মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : বিজয় ভাষণে ফরাসি বিপ্লবের সাম্য-মৈত্রী-স্বাধীনতার ঐতিহ্যকেই সামনে আনলেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরোন। তিনি বলেছেন, আলোকায়নের (এনলাইটেনমেন্ট) সেই ইতিহাসে নতুন অধ্যায় সূচনার দিন এসেছে। নতুন দিনের সেই ইতিহাসে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক হয়ে উঠতে চান নেপোলিয়নের পর কনিষ্ঠতম এই রাষ্ট্রপ্রধান। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ম্যাকরোন পেয়েছেন ৬৬.৬ শতাংশ ভোট। তার প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী মেরিন লে পেন পেয়েছেন ৩৩.৯৪ শতাংশ ভোট। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ফ্রান্সের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় রচনার আশ্বাস দিয়ে ম্যাকরোন বলেন, আমি জনগণের আকাক্সক্ষা ও বিশ্বাসের প্রতীক হয়ে উঠতে চাই। জাতীয় এবং ইউরোপীয় ঐক্যের প্রশ্নে ম্যাকরোন বলেন, আমি আপনাদের ক্ষোভ, উৎকণ্ঠা, শঙ্কার কথা শুনেছি। যেসব শক্তি ফ্রান্সকে বিভক্ত করে পদানত করতে চায়, আমি তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাব। আমি জাতীয় ঐক্য নিশ্চিত করবো। ইউরোপের ঐক্য নিশ্চিত করবো। পুরো বিশ্ব আজ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। আমরা এনলাইটেনমেন্টের চেতনাকে রক্ষা করবো, যা বহু জায়গায় হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। ম্যাকরোন আরও বলেন, গণতন্ত্রের বড় লড়াইয়ের পর ফ্রান্সের মানুষ আমাকে বিশ্বাস করে নির্বাচিত করেছে। এটা অনেক সম্মানের। আপনারা জিতেছেন, জিতেছে ফ্রান্স। বিজয়ী ভাষণে ম্যাকরোন আরও বলেন, আমাদের সামর্থ্য, শক্তি এবং আন্তরিকতা রয়েছে। আর তা আমরা ভয়ের কাছে বিসর্জন দেবো না। উল্লেখ্য, ফ্রান্সের রাজনীতিতে বাম ও ডানপন্থী রাজনৈতিক প্রধান দু’টি ধারার বাইরে ১৯৫৮ সালের পর তিনিই প্রথম ব্যক্তি, যিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে স্বাধীন রাজনীতিক হওয়ার আগে তিনি তিন বছর ফরাসি সমাজতান্ত্রিক দলের সদস্য ছিলেন। পরে বর্তমান ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া অলন্দের ব্যক্তিগত কর্মীদলের সদস্য হন এবং পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল ভালাসের নেতৃত্বাধীন সরকারের অর্থ, শিল্প ও ডিজিটাল অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু দ্ইু বছর মন্ত্রীত্ব করার পরই তাতে ইস্তাফা দিয়ে ২০১৬ সালে নিজের দল এগিয়ে যাও আন্দোলন প্রতিষ্ঠা করেন। তার মাত্র এক বছরের মধ্যেই তিনি ফরাসি রাজধানীর প্রতিষ্ঠিত সব ধারাকে ধরাশায়ী করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন। উত্তর ফ্রান্সের আমিয়েঁর চিকিৎসক দম্পতির ঘরে জন্ম নেওয়া ম্যাক্রোঁ তার চেয়ে বয়সে ২৪ বছরের বড় নিজের স্কুল টিচারকে বিয়ে করেন। বর্তমানে ৬৩ বছর বয়সী স্ত্রী ব্রিজিতের সাতজন নাতি-নাতনি রয়েছে। ১৫ বছর বয়সে প্রাইভেট স্কুলের বিবাহিত এই শিক্ষকের সঙ্গে ম্যাকরোনর পরিচয় হয়। ম্যাকরোনর বয়সী এক মেয়ে ছিল তার। এক ক্লাসেই পড়ত তারা। ব্রিজিতের পরিবার আমিয়ঁ শহরের প্রসিদ্ধ চকলেট প্রস্তুতকারী ও ব্যবসায়ী। ব্রিজিতদের থ্রনিউ পরিবার ম্যাকরোনর সঙ্গে ব্রিজিতের সম্পর্ক তখনি মেনে নেয়নি, কিন্তু আজ তারা সুখি ও সফল দম্পতি। প্রথম পর্বের ভোটে জয়ের পর এক অনুষ্ঠানে স্ত্রীর দিকে তাকিয়েৃ স্মিতহাস্যে ম্যাকরোন বলেছিলেন, ব্রিজিত সব সময় আমার পাশে আছে। তার চেয়ে বড় বিষয় তাকে ছাড়া আমি আজকের আমি হয়ে উঠতে পারতাম না। এএফপি, রয়টার্স, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।