পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : মাত্র ২০০ টাকার জন্য বন্ধুকে খুন করেছে এক যুবক। গলা কেটে খুনের ৫ দিন পর একটি বাড়ির ছাদে কংক্রিটের নিচে লুকিয়ে রাখা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
খুনের অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর আদালতে খুনের দায় স্বীকার করে মোঃ ইসমাইল (২৫) নামে ওই যুবক। গতকাল (বুধবার) মহানগর হাকিম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় সে। নির্মম খুনের শিকার মোঃ লিটন (২৭) তার বন্ধু। তাদের বাসা নগরীর পতেঙ্গা থানার মাইজপাড়া এলাকায়। লিটনের বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার কালাপানি গ্রামে। ইসলামের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্বরপুরে।
পতেঙ্গার মাইজপাড়ায় পাশাপাশি বাড়িতে ভাড়া থাকতো তারা। ইসমাইলের জবানবন্দির বরাত দিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই থোয়াই মারমা বলেন, ইসমাইলের কাছ থেকে লিটন কিছুদিন আগে দুইশ টাকা ধার নেয়। পাওনা টাকা চাইলে লিটন ইসমাইলকে গালি দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে লিটনকে খুনের পরিকল্পনা করে সে। খুনের জন্য ৮০ টাকা দিয়ে একটি ছুরি কিনে আনে। এরপর নিজের বাসায় লিটনকে দাওয়াত দেয়। ২১ জুন রাতে লিটনকে নিয়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বাড়ির ছাদে উঠে ইসমাইল। একপর্যায়ে তাকে বেশি করে গাঁজা খাইয়ে দেয় সে।
এতে কিছুটা অচেতন হয়ে গেলে ইসমাইল তার গলায় ছুরি চালিয়ে দেয়। বাড়ির ছাদেই লিটনের মৃত্যু হয়। সেখানে লাশ পলিথিনের বস্তায় ঢুকিয়ে ছাদে থাকা কংক্রিটের নিচে লাশটি লুকিয়ে রাখে সে। ঘটনার পর লিটনের স্ত্রী থানায় স্বামী নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ করে মামলা করেন। লাশের দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয়রা খবর দিলে ৫ দিন পর ঈদের দিন বিকেলে পুলিশ লিটনের লাশ উদ্ধার করে। এর পরদিন পতেঙ্গার কয়লারহাট এলাকায় শ্বশুর বাড়ি থেকে আটক করা হয় ইসমাইলকে। জিজ্ঞাসাবাদে ইসমাইল লিটনকে খুনের কথা স্বীকার করে। তার দেখানো মতে, হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও লিটনের মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ। আদালতে জবানবন্দি রেকর্ড শেষে ইসমাইলকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।