Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পিতা ও বড় ভাইয়ের হত্যাকারীরাই মিঠুর খুনী

প্রকাশের সময় : ২৮ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:১৩ এএম, ২৮ মে, ২০১৭

ওরা যেনো আমাদের সবাইকে একসাথে গুলি করে মেরে ফেলে : মিঠুর স্ত্রী
খুলনায় অর্ধদিবস সর্বাত্মক হরতাল পালিত : বিভাগজুড়ে বিক্ষোভ


আশরাফুল ইসলাম নূর, খুলনা থেকে : খুলনার ফুলতলা উপজেলার দামোদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সরদার আবুল কাশেম (মিঠুর পিতা) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস কক্ষে চরমপন্থীদের গুলিতে নিহত হন। উপজেলা পরিষদের অদূরে দামোদর ইউপি চেয়ারম্যান সরদার আবু সাঈদ বাদল (মিঠুর বড়ভাই) কে গুলি করে হত্যা করে চরমপন্থী সন্ত্রাসীরা। এ দু’টি হত্যা মামলার বাদী ছিলেন ফুলতলা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আলাউদ্দিন মিঠু। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে বাড়ীর সামনে ব্যক্তিগত অফিসে অস্ত্রধারী দেহরক্ষীসহ ওই চরমপন্থীরাই গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিল তাকে। এই ডবল হত্যাকান্ডের ৬০ঘন্টা পর গতকাল বিকেলে নিহত মিঠুর ভাই মো: রাজ সরদার বাদী হয়ে মামলা করেন (যার নং-২৯, ২৭-০৫-১৭ইং)। মামলায় অজ্ঞাত ৭/৮জনকে আসামী করা হয়েছে। আর পিতা ও বড় ভাইয়ের হত্যাকারীরাই মিঠুর খুনী হিসেবে অভিযোগ করা হয়েছে এজাহারে। পিতা ও বড়ভাই হত্যার বিচার না পাওয়ার হতাশা থেকে মিঠু ও তার দেহরক্ষী হত্যা মামলা দায়ের পরিবারের তীব্র ক্ষোভ ও অনিহার বহিঃপ্রকাশ লক্ষ্যণীয়। এদিকে, বিএনপি’র আহ্বানে খুলনা জেলা ও মহানগরীতে অর্ধদিবস সর্বাত্মক হরতাল পালিত হয়েছে। বিভাগের অন্য ৯ জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশে করেছে বিএনপি
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফুলতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুন্সী আসাদুজ্জামান বলেন, নিহতের ভাই রাজ সরদার বাদী হয়ে ৭/৮জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় সন্দেহজনক আটক ইমরুল ও রকিবুলকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছিল। তাদের দু’জনকে মিঠুসহ তার দেহরক্ষী নওশের হত্যা মামলায় শ্যোন অ্যারেষ্ট দেখানো হয়েছে।
জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক নিহত সরদার আলাউদ্দিন মিঠুর স্ত্রী জোবায়দা খান সুরভী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেছেন, “ওদের (দুর্বৃত্তদের) বলেন, ওরা যেনো আমাদের সবাইকে একসাথে গুলি করে মেরে ফেলে; যাতে বাড়িতে কান্নার মতো কেউ না থাকে। কিছু দিন পর পর এমন কষ্ট সহ্য করতে পারছি না।”
তিনি আরও বলেন, “এই বাড়িতে এখন কারো নিরাপত্তা নেই। ডিবি পুলিশের পোশাক পরিহিতরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঢুকে গুলি করে চলে গেল। অথচ এখনও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারলো না!”
মিঠুর ভাই মামলার বাদী মো: রাজ সরদার বলেন, “বাবা খুন হওয়ার সময় মন্ত্রী, নেতারা এসে বিচারের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু বিচার পাইনি। বড় ভাইকে হত্যার পরও অনেকে এসেছেন, আশ্বাস দিয়েছেন। সেই বিচারও পাইনি। আজও মন্ত্রীসহ অন্য নেতারা এসেছেন। বিচার হবে কিনা জানি না। কারা এ হক্যাকান্ড ঘটিয়েছে তা সবাই জানে। কিন্তু এখনও প্রশাসন তাদের কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি।”
মিঠুর আরেক ভাই সেলিম সরদার বলেন, “বাবা ও বড় ভাই খুন হওয়ার পর বাড়ির সামনে পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়েছিল। পরে ওই ক্যাম্প উঠিয়ে নেয়া হয়। এখন আমাদের বাড়ির কারও জীবনের নিরাপত্তা নেই। মিঠুকে খুন করে এসে সন্ত্রাসীরা বাড়ীর জানালায় ৮/১০ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে উল্লাস করতে করতে চলে গেল!”
পিতা ও বড় ভাইয়ের হত্যার মামলার বিবরণে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালের ১৮ আগস্ট দুপুর ২টা দামোদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সরদার আবুল কাশেম ওরফে ছোট কাশেম (মিঠুর বাবা) থানা পরিষদ চত্বরের একটি সভা শেষে ফুলতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে প্রবেশ করেন। এসময় তৎকালীন ইউএনও মোঃ কামরুল হক ও সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) শের আলী, আটরা গিলাতলা ইউপি চেয়ারম্যান মীর গফ্ফার ও ফুলতলা ইউপি চেয়ারম্যান মন্টু ওই কক্ষে বসা ছিলেন। চেয়ারম্যান কাশেম রুমে ঢোকার পরপরই চরমপন্থী অস্ত্রধারীরা ইউএনও’র কক্ষে ঢুকেই তার মাথায় ও বুকে গুলি চালায়। ঘটনা দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন তৎকালীন এসিল্যান্ড শের আলী। এরপর সন্ত্রাসীরা চেয়ারম্যান কাশেমের মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। এদিকে, আবুল কাশেমের হত্যা ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজিত জনতা খুলনা-যশোর মহাসড়কে গাছ ফেলে ব্যারিকেট দেয়। পরে বিকেল ৫টার দিকে কড়া পুলিশ প্রহরায় তৎকালীন খুলনা জেলা প্রশাসক মো: ইফতেখার আহম্মদ, পুলিশ সুপার আকরামুজ্জামান ও দু’জন সহকারী পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে যান। এরপর তাদের উপস্থিতিতে নিহত আবুল কাশেমের লাশ উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। ফুলতলা উপজেলার তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে পুলিশ প্রহরায় নিরাপদ হেফাজতে চলে যান। এঘটনায় নিহতের ছেলে মিঠু বাদী হয়ে ফুলতলা থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর থানা পরিষদের ২৫/৩০জন কর্মকর্তা কর্মচারীর বক্তব্য পুলিশ রেকর্ড করেন। একই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর কাশেম হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আজিম ও মঈন নামের নিষিদ্ধ ঘোষিত পার্টির দু’জনকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। ১৫ সেপ্টেম্বর তারা দু’জন আদালতে এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীসহ আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়। শুধুমাত্র টাকার বিনিময়ে ফুলতলা এলাকার একজন প্রভাশালী ব্যক্তির পরামর্শে তারা এ হত্যাকান্ড সংঘটিত করেছে বলে আদালতকে জানায় তারা। এরপর ২০ সেপ্টেম্বর গোপন রাজনৈতিক সংগঠন ইবিসিপি (এমএল) এ হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে বিভিন্ন দপ্তরে লিফলেট বিতরণ করে। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। ১৯৯৯ সালের ৭ জানুয়ারি আদালতে সে চার্জশীট গৃহীত হয়। এরপর আদালতের সকল কার্যক্রম শেষে খুলনার দায়রা জজ আদালতে ২০০৯ সালে এ মামলার রায়ে তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দেয়া হয়। আলোচিত এ মামলার সাজাপ্রাপ্তরা হলেন সেই সময়ের খুলনা বিভাগের চরমপন্থি প্রধান শিমূল ভূঁইয়া, তার ভাই শরীফ আহমেদ শিপলু ভূঁইয়া (বর্তমান দামোদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান) ও মমিনুল ভূঁইয়া। এদের মধ্যে মমিনুল ভূঁইয়া এ হত্যাকান্ডের পর থেকে বিদেশে পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। আদালতের কাছেও তিনি পলাতক রয়েছেন। তবে উচ্চ আদালত পরবর্তীতে এ মামলা থেকে শিমূল ভূঁইয়া ও শরীফ আহমেদ শিপলু ভূঁইয়াকে অব্যহতি দিয়েছে। জনশ্রুতি রয়েছে তৎকালীন সময়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জনযুদ্ধের আধিপত্য প্রশাসন, জনগন ও জনপ্রতিনিধিরা ছিল খুবই অসহায়। কাশেম চেয়ারম্যান নিহত হওয়ার কিছুদিন আগে ফুলতলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জনযুদ্ধ বাহিনীর কিছু অস্ত্র প্রশাসনের কাছে ধরিয়ে দেয়ায় তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে সন্ত্রাসীরা।
এরপর ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট খুলনার বেলা পৌনে ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের অদূরে দামোদর ইউপি চেয়ারম্যান সরদার আবু সাঈদ বাদল (মিঠুর বড় ভাই) কে গুলি করে হত্যা করে চরমপন্থি সন্ত্রাসীরা। হত্যাকান্ডের ঘটনায় সরদার আলাউদ্দিন মিঠু বাদী হয়ে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ নড়াইল জেলা সদরের গোবরা বাজার থেকে জনযুদ্ধ ক্যাডার আল মামুন ওরফে বোমারু মামুনকে গ্রেফতার করে। পরদিন মামুন আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে জানায়, এ হত্যাকান্ডে সে এবং জনযুদ্ধের পিটপিটে সুমন, বিপুল বৈরাগী, রাজুসহ ৫জন অংশ নেয়। তাদের কারও সঙ্গেই চেয়ারম্যান বাদলের ব্যক্তিগত কোনো শত্রুতা ছিল না। টাকার বিনিময়ে ভাড়ায় তারা এ হত্যাকান্ড ঘটায়। হত্যা মামলাটি এখন  সিআইডিতে তদন্তাধীন রয়েছে।বাবা ও বড় ভাইয়ের পর সন্ত্রাসীদের বুলেটে সরদার আলাউদ্দিন মিঠু’র ওপরে ২০১৫ সালে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। তবে সে সময় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি। তবে গত বৃহস্পতিবার রাতে নিজের অফিসের মধ্যেই বডিগার্ডসহ মিঠুকে গুলিবর্ষণে হত্যা করে খুনিরা।
বিএনপি নেতা মিঠু হত্যার প্রতিবাদে খুলনায় সর্বাত্মক অর্ধদিবস হরতাল :
জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফুলতলা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান সরদার আলাউদ্দিন মিঠু এবং তার দেহরক্ষী নওশের গাজী হত্যার প্রতিবাদে খুলনায় গতকাল ভোর ৬ টা হতে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত সর্বাত্মক হরতাল পালিত হয়েছে। হরতালের সমর্থনে বিএনপি এবং ছাত্রদল-যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দল নগরীতে পৃথক পৃথক ভাবে কালো পতাকা হাতে মিছিল করে। হরতাল চলাকালে নগরীতে দোকানপাট বিপনী বিতান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল বন্ধ। যানবাহন চলাচল ছিল সীমিত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস হয়নি। অফিস ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটক ছিল বন্ধ।
হরতালের সমর্থনে সকাল সাড়ে ৮টায় নগরীর পিটিআই মোড় থেকে কালো পতাকা মিছির বের হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু মিছিলে নেতৃত্ব দেন। মিছিলটি সিটি কলেজ, রয়্যাল মোড়, জাতিসংঘ পার্ক, শান্তিধাম মোড়, ফরাজি পাড়া ফুলমার্কেট, ফেরীঘাট মোড়, ডাকবাংলা, পিকচার প্যালেস মোড়, থানার মোড় হয়ে দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সকাল ১০টা হতে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কে ডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে করে বিএনপি। এ সময় বক্তারা মিঠু হত্যাকান্ডের জন্য শাসক দল আওয়ামী লীগকে দায়ী করে বলেন, ফুলতলায় সরদার পরিবারের জনপ্রিয়তার কারনে একের পর এক এই পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়েছে। মিঠুর পিতা সরদার আবুল কাশেম, ভাই ইউপি চেয়ারম্যান বাদল ও সর্বশেষ মিঠুকে হত্যা করা হয়েছে আওয়ামী লীগ শাসনামলে। একজন চরমপন্থী নেতা ফুলের তোড়া দিয়ে প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগে যোগদানের পর মিঠু তার জীবনের নিরাপত্তাহীনতার কথা বলেছিলেন। পুলিশের নির্লিপ্ত ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, সরকার আগামী নির্বাচনকে টার্গেট করে বিএনপি নিধনে মেতে উঠেছে। পুলিশ ও অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীকে এ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। বক্তারা বলেন, মিঠু হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা না হলে বিএনপি খুলনা অচল কর্মসূচি ঘোষণা করবে।
জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু। বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন কেসিসির মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, ডা. গাজী আব্দুল হক, সিরাজুল ইসলাম, আমীর এজাজ খান, গাজী তফসির আহমেদ, অ্যাডভোকেট এস আর ফারুক, স ম আব্দুর রহমান, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, মনিরুজ্জামন মন্টু, শেখ আব্দুর রশিদ, সিরাজুল হক নান্নু, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, শফিকুল আলম তুহিন, মনিরুল হাসান বাপ্পী, মোল্লা মোশারফ হোসেন মফিজ, মুজিবর রহমান, শরীফ মোজাম্মেল হোসেন, দিদারুল হোসেন, আজিজুল হাসান দুলু, জিএম কামরুজ্জামান টুকু, প্রমুখ।
যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দল-ছাত্রদল : তিন সংগঠনের জেলা শাখার উদ্যোগে নেতাকর্মীরা ভোর ৬টা থেকে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে হরতালের সমর্থনে মিছিল করে। তাদের মিছিল শহরের গুরুত্বপূর্ণ সকল সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর দলীয় কার্যালয়ের সামনে জেলা যুবদল সভাপতি শামীম কবীরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইবাদুল হক রুবায়েদের পরিচালনায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
দৌলতপুর থানা : হরতালের সমর্থনে মহসিন মোড়ে সমাবেশ করেছে থানা বিএনপি। শেখ মুজিবর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন সিরাজুল হক নান্নু, বেলায়েত হোসেন, সাজ্জাদ হোসেন তোতন, মুর্শিদ কামাল, শেখ ইমাম হোসেন, শরিফুল আনাম, তরিকুল ইসলাম, গাউস হোসেন, আকরাম হোসেন, আরিফ খান, মতলেবুর রহমান মিতুল, প্রমুখ। এর আগে দৌলতপুর থানা বিএনপি শোক র‌্যালী করতে চাইলে পুলিশ বাঁধা দেয়।
খানজাহান আলী থানা বিএনপি : শিরোমনি বৈশাখী মার্কেটের সামনে সকাল সাড়ে ১০টায় হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মীর কায়সেদ আলীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শেখ ইকবাল হোসেন, শেখ আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক ওহেদুজ্জামান, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, আনসার চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম শুকুর ও সাইফুল ইসলাম। এছাড়া বিভাগের অন্য নয় জেলায় অনুরুপভাবে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।



 

Show all comments
  • ফিরোজ খান ২৮ মে, ২০১৭, ১২:৫৫ পিএম says : 0
    অনতিবিলম্বে হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক।
    Total Reply(0) Reply
  • Moshahed Uddin ২৮ মে, ২০১৭, ১:০৯ পিএম says : 0
    বিচার যখন নিরব কাঁদে এর উদাহরণ এমন হয়। একটা পর একটা হত্যার আহ কি নিদারুণ ভাগ্যে পরিহাস।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খুন

২৪ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ