পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় জোড়া খুনের ঘটনায় দায়ের করা মামলা গতকাল ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমলার সকল আলামত থানা থেকে ডিবি পুলিশের কাছে পাঠানো হয়েছে। তবে পুলিশ এখন পর্যন্ত খুনীদের শনাক্ত বা গ্রেফতার করতে পারেনি।
অন্যদিকে খুন হওয়া জুলহাজের বাসার নিরাপত্তাকর্মী পারভেজ মোল্লা জানিয়েছেন, জুলহাজ মান্নান ও বন্ধু মাহবুব তনয় হত্যায় সাতজন অংশ নিয়েছিল। ওই ঘটনার দিন তাকেও কুপিয়ে আহত করা হয়।
গতকাল বুধবার দুপুরে কলাবাগানে লেক সার্কাস রোডের আছিয়া নিবাস ভবনের জুলহাজের বাসার ফটকের সামনে পারভেজ মোল্লা সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, জুলহাজের বাসার ফটকে প্রথমে চারজন পার্সেলের তিনটি বক্স নিয়ে এসে বলে, পার্সেলগুলো জুলহাজ স্যারের। তখন পারভেজ গেটের সিটকিনি আটকে দোতলায় জুলহাজের কাছে পার্সেলের বিষয়টি জানানোর জন্য ওপরে যান। তার সঙ্গে ওই চারজনও ওপরে উঠে যায়। এ সময় জুলহাজ দরজা খুললে ঘাতকদের একজন জানায়, তার (জুলহাজের) নামে পার্সেল আছে। কিছুক্ষণ তাদের সঙ্গে জুলহাজের কথা হয়। জুলহাজ বলেন, তার নামে কোনো পার্সেল আসার কথা নয়। পার্সেল এলেও পার্সেলে কী আছে, সেটা দেখবেন, তারপর পার্সেল গ্রহণ করবেন।
পারভেজের ভাষ্য, পার্সেল দেওয়ার নামে তারা কথা বলার একপর্যায়ে পারভেজ ও জুলহাজ আগত ব্যক্তিদের সন্দেহ করেন। এ সময় জুলহাজ দরজা আটকে দিতে গেলে ঘাতকেরা তাকে বাধা দেয়। এ অবস্থায় পারভেজ ঘাতকদের বাধা দিলে ঘাতকদের একজন পারভেজের বাঁ বাহুতে চাপাতি দিয়ে কোপ দেয়। পারভেজ বলেন, ‘তখন আমি বুঝতে পারিনি যে আমাকে কোপ দেওয়া হয়েছে।’ তারপর তিনি আবার বাধা দিতে গেলে তার কপালে কোপ দেওয়া হয়। এ সময় রক্ত বের হলে তিনি চিৎকার দিয়ে নিচে নেমে আসেন। তখন ওই চারজন ঘরে ঢুকে জুলহাজ ও তনয়কে কুপিয়ে চলে যায়। কোপানোর সময় তারা ‘আল্লাহু আকবর’ বলে। নিচে নামার সময় পারভেজ দেখেন, গেটের সামনে আরও দুজন ও গেটের বাইরে একজন দাঁড়িয়ে।
পারভেজ বলেন, বাসার নিরাপত্তায় তিনিসহ আরও একজন ছিলেন। এ ছাড়া কেয়ারটেকার (তত্ত্বাবধানকারী) ছিলেন একজন। তিনি নিচে নেমে দেখেন, কেয়ারটেকার ও নিরাপত্তারক্ষী সুমনকে গেটের পাশে একটি ছোট্ট কক্ষে আটকে রাখা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি চার থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে ঘটে। ঘটনার পর ঘাতকেরা পালিয়ে যায়। সবার গায়ে নীল গেঞ্জি ছিল। তা প্যান্টে গোঁজা ছিল। ঘাতকদের বয়স ২০ থেকে ২৫ বছর। সবাই গোঁফদাড়ি কামানো (ক্লিন শেভড) ছিল।
তিনি বলেন, ‘ওপরের কক্ষে যে চারজন গিয়েছিল, তাদের মাথায় ক্যাপ ছিলো। গায়ে ছিল নীল গেঞ্জি, প্যান্টের সঙ্গে ইন করা এবং পায়ে কালো জুতো ছিল। তবে দুর্বৃত্তরা ভেতরে ঢুকে ৪ থেকে ৫ মিনিট অবস্থান করেছিলো।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জুলহাজ ও তনয় বিকেল থেকেই রুমের মধ্যে অবস্থান করছিলেন। তারা রাতেও কোথাও বের হবেন না বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু এরই মধ্যে ঘটে গেল নির্মম হত্যাকা-।
এদিকে পাশের একটি ভবনের সিসি ক্যামেরায় দেখা যায়, জুলহাজ ও তনয়কে চাপাতি দিয়ে কোপানোর পর হত্যাকারীরা রাস্তা দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। সেখানে দেখা যায়, একে একে ৫ জন হত্যাকারী পালিয়ে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।