নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
শামীম চৌধুরী : গত বছর প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে ক্রিকেটারদের সম্মানী বকেয়া রাখায় ক্রিকেট কোচিং স্কুল (সিসিএস) এবং কলাবাগান একাডেমিকে নিলামে তুলে বিক্রি করে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগ থেকে অবনমিত ক্লাব দু’টির মালিকানা পরিবর্তন হয়েছে। শাইনপুকুর এবং রূপগঞ্জ টাইগার্স নামে ক্লাব দু’টি চলমান ২০১৬-১৭ মৌসুমে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগের খেলা সম্পন্নও করেছে। প্লেয়ার্স ড্রাফটে বিক্রি হওয়া ক্রিকেটারদের গ্যারান্টার বিসিবি বলে বকেয়া থাকা ক্লাব দু’টির প্লেয়ার্স পেমেন্ট ১ কোটি ৮ লাখ টাকা তিন কিস্তিতে ক্রিকেটারদের হাতে বুঝিয়ে দেয়ার যে প্রতিশ্রæতি দিয়েছিল, সে প্রতিশ্রæতি রক্ষা করেছে। গতকাল ক্লাব ২টির ২৩ ক্রিকেটারের মধ্যে ১০ শতাংশ হারে ট্যাক্স কেটে নিয়ে শেষ কিস্তির ২০ শতাংশ অর্থ (৩৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা) বুঝিয়ে দিয়েছে বিসিবি। কলাবাগান একাডেমির ইরফান শুকুর, বিশ্বনাথ হালদার, মাইশুকুর রহমান, আবু জায়েদ রাহি,আবদুল হালিম, প্রসেনজিত দাস,নূর হোসেন মুন্না, তাপস ঘোষ, রিফাত প্রধান, দিদার হোসেন ইমরান, মেহেদী হাসান মিরাজও মাহামুদুল হাসান এবং সিসিএস’র নাসুম আহমেদ, সাইদ সরকার, রাজিন সালেহ, অমিত মজুমদার, সালেহ আহমেদ শাওন, রেফাতুজ্জামান অভি, মেহরাব হোসেন জোসি, সাইফ হাসান ও সাইফউদ্দিন বুঝে পেয়েছেন বকেয়া সর্বশেষ কিস্তির চেক।
ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিশের (সিসিডিএম) অফিস থেকে বকেয়া পেমেন্টের চেক বুঝে পেয়ে একটু বেশিই খুশি হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজ। ২ লাখ ৭০ হাজার টাকার চেক বুঝে পেয়ে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন ২০১৫-১৬ মৌসুমে কলাবাগান একাডেমি এবং বর্তমানে জাতীয় দলের ক্রিকেটার মেহেদী হাসান মিরাজ। আয়ারল্যান্ড সফর এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে আগামী ২৬ এপ্রিল লন্ডনের ফ্লাইট ধরার আগে প্লেয়ার্স ড্রাফটে ‘বি’ প্লাস ক্যাটাগরিতে গত মৌসুমে কলাবাগান একাডেমিতে বিক্রি হওয়া এই ক্রিকেটার শেষ কিস্তির চেক পেয়ে ভীষণ খুশি। শুধু নিজে একা নন, ২৩ ক্রিকেটারের প্রাপ্ত শেষ কিস্তির একাংশ মাঠকর্মীদের হাতে বুঝিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মিরাজ। ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে তার ইচ্ছেটা সিসিডিএমকে করেছেন অবহিত। বেশ ক’জন ক্রিকেটারের চেক সিসিডিএম থেকে উঠিয়েছেন তিনি সে কারণেই। গতকাল দুপুরে মিরাজের হাতে চেক তুলে দেয়ার পর প্রিমিয়ার ডিভিশনের কো অর্ডিনেটর আমিন খান মিরাজের এই অভিনব সিদ্ধান্তের কথাই জানিয়েছেন ‘সব টাকা বিসিবি পরিশোধ করায় এতোই খুশি হয়েছে যে, শেষ কিস্তির একাংশ মাঠকর্মী এবং স্টাফদের মধ্যে দিয়ে দিতে চায় সে। অন্য ক্রিকেটারদেরও বলে-কয়ে রাজি করিয়েছে মিরাজ। এখান থেকে যদি ১০ পার্সেন্টও মাঠকর্মীদের দেয়া হয়, তাহলে ও অনেক? ’
এমন অভিনব সিদ্ধান্তের কথা শুনে টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্য সচিব এবং ঢাকা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক আলী হোসেন রীতিমতো বিস্মিত ‘আসলেই ছেলেটির মধ্যে নেতৃত্বগুণ আছে বলেই পর পর ২ বার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে অধিনায়কত্ব করেছে। চেকের টাকা নিয়েও নেতার মতোই ভ‚মিকা নিল ছেলেটি।’
প্লেয়ার্স পেমেন্টে বকেয়া অর্থ সম্প্রতি পুরোপুরি পরিশোধ করে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ম্যানেজার আমিন খান ফেলেছেন স্বস্তির নিশ্বাস। তবে এখনো প্রিমিয়ার ডিভিশনের ক্লাব ভিক্টোরিয়া পেমেন্টের ৫০ শতাংশ বকেয়া রাখায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তিনি ‘ভিক্টোরিয়া প্লেয়ার্স পেমেন্ট না করে আমাদেরকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। ক্লাবটির জন্য সিসিডিএম’র যে অনুদান বরাদ্দ আছে, তা দিচ্ছি না আমরা। বিপিএলের আয় থেকে ২৫ লাখ টাকা করে ক্লাবগুলোকে দেয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়েছে বিসিবি, সেই টাকা হাতে পেলে তা ভিক্টোরিয়াকে দেয়া হবে না। এই দু’টি খাতের অর্থ বকেয়া প্লেয়ার্স পেমেন্টের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।’ কিন্তু তাতেও তো ক্লাবটি শতভাগ প্লেয়ার্স পেমেন্ট পরিশোধ করতে পারবে না !
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।