পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ছয় বছর আর তিন বছর বয়সী দুই শিশু কন্যার সামনেই স্বামীকে শ^াসরোধে হত্যা করেন স্ত্রী। এরপর লাশ নিয়ে যান হাসপাতালে। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে পুলিশের জেরার মুখে খুনের দায় স্বীকার করে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেন তিনি। গত মঙ্গলবার রাতে নগরীর বাকলিয়া থানার আব্দুল লতিফ হাটখোলা এলাকার বাসা থেকে ওই নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতার গৃহবধূর নাম লিজা আক্তার (২৩)। খুনের শিকার তার স্বামীর নাম আব্দুস শুক্কুর সোহেল (৩৮)। সোহেলের বাড়ি বাঁশখালীর চাম্বল উপজেলায়। তবে তার বাবা-মাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা নগরীর বাকলিয়ায় আলাদা বাসায় থাকেন। গত সোমবার রাত সোয়া ১০টায় অসুস্থ অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক সোহেলকে মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনার পর গত মঙ্গলবার তার বাবা আব্দুস সালাম বাদী হয়ে পুত্রবধূ লিজা আক্তারকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, সোহেলকে তার স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির কয়েকজন মিলে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। তবে তার আগেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে সোহেলের বাবা ও ছোট ভাই হাসপাতালে যান। এ সময় সোহেলের বুকে ও পিঠে লালচে দাগ এবং গলায় নখের আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান তার বাবা ও ভাই। তখনই তারা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, লিজা আক্তার সোহেলকে খুন করেছেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা বলেন, প্রথমে সোহেলের পরিবারের অভিযোগ আমাদের বিশ্বাস হয়নি। এরপরও আমরা লিজাকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। একপর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন সাংসারিক নানা বিষয়ে ঝগড়ার একপর্যায়ে সোহেলকে শ্বাসরোধ করে তিনি খুন করেন।
প্রতিবেশিরা জানান, ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্বামীকে বেধড়ক পেটাতে শুরু করেন লিজা। এতে তিনি মাটিতে পড়ে যান। এ অবস্থায় স্বামীর বুকের ওপর বসে তার নাকমুখ চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এ সময় তাদের দুই কন্যা শিশুর চিৎকারে প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসেন। তবে স্বামী অসুস্থ বলে লিজা তার ভাইয়ের সহযোগিতায় সোহেলকে হাসপাতালে নিয়ে যান। দাবি করেন তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।
জানা যায়, ২০১৫ সালে সোহেলের সঙ্গে লিজার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে ঝগড়া চলে আসছিল। স্ত্রীর চাপে দুই বছর আগে শ্বশুর বাড়ির কাছে আলাদা বাসা নিয়ে বসবাস শুরু করেন সোহেল। কিন্তু সেখানেও তাদের মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়ে ঝগড়া হতো। থানার ওসি জানান, আর্থিকভাবে সচ্ছল হওয়ায় কোনকিছু না করে বাসায় অলস সময় পার করতেন সোহেল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া সূত্রপাত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।