পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো : আলোচিত সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার এক বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ (সোমবার)। এক বছরেও মামলার তদন্ত শেষ হয়নি। উদঘাটিত হয়নি হত্যা রহস্য। কার নির্দেশে তাকে হত্যা করা হলো তা এখনও অজানা। পুলিশ বলছে, খুনি চক্রের সদস্যদের ভাড়া করেছে কামরুল শিকদার ওরফে মুছা। তাকে পাওয়া গেলে আলোচিত এই হত্যাকাÐের নেপথ্যে কে তা জানা যাবে। তবে সে মুছাকেই এখনও খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। পুলিশ বলছে, ‘হত্যার পরিকল্পনাকারী’ কামরুল শিকদার ওরফে মুছাকে গ্রেফতার করা গেলে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা যাবে, মিলবে এসব প্রশ্নের উত্তরও। তবে মোস্টওয়ান্টেড সেই মুছা এখন কোথায় সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। তাকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। মুছাকে ধরিয়ে দিতে ৫ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। মোটা অংকের এই পুরস্কার ঘোষণার পরও মুছার সন্ধান মেলেনি। তবে মুছার স্ত্রীর দাবি, অনেক আগেই তার স্বামীকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে।
গত ৫ জুন নগরীর জিইসি মোড়ের অদূরে ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হন মিতু। খুনিরা প্রথমে গুলি করে এবং পরে কুপিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার অজ্ঞাতপরিচয় তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার প্রায় এক মাস পর পুলিশ এই হত্যা মামলায় ওয়াসিম ও আনোয়ার নামে দুই জনকে গ্রেফতার দেখায়। তারা দু’জনেই গতবছর ২৬ জুন আদালতে জবানবন্দি দেয়। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তারা স্বীকার করে মুছার নেতৃত্বে হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে। হত্যা মিশনে অংশ নেয়া আরও কয়েকজনের নামও প্রকাশ করে তারা। জবানবন্দিতে বলা হয়, হত্যাকান্ডে তারা (ওয়াসিম ও আনোয়ার) ছাড়াও মোঃ রাশেদ, নবী, মোঃ শাহজাহান, কামরুল সিকদার ওরফে মুছা ও মোঃ কালু অংশ নিয়েছেন।
তাদের মধ্যে নবী ও রাশেদ গত ৪ জুলাই রাতে রাঙ্গুনিয়ায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলে ছিলেন ওয়াসিম, মুছা ও নবী। মিতুকে ছুরিকাঘাত করেন নবী। অস্ত্র সরবরাহ করেন ভোলা। স্ত্রী খুনের পর বাবুল আক্তার দুই শিশু সানকে নিয়ে ঢাকার বনশ্রীতে শ্বশুরের বাড়িতে উঠেন। ওই বাড়ি থেকে বাবুলকে গত ২৪ জুন ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে ১৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর নানা গুঞ্জন ছড়ায়। পরে চাকরি হানা হন বাবুল আক্তার। এর মধ্যে বাবুল আক্তারের সাথে শ্বশুরের দুরত্ব বাড়ে। পরকিয়ার অভিযোগ আনেন তার শ্বশুর মোশাররফ হোসেন। বাবুল আক্তারকে সন্দেহ করা হয় মিতু হত্যার ব্যাপারে। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির এডিসি কামরুজ্জামান জানান, এ খুনের ঘটনায় এখনো বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলেনি। মামলা তদন্তে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, খুব শিগগির তদন্ত শেষ করে অভিযোগপত্র দেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।