Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

অস্ট্রেলিয়াকে হোয়াইটওয়াশের স্বপ্ন হাথুরুসিংহের

কোচের দৃষ্টি ২০১৯ বিশ্বকাপে

| প্রকাশের সময় : ৩ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : বোর্ড-ক্রিকেটারের দাবি-দাওয়া নিয়ে এখনও টালমাটাল অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট। আজ এই সমস্যার মেটে তো কাল শুরু হয় নতুন জটিলতা। অস্ট্রেলিয়া আসবে কিনা, চূড়ান্ত নয় এখনও। তবে বাংলাদেশের লক্ষ্য চূড়ান্ত হয়ে গেছে। নেওয়া হচ্ছে প্রস্তুতি, করা হচ্ছে পরিকল্পনা। অস্ট্রেলিয়া আসবে ধরে নিয়েই এগোচ্ছে সব।
বৃষ্টি মাথায় করে মিরপুরে প্রতিদিনই বসছে ক্রিকেটারের মেলা। ফিটনেস ট্রেনিংয়ে জিমভর্তি ক্রিকেটার। নেটেও গাদা গাদি। সূচি করা হয়েছে নিবিড় অনুশীলনকে মাথায় রেখেই। এত ক্রিকেটারের ভিড়ে নিবিড় অনুশীলনের সুযোগ কোথায়? তবে এতসব ক্রিকেটারকে একসঙ্গে ক্যাম্পে রাখা হচ্ছে একটি বিশেষ কারণে। ২০১৯ বিশ্বকাপ! প্রাথমিক দলে প্রাথমিকভাবে ছিলেন ২৯ জন। তাদের মধ্যে কয়েকজন হাইপারফরম্যান্স দলের হয়ে অস্ট্রেলিয়া সফর করে ফিরে আবার যোগ দিয়েছেন। স্কিল ট্রেনিংয়ের জন্য ফরমায়েশ দিয়ে আনা হচ্ছে আরও দু-একজন।
প্রাথমিক দলটি আসছে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের জন্য। তবে চন্দিকা হাথুরুসিংহে দেখছেন আরও বড় ছবি। গতকাল মিরপুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানালেন, বিশ্বকাপের দিকে তাকিয়েই খুঁজছেন ভবিষ্যতের সেনানী, ‘আমরা বৃহত্তর ছবিটার দিকে তাকিয়ে আছি বলেই ২০ জনের বেশি ক্রিকেটারকে রেখেছি। আমাদের মূল লক্ষ্য ২০১৯ বিশ্বকাপ, অন্তত আমার কাছে। এই ক্রিকেটারদের সবাইকেই প্রচÐ চাপ ও তীব্রতায় ট্রেনিংয়ে অভ্যস্ত হতে হবে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ওরা যখন ট্রেনিং করে, তীব্রতা অতটা থকে না। ট্রেনিংয়ের মানও তেমন নয়। জাতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে ট্রেনিং করলে ওরা বুঝতে পারবে এই পর্যায়ে আসতে সামনে কতটা চ্যালেঞ্জ অপেক্ষায়।’
কোচের চাওয়া, জাতীয় দলের আশেপাশে থাকা ক্রিকেটারের সংখ্যা যতটা সম্ভব বাড়ানো। যেন প্রয়োজনে কারও বিকল্প খুঁজতে গেলে হাপিত্যেশ করতে না হয়, ‘ব্যাপারটি হলো, আমাদের ক্রিকেটার পুল বাড়ানো, যদি প্রয়োজন হয়। এমনও হতে পারে, কেউ একজন নিজেকে প্রমাণ করল যে, ‘আমাকে নাও, আমি যথেষ্ট ভালো।’ আমরা চাই না দলে কেউই নিজের জায়গা নিয়ে আত্মতুষ্টিতে থাকুক।’
ফিটনেস ট্রেনিং শেষে ঢাকায় স্কিল ট্রেনিংয়ের পর্ব আপাতত শেষ। আজ ছুটি, আগামীকাল দল যাবে চট্টগ্রামে। সেখানে সপ্তাহখানেকের ট্রেনিংয়ে থাকবে প্রস্তুতি ম্যাচও। ঢাকায় ফিরে শুরু হবে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের সরাসরি প্রস্তুতি। তবে এখন থেকেই ওই সময়ের লক্ষ্যও স্থির করে রেখেছেন কোচ। হাথুরুসিংহের চাওয়া দুটি টেস্টেই অস্ট্রেলিয়াকে হারানো। তবে তার জন্য পেরুতে হবে কঠিন পথ সেটিও জানা আছে এই লঙ্কানের। ওয়ানডের মতো টেস্টে র‌্যাঙ্কিংয়ের সিঁড়ি বেয়ে এখনও ততটা ওপরে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। পড়ে আছে সেই ৯ নম্বরেই। তবে ক্রিকেটের সবচেয়ে অভিজাত সংস্করণেও উন্নতিটা দৃশ্যমান।
দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। পরে নিউজিল্যান্ড ও ভারত সফর খুব ভালো না গেলেও টেস্ট জিতেছে শ্রীলঙ্কায়। র‌্যাঙ্কিংয়ের আটে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে রেটিং পয়েন্টের ব্যবধান এখন ৬। গত মৌসুমের সেই উন্নতির পথ ধরেই নতুন মৌসুমে ছুটতে চান হাথুরুসিংহে। জিততে চান অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুটি টেস্টই, ‘আমার মনে হয়, টেস্টে আমরা কিছুটা এগিয়েছি। আমরা এখন জানি যে, অন্তত উপমহাদেশে জেতার মত ম্যাচ পরিকল্পনা আমাদের আছে। আমরা সেটা করে দেখিয়েছি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুটি টেস্টে তাই অবশ্যই আমরা জিততে চাই। আমরা মনে করি, নিজেদের কন্ডিশনে আমরা যথেষ্ট লড়িয়ে দল।’
অস্ট্রেলিয়া সিরিজের মাসখানেক পর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাবে বাংলাদেশ। ওখানকার উইকেট-কন্ডিশনে মানিয়ে নিতে হিমশিম খায় বিশ্বের সব দলই। বাংলাদেশের জন্য তো কাজটি আরও কঠিন। কোচের মতেও বড় চ্যালেঞ্জ হবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর, ‘আমাদের চ্যালেঞ্জটা হবে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের মাত্র অল্প কদিন পরই দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়া এবং মানিয়ে নেওয়া। দক্ষিণ আফ্রিকা আমাদের জন্য অপরিচিত। শুধু আমাদের নয়, সব দলের জন্যই ওখানে গিয়ে খেলা কঠিন। সঙ্গত কারণেই টেস্টের এক নম্বর দল ওরা। ওটা বড় চ্যালেঞ্জ হবে কন্ডিশনের সঙ্গে ম্যাচ পরিকল্পনাও কঠিন হবে। ওই সফর নিয়ে পরিকল্পনাও আছে আমাদের। ¯্রফে দ্রæত মানসিক ও শারীরিক ভাবে মানিয়ে নিতে হবে। টেস্টের আগে প্রথম দুই সপ্তাহে যে প্রস্তুতি ম্যাচ ও অন্য যে কদিন আছে, মানিয়ে নেওয়ার জন্য সেই দিনগুলি হবে গুরুত্বপূর্ণ।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অস্ট্রেলিয়া


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ