Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে মুখিয়ে আছে টাইগাররা

| প্রকাশের সময় : ৬ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রুমু, চট্টগ্রাম ব্যুরো : ১১ বছর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে স্বাগতিক বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে টেস্ট খেলে গেছে টিম অস্ট্রেলিয়া। দীর্ঘ বিরতির পর আবার চট্টগ্রামের এই ভেন্যুতে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর হোম সিরিজের শেষ টেস্ট খেলবে তারা। আসন্ন সিরিজকে সামনে রেখে স্বাগতিক বাংলাদেশ দল এখন তাই চট্টগ্রামের এই ভেন্যুটিতে কন্ডিশনিং ক্যাম্প শুরু করেছে।
গতকাল থেকে শুরু হয়েছে তাদের এই কন্ডিশনিং ক্যাম্প। সকাল সাড়ে নয়টা থেকে টানা বেলা ১২টা পর্যন্ত নেট প্র্যাকটিসে ঘাম ঝরিয়েছে টাইগাররা। এক ঘন্টার বিরতি শেষে পুনরায় প্র্যাকটিস করে তারা বেলা তিনটা পর্যন্ত। এরপর তারা ড্রেসিং রুমে ক্লোজড ডোর মিটিং করেছে। ওই মিটিংয়ে খেলোয়াড়দের ব্রিফ করেন দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। এর আগে প্র্যাকটিসের এক ফাঁকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশ দলের পেসার তাসকিন আহমেদ বলেন, ‘ওয়ালস একজন লিজেন্ড। তার কাছ থেকে অনেক কিছুই শেখার আছে। তার কাছ থেকে যদি আমরা কিছু শিখতে না পারি, তাহলে সেটি আমাদেরই ব্যর্থতা। কারণ, টেস্ট ক্রিকেটে ওয়ালসের ৫১৯ টি উইকেট রয়েছে। এমন লিজেন্ডের কাছ থেকে আমি বল হাতে টেস্টে সাফল্য পাওয়ার কৌশলগুলো রপ্ত করার চেষ্টা করছি। এই হোম সিরিজে তা কাজে লাগাতে চাই।’
টিম অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্টে মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে থাকার কথা উল্লেখ করে পেসার তাসকিন আহমেদ বলেন, ‘অবশেষে টিম অস্ট্রেলিয়া আসছে, এটা খুবই আনন্দের ব্যাপার। আমরা তাদের সঙ্গে টেস্ট খেলার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। ভালো ক্রিকেট খেলার জন্যও মরিয়া আমরা। ভালো ক্রিকেট খেলার সামর্থও রয়েছে আমাদের। এই হোম সিরিজটিতে যদি ভালো কিছু করতে পারি, তাহলে সেটি ক্রিকেটে আমাদের অবস্থান আরো সম্মানজনক হবে। কারণ অস্ট্রেলিয়া শীর্ষস্থানীয় দল। তাদের সঙ্গে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারলে সেটি পরবর্তী সিরিজেও কাজে লাগবে।’ নিজের টেস্ট অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে তাসকিন বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেট কঠিন জায়গা। ফাস্ট বোলারদের জন্য বেশ কঠিন। এরমধ্যে বর্তমান ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানদের জন্য ফ্ল্যাট উইকেট তৈরী করা হয়। যা পেস বোলিং সহায়ক নয়। এই পরিস্থিতিতে ডিফরেন্ট কিছু করতে হলে ডিফরেন্ট অনুশীলন করতে হবে। লাইন লেন্থ অনুযায়ী বল করতে হবে। পাশাপাশি গতির সঙ্গে বল সুইংও করাতে হবে। সেইসঙ্গে থাকতে হবে অ্যাকোরেসিও। রিভার্স সুইং একটা বড় অস্ত্র পেস বোলারদের। আমি চেষ্টা করছি রিভার্স সুইংটা ভালোভাবে রপ্ত করতে। যেহেতু আমি পেস বোলার তাই গতির সঙ্গে কোনো কমপ্রোমাইজ নয়। বরং গতির সঙ্গে বল সুইংও করাতে চাই। অ্যাকোরেসির পাশাপাশি বল মুভমেন্ট করাতে পারলে সাফল্য মিলবেই। আমার বিশ্বাস, আমি নিজেকে সেভাবেই তৈরী করতে পারবো। প্র্যাকটিস সেশনে বল বাই বল উন্নতি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। টেস্ট ক্রিকেটে অভিজ্ঞতা আমার কম। মাত্র চারটি টেস্ট খেলেছি এ পর্যন্ত। তারপরও টেস্টে ভালো করার ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী। টেস্টে কিভাবে ভালো করতে হয় তা জানি। তাই সুযোগ পেলে তা কাজে লাগাতে প্রস্তুত আছি।’
দেশের বাইরে চার টেস্টে বল হাতে সাতটি উইকেট পেয়েছেন তাসকিন। কিন্তু দেশের মাটিতে এখনও টেস্ট খেলার সুযোগ হয়নি তার। তারপরও দেশের বাইরের চেয়ে দেশের মাটিতে পেস সহায়তা কম পাওয়া যাবে উল্লেখ করে তাসকিন বলেন, ‘ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড পেস বোলারদের জন্য আদর্শ জায়গা। অবশ্য এখন ওই দেশগুলোতেও আগের মতো পেস সহায়ক উইকেট তৈরী করা হয় না। তবে আমি দেশের বাইরে যেখানে বোলিং করে বেশ স্বাচ্ছন্দ পেয়েছি, তারমধ্যে নিউজিল্যান্ডের চেয়ে শ্রীলঙ্কার কন্ডিশনকেই এগিয়ে রাখতে চাই। যদিও শ্রীলংকায় একটু গরম বেশি, তারপরও সেখানে বোলিং করে মজা পেয়েছি। আমাদের দেশে পেস বোলিং সহায়ক উইকেট কম হয়। তারপরও অ্যাকোরেসি ও বল মুভমেন্টের মাধ্যমে এখানে ভালো করা সম্ভব।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অস্ট্রেলিয়া


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ