Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফ্রান্সকে আগামী ৫ বছর কে নেতৃত্ব দেবেন

| প্রকাশের সময় : ৮ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম পর্বের ভোটে এগিয়ে থাকা দুই প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন
ইনকিলাব ডেস্ক : আগামী পাঁচ বছর ফ্রান্সের নেতৃত্ব দেবেন কে, ইউরোপীয় ইউনিয়নপন্থি ইমানুয়েল ম্যাক্রোন না অভিবাসন-বিরোধী কট্টর-ডানপন্থি মারিন লে পেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম পর্বের ভোটে এগিয়ে থাকা এই দুই প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন, এই দুজনের মধ্যে একজন হতে যাচ্ছেন ফ্রান্সের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। রানঅফ ভোটের সবগুলো নির্বাচনী জরিপ বলছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফরাসি ভোটাররা ৩৯ বছর বয়সী ম্যাক্রোনকেই বেছে নেবেন। ফ্রান্সের নির্বাচনি ব্যবস্থা অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম পর্বে যদি কোনও প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট অর্জন করতে ব্যর্থ হন, তাহলে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেন শীর্ষ দুই প্রার্থী। ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপের নির্বাচনে ম্যাক্রন পেয়েছেন ২৩.৭৫ শতাংশ ভোট। লা পেন পেয়েছেন ২১.৫৩ শতাংশ। তারাই দ্বিতীয় ধাপে লড়াইয়ের জন্য মনোনীত হয়ে আজকের দ্বিতীয় দফায় অংশ নিচ্ছেন। খবরে বলা হয়, সাবেক অর্থমন্ত্রী ম্যাক্রোন দেশের বাম-ডান বিভাজনের মধ্যে সেতুবন্ধ হতে চান, দেশজুড়ে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠান-বিরোধীতার হুজুগ থামাতে চান; যে হুজুগে মার্কিনিরা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেছে নিয়েছে এবং ব্রিটিশরা ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ত্যাগ করেছে। কিন্তু অপ্রত্যাশীতভাবে ন্যাশনাল ফ্রন্ট প্রার্থী লে পেন জয়ী হলে ইইউর ভবিষ্যৎ নিশ্চিতভাবেই পতনের দ্বারপ্রান্তে চলে যাবে। শেষ জনমত জরিপগুলোতে দেখা গেছে, জনসমর্থনে লো পেনের চেয়ে প্রায় ২৩ থেকে ২৬ শতাংশ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন ম্যাক্রোন। গত মাসে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম পর্বের ভোটেও জনমত জরিপের স্পষ্ট প্রতিফলন দেখা গেছে, ওই পর্বে জনমত জরিপে এগিয়ে থাকা প্রার্থী ম্যাক্রোনই পেয়েছেন সর্বাধিক ভোট। গত বুধবার দুই প্রার্থীর শেষ নির্বাচনী বিতর্কে দুজনের মধ্যে তীব্র, তিক্ত বাকযুদ্ধ হয়; এরপর জনমত জরিপে লো পেনকে আরো ছাড়িয়ে যান ম্যাক্রোন। জনমত জরিপে ম্যাক্রোন এগিয়ে থাকায় শেয়ার মার্কেটেও চাঙ্গা ভাব দেখা যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে পশ্চিম ইউরোপে কট্টর-ডানপন্থিদের মধ্যে লো পেনই প্রথম ব্যক্তি যিনি একটি দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অন্যতম ফেভারিট প্রার্থী হতে পেরেছেন। উগ্রপন্থি এই প্রার্থী ইইউর একক মুদ্রা ইউরো ত্যাগ করতে চান, সীমান্ত বন্ধ করে অভিবাসীদের আগমন বন্ধ করে দিতে চান। জনমত জরিপ সত্যি হলে এবং ফরাসিরা প্রথম নারী প্রেসিডেন্টের বদলে সবচেয়ে তরুণ প্রেসিডেন্টকে বেছে নিলে তার মেয়াদে কোনো ‘হানিমুন পিরিয়ড’ থাকবে না বলে জানিয়েছে ম্যাক্রোন। ম্যাক্রোনর সব কর্মসূচীর সঙ্গে সবাই একমত না হলেও প্রায় ৬০ শতাংশ ভোটার জানিয়েছেন তারা লে পেনকে ঠেকাতে ম্যাক্রোনকেই ভোট দিবেন। তারপরও কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতির হার কম হবে বলে জানিয়েছেন পর্যবেক্ষকরা। রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফ্রান্স


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ