নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সেই ১৯৯৮ সালে শেষবার পাকিস্তান সফরে গিয়েছিল তারা। এবার সফরে যেতে রাজি হলেও নিরাপত্তা নিয়ে কিছুটা শঙ্কা ছিল মনে। তবে পাকিস্তানে পৌঁছে সব দুর্ভাবনা দূর হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া দলের। অজি অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান স্টিভেন স্মিথ টুইট করে তাদের ইসলামাবাদে পৌঁছার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পরে টেস্ট অধিনায়ক প্যাট কামিন্স বললেন, দেশটিতে পা রেখে খুব নিরাপদ অনুভব করছেন তিনি।
পাকিস্তানে নিরাপত্তা নিয়ে বিদেশি দলগুলোর শঙ্কা বেশ পুরনো। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর দেশটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। অনেক বাধা পেরিয়ে গত কয়েক বছরে সেখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরাতে সক্ষম হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। সিরিজ খেলেছে শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশ।
গত বছর নিউজিল্যান্ডও গিয়েছিল পাকিস্তান সফরে। কিন্তু নিরাপত্তা শঙ্কার কারণ দেখিয়ে সিরিজ শুরুর দিন তারা বাতিল করে দেয় সফর। এরপর ইংল্যান্ডও তাদের পুরুষ ও নারী দুই দলকে পাঠায়নি পাকিস্তানে। তাই নতুন আশঙ্কা ভর করে। দেশটিতে অস্ট্রেলিয়ার সফরও একটা সময় পর্যন্ত ঝুলছিল অনিশ্চয়তার সুতোয়। তবে কিছুদিন আগেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে নিশ্চিত করে বলা হয়, তারা যাচ্ছে পাকিস্তানে। অবশেষে দীর্ঘ ২৪ বছর পর প্রথম কোনো সফরে গতকাল সেখানে পৌঁছেছে অস্ট্রেলিয়া দল। পাকিস্তানে পা রাখার পর এবং সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখে বেশ সন্তুষ্ট কামিন্স, ‘আমি অবিশ্বাস্য রকমের নিরাপদ অনুভব করছি এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড আমাদের সত্যিই ভালো খেয়াল রাখছে। আমাদের আসাকে কেন্দ্র করে অনেক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা বিমান থেকে নেমে সোজা হোটেলে চলে এসেছি। (হোটেলে) ভালো ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, আমরা ম্যাচ ও অনুশীলন ছাড়া হোটেলেই থাকব। আমরা ভারতের মতো জায়গায় সফরের সময় খুব বেশি হোটেল থেকে বের হইনি। তাই এভাবে আমরা অভ্যস্ত। সবকিছু বেশ ভালো এবং চারপাশে অনেক পেশাদারদের পেয়ে আমরা সত্যিই ভাগ্যবান।’
অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে এটা কামিন্সের প্রথম বিদেশ সফর। চাওয়া অনুযায়ী সব কিছু থাকায় এখন কেবল মাঠের খেলায় মনোযোগ দিয়ে চান এই পেসার, ‘এখানে আসার আগে যে বিষয়গুলো আমরা নিখুঁতভাবে চেয়েছি তার মধ্যে শুধু নিরাপত্তাই নয়, জৈব-সুরক্ষা বলয়ও ছিল। প্রত্যেকেই দুর্দান্ত কাজ করেছে, তাই এখন কেবল আমরা ক্রিকেটে মনোনিবেশ করতে এবং ২৪ বছরে (এখানে) আমাদের প্রথম সফর উপভোগ করতে পারি।’
১৯৯৮ সালে সবশেষ পাকিস্তান সফর করেছিল অস্ট্রেলিয়া। স্বাগতিকদের তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ তে হারানোর পর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে করেছিল হোয়াইটওয়াশ। দুই যুগ পর হতে যাওয়া ঐতিহাসিক এই লড়াইয়ের অংশ হতে পেরে নিজেকে কিছুটা ভাগ্যবানও মনে করছেন কামিন্স। এবার পাকিস্তানে তিনটি করে টেস্ট ও ওয়ানডে খেলবে অস্ট্রেলিয়া। এরপর তারা খেলবে একটি টি-টোয়েন্টি। আগামী শুক্রবার শুরু হবে প্রথম টেস্ট। পরের দুটি শুরু ১২ ও ২১ মার্চ। ওয়ানডে তিনটি হবে ২৯ ও ৩১ মার্চ ও ২ এপ্রিল। একমাত্র টি-টোয়েন্টি ৫ এপ্রিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।