পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার নরসিংদী থেকে : বাড়ী থেকে কর্মস্থলে যাবার পথে মনির হোসেন (২৪) নামে এক পাওয়ারলুম শ্রমিককে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। গত রোববার রাতে নরসিংদী জেলা শহরের উত্তর সাটিরপাড়া মহল্লায় ডন টেক্সটাইল মিলের সামনে এই হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হয়েছে। ২০১৪ সালে তার বড় ভাই জুয়েল মিয়াকে একই শহরে একই কায়দায় কুপিয়ে হত্যা করার আড়াই বছরের মাথায় ছোট ভাই মনিরকে হত্যা করলো সন্ত্রাসীরা। বড় ভাই জুয়েল হত্যাকান্ডটি এখনো বিচারাধীন রয়েছে।
জানা গেছে, নরসিংদী সদর উপজেলার চরদিঘলদী গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের স্ত্রী জোবেদা বেগম ২০ বছর পূর্বে তার স্বামীর মৃত্যুর পর দুই পুত্র জুয়েল ও মনিরকে নিয়ে নরসিংদী শহরে এসে বসবাস করতে থাকে। মা জোবেদা মানুষের বাড়ীতে ঝি’র কাজ করে জুয়েল ও মনির নামে দুই ভাইকে বড় করে তোলে। বড় হবার পর মনির একই এলাকার ডন টেক্সটাইল মিলে শ্রমিকের চাকুরী করে। আর মা জোবেদা বেগম অন্যের বাড়ীতে ঝি’র কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। গত রোববার রাত ৯টায় মনির বাড়ী থেকে খাওয়া দাওয়া করে তার কর্মস্থলে ডন টেক্সটাইল মিলের উদ্দেশ্যে বাড়ী থেকে বেরিয়ে যায়। মনির মিলের সামনে যাওয়ার সাথে সাথেই পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা সন্ত্রসারা তাকে এলোপাতারি কুপিয়ে রক্তাক্ত যখম করে রাস্তায় ফেলে চলে যায়। পরে ঘটনাক্রমে আশেপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্মরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। লাশ ময়না তদন্ত শেষে গতকাল সোমবার তার মার জোবেদার নিকট হস্তান্তর করেছে। এব্যাপারে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।
এদিকে বড় পুত্র জুয়েল হত্যাকান্ডের বিচার শেষ না হতেই ছোট পুত্র মনিরকে হত্যা করার ঘটনায় মা জোবেদা বেগম এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। পৃথিবীতে তার আর আপন বলতে কেউ নেই। জোবেদা বেগম এখন শুধুই একা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।