খেলেছে, কয়েকটা সেঞ্চুরি করেছে। ওর মতো বিশ্বমানের মতো ব্যাটসম্যানকে বোলিং করা বিরাট চ্যালেঞ্জ। ওই এখন পর্যন্ত আমাদের বড় হুমকি।’
সবশেষ ভারত সফরে দল সিরিজ হারলেও তিনটি সেঞ্চুরি করেছিলেন স্মিথ। গত বছর শ্রীলঙ্কায় অস্ট্রেলিয়া হোয়াইটওয়াশ হলেও স্মিথ ঠিকই করেছিলন সেঞ্চুরি, পেয়েছিলেন রান। বলার অপেক্ষা রাখে না, বাংলাদেশ আর লিডের মাঝে মূল বাধা ৯৪১ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বের শীর্ষ টেস্ট ব্যাটসম্যান স্মিথ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।